slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 15 من سورة سُورَةُ مَرۡيَمَ

Maryam • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَسَلَٰمٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّۭا ﴾

“Hence, [God's] peace was upon him on the day when he was born, and on the day of his death, and. will be [upon him] on the day when he shall be raised to life [again].”

📝 التفسير:

১২-১৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলার শুভ সংবাদ অনুযায়ী হযরত যাকারিয়ার (আঃ) ঔরষে হযরত ইয়াহইয়া জন্ম গ্রহণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে তাওরাত শিক্ষা দেন যা তার উপর পাঠ করা হতো এবং যার হুকুম সমূহ সৎলোকেরা ও নবীগণ অন্যদের নিকট প্রচার করতেন। ঐ সময় তিনি ছোট বালক ছিলেন। এ জন্যেই মহান আল্লাহ তাঁর ঐ অসাধারণ নিয়ামতেরও বর্ণনা দিয়েছেন যে, তিনি হযরত যাকারিয়াকে (আঃ) সন্তানও দান করেন এবং তাঁকে বাল্যাব স্থাতেই আসমানী কিতাবের আলেমও বানিয়ে দেন। আর তাকে নির্দেশ দেনঃ “কিতাবকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করো ও তা শিখে নাও।" আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ “সাথে সাথে আমি তাকে ঐ অল্প বয়সেই বোধসম্পন্ন জ্ঞান, শক্তি, দৃঢ়তা, বুদ্ধিমত্তা এবং সহনশীলতা দান করেছিলাম।” শৈশবেই তিনি সৎ কাজের প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং চেষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর ইবাদত ও জনসেবার কাজে লেগে পড়েন। শিশুরা তাকে তাদের সাথে খেলতে ডাকতো। কিন্তু তিনি উত্তরে বলতেনঃ “আমাদেরকে খেলা করার জন্যে সৃষ্টি করা হয় নাই। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “হযরত যাকারিয়ার (আঃ) জন্যে হযরত ইয়াহইয়ার (আঃ) অস্তিত্ব ছিল আমার করুণার প্রতীক, যার উপর আমি ছাড়া আর কেউই সক্ষম নয়। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে এটাও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “আল্লাহর কসম! (আরবী) এর ভাবার্থ কি তা আমার জানা নেই। অভিধানে এটা প্রেম,প্রীতি, করুণা ইত্যাদি অর্থে এসে থাকে। বাহ্যতঃ ভাবার্থ এটাই জানা যাচ্ছে তাকে প্রেম, প্রীতি, স্নেহ এবং পবিত্রতা দান করেছিলাম।"হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “জাহান্নামে একটি লোক এক হাজার বছর পর্যন্ত (আরবী) ও (আরবী) বলে ডাকতে থাকবে। (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে) হযরত ইয়াহ্ইয়া (আঃ) সর্বপ্রকারের ময়লা হতে, পাপ। হতে এবং নাফরমানী হতে তিনি মুক্ত ছিলেন। তাঁর জীবনের একমাত্র কাজ ছিল সৎ কার্যাবলী সম্পাদন। তিনি পাপকার্য ও আল্লাহর অবাধ্যাচরণ হতে বহু দূরে ছিলেন। সাথে সাথে তিনি পিতা-মাতার অনুগত ছিলেন এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতেন। কখনো কোন কাজে তিনি পিতা-মাতার অবাধ্য হন নাই। কখনো তিনি তাঁদের কোন কথার বিরোধিতা করেন নাই। তারা যে কাজ করতে নিষেধ করতেন তা তিনি কখনো করতেন না। তাঁর মধ্যে কোন ঔদ্ধত্যপনা ও হঠকারিতা ছিল না। এই উত্তম গুণাবলী ও প্রশংসনীয় স্বভাবের কারণে তিনটি অবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাঁকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করেছিলেন। অর্থাৎ জন্মের দিন, মৃত্যুর দিন এবং হাশরের দিন। এই তিনটি জায়গাই অতি ভয়াবহ ও অজানা। মায়ের পেট থেকে বের হওয়া মাত্রই একটি নতুন দুনিয়া দেখা যায় যা আজকের দুনিয়া হতে বিরাট ও সম্পূর্ণ পৃথকরূপে পরিলক্ষিত হয়। মৃত্যুর দিন ঐ মাখলুকের সাথে সম্বন্ধ হয়ে যায়। যাদের সাথে পার্থিব জীবনে কোনই সম্বন্ধ ছিল না। তাদেরকে কখনো দেখেও নাই। এইভাবে হাশরের দিন নিজেকে একটা বিরাট জন সমাবেশে দেখে মানুষ অত্যন্ত হতভম্ব ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বে। কেননা, ওটাও একটা নতুন পরিবেশ। এই তিন ভয়াবহ সময়ে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবেন।একটি মুরসাল হাদীসে রয়েছে যে, কিয়ামতের দিন সমস্ত লোক কিছু না কিছু গুনাহ নিয়ে যাবে, একমাত্র হযরত ইয়াহইয়া ছাড়া। হযরত কাতাদা’ (রাঃ) বলেন যে, হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) গুনাহ্ করা তো দূরের কথা, গুনা হর কখনো কোন ইচ্ছাও করেন নি। (এটা মারফু’রূপে এবং দুই সনদেও বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু দুটো সনদই দুর্বল। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন)হযরত হাসান (রঃ) বলেন যে, হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) ও হযরত ঈসার (আঃ) পরস্পর সাক্ষাৎ হলে হযরত ঈসা (আঃ) হযরত ইয়াহইয়াকে (আঃ) বলেনঃ “আপনি আমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থণা করুন! আপনি আমার চেয়ে উত্তম।" উত্তরে হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) বলেনঃ “আপনিই আমার চেয়ে উত্তম।” তখন হযরত ঈসা (আঃ) বলেনঃ “আমি তো নিজেই নিজের উপর সালাম বলেছি, আর আপনার উপর স্বয়ং আল্লাহ সালাম বলেছেন।” এখন এই দুই নবীর (আঃ) ফযীলত প্রকাশ হয়ে পড়লো।