slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 113 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ لَيْسَتِ ٱلنَّصَٰرَىٰ عَلَىٰ شَىْءٍۢ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَىٰ لَيْسَتِ ٱلْيَهُودُ عَلَىٰ شَىْءٍۢ وَهُمْ يَتْلُونَ ٱلْكِتَٰبَ ۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ ۚ فَٱللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ ﴾

“Furthermore, the Jews assert, "The Christians have no valid ground for their beliefs," while the Christians assert, "The Jews have no valid ground for their beliefs" - and both quote the divine writ! Even thus, like unto what they say, have [always] spoken those who were devoid of knowledge;" but it is God who will judge between them on Resurrection Day with regard to all on which they were wont to differ.”

📝 التفسير:

১১১-১১৩ নং আয়াতের তাফসীর ইয়াহূদীদের প্রতারণা, আমিত্ব এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তার উপর ভীষণ সতর্কতা এখানে ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের অহংকার ও আত্মম্ভরিতার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকেও কিছুই মনে করতো না এবং স্পষ্টভাবে বলতো যে, তারা ছাড়া অন্য কেউ বেহেশতে যাবে না। সূরা মায়েদায় তাদের নিম্নরূপ একটা উক্তিও বর্ণিত হয়েছেঃ আমরা আল্লাহ তা'আলার সন্তান এবং তাঁর প্রিয়। তাদের এ কথার উত্তরে ইরশাদ হচ্ছেঃ তা হলে কিয়ামতের দিন তোমাদের উপর শাস্তি হবে কেন?’ অনুরূপভাবে ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, তাদের উক্তি নিম্নরূপও ছিলঃ “আমরা কয়েকটা দিন দোযখে অবস্থান করবে। তাদের একথার উত্তরে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে, তাদের এই দাবীও দলীল বিহীন। এভাবেই এখানেও তিনি তাদের একটা দাবী খণ্ডন করতঃ বলেনঃ ‘দলীল উপস্থিত কর দেখি? তাদের অপারগতা সাব্যস্ত করে পুনরায় আল্লাহ পাক বলেনঃ “হাঁ, যে কেউই আল্লাহ তা'আলার অনুগত হয়ে ইখলাসের সাথে সল্কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে, সে পূর্ণভাবে তার প্রতিদান লাভ করবে। যেমন তিনি আর এক জায়গায় বলেছেনঃ “তারা যদি ঝগড়া করে তবে তাদেরকে বলে দাও আমি এবং আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা'আলার নিকট আত্মসমর্পণ করেছি।'মোট কথা, অন্তরের বিশুদ্ধতা ও সুন্নাতের অনুসরন প্রত্যেক আমল গ্রহণ যোগ্য হওয়ার জন্যে শর্ত। তাহলে (আরবি)-এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘অন্তরের বিশুদ্ধতা এবং (আরবি)-এর ভাবার্থ হচ্ছে সুন্নাতের অনুসরণ। শুধু মাত্র বিশুদ্ধ অন্তঃকরণই আমলকে গ্রহণযোগ্য করতে পারে না যে পর্যন্ত না সে সুন্নাতের প্রতি অনুগত থাকে। হাদীস শরীফে উল্লিখিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি এমন কাজ করে যার উপর আমার নির্দেশ নেই তা গ্রহণীয় নয়' (সহীহ মুসলিম)। সুতরাং ‘সংসার ত্যাগ' কাজটি বিশুদ্ধ অন্তরের উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও তা সুন্নাতের উল্টো বলে গ্রহণীয় নয়। তদ্রুপ আমল সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হচ্ছেঃ (আরবি) অর্থাৎ তারা যা আমল করেছিল আমি তা সবই অগ্রাহ্য করেছি।' (২৫:২৩) অন্য জায়গায় রয়েছেঃ কাফিরদের আমল বালুর চকে চকে মরীচিকার মত, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে থাকে, কিন্তু যখন তার কাছে যায় তখন কিছুই পায় না। অন্য স্থানে রয়েছেঃ “কিয়ামতের দিন বহু মুখমণ্ডলের উপর অপমানের কালিমা নেমে আসবে, তারা কাজ করতেও কষ্ট উঠাতে থাকবে এবং জ্বলন্ত অগ্নির মধ্যে প্রবেশ করবে, আর তাদেরকে গরম পানি পান করতে দেয়া হবে। আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে এর ভাবার্থ নিয়েছেন ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের আলেম ও আবেদগণ। এটাও স্মরণীয় বিষয় যে, বাহ্যতঃ কোন কাজ সুন্নাতের অনুরূপ হলেও ঐ আমলে অন্তরের বিশুদ্ধতা এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য না থাকার কারণে উক্ত আমলও প্রত্যাখ্যাত হয়ে যাবে। কপট ও মুনাফিকদের অবস্থাও এরূপই। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘মুনাফিকরা আল্লাহ তা'আলাকে ধোকা দেয়, তিনিও তাদেরকে ধোকা দেন; যখন তারা নামাযে দাড়ায় তখন অলসতার সাথে দাঁড়ায়, তারা মানুষকে দেখাবার জন্যেই শুধু আমল করে থাকে।' তিনি আরো বলেনঃ ‘ঐ সব নামাযীর জন্যে ধ্বংস ও বিধ্বস্তি রয়েছে যারা নামাযে উদাসীন থাকে এবং যারা শুধু লোক দেখানোর জন্যে নামায পড়ে, আর যাকাত দেয়া হতে বিরত থাকে।' অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছেঃ সুতরাং যে ব্যক্তি স্বীয় প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ লাভের আকাংখা রাখে সে যেন সকাজ করতে থাকে এবং স্বীয় প্রভুর ইবাদতে অন্য কাউকেও অংশীদার না করে। আরও বলেছেনঃ “তাদেরকে তাদের প্রভু পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং ভয় ও সন্ত্রাস হতে রক্ষা করবেন। পরকালে তাদের কোন ভয় নেই এবং দুনিয়া ত্যাগ করতে তাদের কোন দুঃখ নেই।'অতঃপর আল্লাহ পাক ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ ও শত্রুতার বর্ণনা দেন। নাজরানের খ্রীষ্টান প্রতিনিধিরা যখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট আগমন করে তখন ইয়াহুদী পণ্ডিতেরাও আসে। অতঃপর তারা একদল অপর দলকে পথভ্রষ্ট আখ্যায় আখ্যায়িত করে। অথচ উভয় দলই আহলে কিতাব। তাওরাতের মধ্যে ইঞ্জীলের এবং ইঞ্জীলের মধ্যে তাওরাতের সত্যতার প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং তাদের এসব কথা একেবারেই বাজে ও ভিত্তিহীন।পূর্ববর্তী ইয়াহুদী ও খৃষ্টানেরা সত্য ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল, কিন্তু পরে তারা বিদআত ও ফিতনা ফাসাদে জড়িয়ে পড়ায় ধর্ম তাদের হতে ছিনিয়ে নেওয়া হয়; অতঃপর ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান কেউই আর সঠিক পথের উপর ছিল না তার পরে মহান আল্লাহ বলেনঃ মুখ ও নিরক্ষরেরাও এরূপ কথাই বলে। এতেও ইঙ্গিত তাদের দিকেই রয়েছে।আবার কেউ কেউ বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের পূর্বেকার লোক। কেউ কেউ আবার ‘আরবের লোক’ ভাবার্থ নিয়েছেন। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এর দ্বারা সাধারণ ভাবার্থ নিয়েছেন, যার মধ্যে সবাই জড়িত রয়েছে আর এটাই সঠিক। অতঃপর আল্লাহ পাক বলেনঃ “আল্লাহ পাক তাদের মতবিরোধের ফায়সালা কিয়ামতের দিন করবেন, যেদিন কোন অত্যাচার ও বল প্রয়োগ থাকবে না। অন্য স্থানেও এ বিষয়টি আনা হয়েছে। সূরা-ই-হাজ্জ-এর মধ্যে এরশাদ হচ্ছেঃ “আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন মুমিন, ইয়াহূদী, সাবেঈ, খ্রীষ্টান, মাজুস এবং মুশরিকদের মধ্যে ফায়সালা করবেন, তিনি প্রত্যেক জিনিসের উপর সাক্ষী আছেন।' আর এক জায়গায় আল্লাহ পাক বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাওআমাদের প্রভু আমাদেরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর ন্যায় সঙ্গতভাবে ফায়সালা করবেন, তিনি বড় ফায়সালাকারী ও সর্বজ্ঞাত।