slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 40 من سورة سُورَةُ مَرۡيَمَ

Maryam • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ إِنَّا نَحْنُ نَرِثُ ٱلْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا وَإِلَيْنَا يُرْجَعُونَ ﴾

“Behold, We alone shall remain after the earth and all who live on it have passed away, and (when] unto Us all will have been brought back.”

📝 التفسير:

৩৮-৪০ নং আয়াতের তাফসীর: কিয়ামতের দিন কাফিরদের অবস্থা কিরূপ হবে সে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেন যে, আজ দুনিয়ায় কাফিররা তাদের চক্ষু বন্ধ করে রেখেছে এবং কানে সোলা দিয়েছে, (চোখেও দেখে না এবং শুনেও শুনে না), কিন্তু কিয়ামতের দিন তাদের চক্ষুগুলি খুবই উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং কানও উত্তমরূপে খুলে যাবে। যেমন আল্লাহ বলেনঃঅর্থাৎ “যদি তুমি দেখো, তবে এক বিস্ময়কর অবস্থা দেখবে যখন এই অপরাধীরা স্বীয় প্রতিপালকের সামনে মস্তক অবনত করে থাকবে (এবং বলবে) হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শুনলাম।” (৩২:১২) সুতরাং সেই দিন দেখা ও শোনা কোনই কাজে আসবে না এবং দুঃখ ও আফসোস করেও কোন লাভ হবে না। যদি তারা দুনিয়ায় চক্ষু ও কর্ণ দ্বারা কাজ নিয়ে আল্লাহর দ্বীনকে মেনে নিতো আজ আর দুঃখ ও আফসোস করতে হতো না। সেই দিন চক্ষু ও কর্ণ খুলে যাবে, অথচ আজ তারা অন্ধ ও বধির সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) বলছেনঃ তুমি মানুষকে ঐ দুঃখ ও আফসোস করার দিন থেকে সাবধান করে দাও। যখন সমস্ত কাজের ফায়সালা হয়ে যাবে, জান্নাতীদেরকে জান্নাত এবং জা হান্নামীদেরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়া হবে, সেই দুঃখ ও আফসোস করার দিন হতে তারা আজি উদাসীন রয়েছে, এমনকি এটাকে তারা বিশ্বাসই করছে না। তুমি তাদেরকে সেই দিন সম্পর্কে সতর্ক করে দাও।হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে চলে যাওয়ার পর মৃত্যুকে একটি ভেড়ার আকারে আনয়ন করা হবে এবং জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে খাড়া করে দেয়া হবে। অতঃপর জান্নাতীদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে “একে চেনো কি?” উত্তরে তারা বলবেঃ “হাঁ, এটা মৃত্যু।” তারপর জাহান্নামীদেরকেও এই একই প্রশ্ন করা হবে। তারাও ঐ একই উত্তর দেবে। তারপর আল্লাহর নির্দেশক্রমে মৃত্যুকে যবাহ করে দেয়া হবে। এরপর ঘোষণা করা হবেঃ “হে জান্নাতবাসী! তোমাদের জন্যে চিরস্থায়ী জীবন হয়ে গেলো, মৃত্যু আর হবে না। আর হে জাহান্নামবাসী! তোমাদের জন্যেও চিরস্থায়ী জীবন হয়ে গেলো, মরণ আর হবে না।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) (আরবী) এই আয়াতটিই তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি ইশারা করে বলেনঃ “দুনিয়াবাসী গাফলাতে দুনিয়ায় রয়েছে (দুনিয়ায় বাস করে পরকালকে সম্পূর্ণরূপে ভুলে রয়েছে)।" (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনু মাসউদ (রাঃ) একটি ঘটনা দীর্ঘভাবে বর্ণনা করার পর বলেনঃ “প্রত্যেক ব্যক্তি তার জাহান্নাম ও জান্নাতের ঘর দেখতে থাকবে। ঐদিন হবে দুঃখ ও আফসোস করার দিন। জাহান্নামী তার জান্নাতী ঘরটি দেখতে থাকবে এবং তাকে বলা হবেঃ “যদি তুমি ভাল আমল করতে তবে এই ঘরটি লাভ করতে।” তখন সে দুঃখ ও আফসোস করবে। পক্ষান্তরে জান্নাতীদেরকে তাদের জাহান্নামের ঘরটি দেখানো হবে এবং বলা হবেঃ “যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ না হতো তবে তোমরা এই ঘরে যেতে।” অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, মৃত্যুকে যবাহ করার পর যখন চিরস্থায়ী বাসের ঘোষণা দেয়া হবে তখন তারা এতো বেশী খুশী হবে যে, আল্লাহ না বাচালে খুশীর আধিক্য হেতু তারা মরেই যেতো। আর জাহান্নামবাসীরা ভীষণ দুঃখিত হয়ে যেতো। সুতরাং এ আয়াতের ভাবার্থ এটাই। এটা হবে আফসোসের সময় এবং কাজের পরিসমাপ্তিরও সময়। তাই কিয়ামতের সময় এবং কাজের পরিসমাপ্তিরও সময়। তাই, কিয়ামতের নাম সমূহের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে (আরবী) বা আফসোসের দিন। যেমন অন্য এক জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী আমি। সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও ব্যবস্থাপক আমি ছাড়া আর কেউই নয়। আমি ছাড়া কোন কিছুর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার দাবীদার কেউই হতে পারে না। আমার সত্ত্বা যুলুম থেকে পবিত্র।ইসলামের বাদশাহ আমীরুল মু'মিনীন হযরত উমার ইবনু আবদিল আযীয (রাঃ) কূফায় আবদুল হামীদ ইবনু আবদির রহমানকে পত্র লিখেন। তাতে তিনি লিখেনঃ “হামদ ও সানার পর, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টজীবকে সৃষ্টি করার সময়েই তাদের উপর মৃত্যু লিখে দিয়েছেন। সবকেই তার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তিনি তার এই নাযিলকৃত সত্য কিতাবের মধ্যে লিখে দিয়েছেন। যে, কিতাবকে নিজের ইলম দ্বারা মাহফুয বা রক্ষিত রেখেছেন এবং ফেরেশতাদের দ্বারা যে কিতাবকে তিনি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন (তাতে লিখে দিয়েছেন যে, পৃথিবী ও ওর উপর যারা আছে তাদের চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী তিনিই এবং তারা তারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে।”