Maryam • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ فَخَرَجَ عَلَىٰ قَوْمِهِۦ مِنَ ٱلْمِحْرَابِ فَأَوْحَىٰٓ إِلَيْهِمْ أَن سَبِّحُوا۟ بُكْرَةًۭ وَعَشِيًّۭا ﴾
“Thereupon he came out of the sanctuary unto his people and signified to them [by gestures]: "Extol His limitless glory by day and by night!"”
১০-১১ নং আয়াতের তাফসীর: আরো বেশী মনের প্রশান্তি ও অন্তরের সান্ত্বনার জন্যে হযরত যাকারিয়া (আঃ) আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করেনঃ “হে আল্লাহ! এর কোন একটি নিদর্শন প্রকাশ করুন। যেমন হযরত ইবরাহীম (আঃ) মৃতকে পুনরুজ্জীবিত করণ দর্শনের আকাংখা এ জন্যেই প্রকাশ করেছিলেন। হযরত যাকারিয়ার (আঃ) প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা তাকে বলেনঃ “তুমি মূক বা বোবা হবে না এবং রোগাক্রান্ত হবে না, কিন্তু তুমি লোকদের সাথে কথা বলতে পারবে না এবং ঐ সময় তোমার মুখ দিয়ে কথা সরবে না। তিন দিন ও তিন রাত এ অবস্থাই থাকবে। এটাই হলো নিদর্শন। হলোও তাই। তিনি মুখে তাসবীহ পাঠ, ক্ষমতা প্রার্থনা ও প্রশংসা কীর্তন সবই করতে পারতেন। কিন্তু লোকদের সাথে কথা বলতে পারতেন না। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এটাই বর্ণিত আছে যে, (আরবী) এর অর্থ হলো ক্রমাগত। অর্থাৎ ক্রমাগত তিন দিন ও তিন রাত যুবান পার্থিব কথা হতে বিরত থাকবে। প্রথম উক্তিটিও তার থেকেই বর্ণিত আছে এবং জমহূরের তাফসীরও এটাই। আর এটাই সঠিকও বটে। যেমন সূরায়ে আলে ইমরানে এর বর্ণনা গত হয়েছে যে, নিদর্শন চাওয়ায় আল্লাহ তাআলা বলেছিলেনঃ “তোমার লক্ষ্যণ এটাই যে, তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে সমর্থ হবে না তিন দিন পর্যন্ত ইশারা ছাড়া; আর তুমি প্রচুর পরিমাণে যিকর করবে, আর তাসবীহ পাঠ করবে অপরাহেও।” সুতরাং ঐ তিন দিন ও তিন রাত তিনি লোকদের সাথে কথা বলতে পারতেন না। ইশারা ইঙ্গিতে শুধু নিজেরা মনের কথা বুঝিয়ে দিতেন। কিন্তু এটা নয় যে, তিনি মূক হয়ে গিয়েছিলেন। এখন তিনি তাঁর যে কক্ষে গিয়ে নির্জনে সন্তানের জন্যে প্রার্থনা করেছিলেন, সেখান থেকে বের হয়ে আসেন এবং আল্লাহ তাআলা তাকে যে নিয়ামত দান করেছিলেন এবং যে যিকর ও তাসবীহ্ পাঠের তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ঐ হুকুম তার কওমের উপরও হয়। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারতেন না বলে ইশারায় তাদেরকে বুঝিয়ে দেন অথবা মাটিতে লিখে বুঝিয়ে দেন।