slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 12 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ ﴾

“Oh, verily, it is they, they who are spreading corruption but they perceive it not?”

📝 التفسير:

১১-১২ নং আয়াতের তাফসীর হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ), হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর আরও কয়েকজন সাহাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এ আয়াতেও মুনাফিকদের বর্ণনা রয়েছে এবং এই ধূলির ধরণীতে তাদের বিবাদ বিপর্যয় সৃষ্টি, কুফর এবং অবাধ্যতা সম্পর্কে মুসলমানদেরকে হুঁশিয়ার ও সতর্ক করা হচ্ছে। অর্থাৎ এ দুনিয়ায় আল্লাহর অবাধ্য হওয়া এবং অপরকে নাফরমান ও অবাধ্য হওয়ার আদেশ করাই হচ্ছে দুনিয়ার বুকে বিবাদ সৃষ্টি করা। আর যমীন ও আসমানের শান্তি রয়েছে আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যে। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, যখন তাদেরকে আল্লাহর অবাধ্যতা হতে বিরত থাকতে বলা হয়, তখন তারা বলে আমরা তো সঠিক সনাতন পথের উপরেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছি।' হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) বলেনঃ ‘এই স্বভাবের লোক আজ পর্যন্ত আসেনি।' ভাবার্থ এই যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর যামানায় তো এরূপ বদ। স্বভাবের লোক বিদ্যমান ছিলই কিন্তু এখন যারা আসবে তারা ওদের চেয়েও নিকৃষ্ট হবে। এটা যেন মনে না করা হয় যে, হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) বলেনঃ এরূপ বদ স্বভবের জঘন্য লোকে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর যুগে ছিলই না। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বলেন যে, ঐ মুনাফিকদের বিবাদ ও গণ্ডগোল সৃষ্টি করার অর্থ হচ্ছে তারা এসব কাজ করতে যা করতে আল্লাহ তা'আলা নিষেধ করেছিলেন এবং তাঁর ফরযগুলোও তারা হেলা করে নষ্ট করতো। শুধু তাই নয়, আল্লাহ তাআলার সত্য ধর্মের প্রতি তারা সন্দেহ পোষণ করতো এবং তার সত্যতার উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতো না। মুমিনদের কাছে আসলে তাদের ঈমানের কথা তারা প্রচার করতে অথচ তাদের অন্তর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সঃ) সম্বন্ধে সন্দেহে পরিপূর্ণ ছিল। তারা সুযোগ সুবিধা পেলেই আল্লাহর শত্রুদের সাহায্য ও সহায়তা করতো এবং তার সৎ বান্দাদের বিরুদ্ধাচরণ করতো। আর এতসব করা সত্ত্বেও নিজেদেরকে শান্তিকামী মনে করতো। কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করাকেও কুরআন মাজীদে ফাসাদ বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ কাফিররা পরস্পর একে অপরের বন্ধু, যদি তোমরা এরূপ না কর (অর্থাৎ যদি ঐ কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন কর) তবে যমীনের বুকে ভীষণ হাঙ্গামা ও গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়বে। (৮:৭৩) এই আয়াতটি মুসলমানও কাফিরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিন্ন করে দিল। আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা মু'মিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তোমরা কি নিজেদের প্রতিকুলে আল্লাহর স্পষ্ট প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করে নিতে চাও’ (৪:১৪৪) অর্থাৎ তোমাদের মুক্তির সনদ কেটে যাক এই কি তোমরা চাও? অতঃপর তিনি আরও বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তোমরা তাদের জন্যে কখনই কোন সাহায্য সহায়তাকারী পাবে না।' (৪:১৪৫)মুনাফিকদের বাহ্যিক আচরণ ভাল ছিল বলে মুসলমানদের নিকট তাদের প্রকৃত অবস্থা গোপন থেকে যায়। তারা মু'মিনগণকে মুখমিষ্টি অথচ অবাস্তব কথা দিয়ে ধোকা দেয় এবং তাদের মিথ্যা দাবী ও কাফিরদের কাছে তাদের গোপন বন্ধুত্বের ফলে মুসলমানগণকে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। সুতরাং বিবাদ ও হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী এই মুনাফিকরাই। অতএব যদি এরা কুফরের উপরেই কায়েম থাকতো তবে তাদের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ও গভীর চতুরতা কখনও মুসলমানদের জন্য এত ক্ষতিকর হতো না। আর যদি তারা পূর্ণ মুসলমান হয়ে যেতো এবং ভিতর ও বাহির তাদের এক হতো তবে তারা এই নশ্বর দুনিয়ার নিরাপত্তা লাভের সাথে সাথে আখেরাতের মুক্তি ও সফলতার অধিকারী হয়ে যেতো। এত ভয়াবহ পন্থা অবলম্বন করা সত্ত্বেও যখন তাদেরকে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপদেশ দেয়া হয়, তখন তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেঃ আমরা তো শান্তি স্থাপনকারী,আমরা কারও সাথে বিবাদ করতে চাইনে। আমরা মুমিন ও কাফির এই দুই দলের মধ্যে সন্ধির প্রস্তাব দিয়ে ঐক্য বজায় রাখতে চাই।' হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, তারা বলতোঃ ‘আমরা দুই দল অর্থাৎ মুসলমান ও আহলে কিতাবের মধ্যে সন্ধি স্থাপনকারী। কিন্তু আল্লাহ পাক বলেন যে, এ শুধু তাদের মুখ। যাকে তারা সন্ধি বলছে এটাই তো প্রকৃত বিবাদ। কিন্তু তাদের বোধশক্তি নেই।