slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 134 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ تِلْكَ أُمَّةٌۭ قَدْ خَلَتْ ۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ ۖ وَلَا تُسْـَٔلُونَ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ﴾

“Now those people have passed away; unto them shall be accounted what they have earned, and unto you, what you have earned; and you will not be, judged on the strength of what they did.”

📝 التفسير:

১৩৩-১৩৪ নং আয়াতের তাফসীর আরবের মুশরিকরা ছিল হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশধর এবং বানী ইসরাঈলেরা কাফির ছিল এবং তারা ছিল হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর বংশধর। তাদের উপর প্রমাণ উপস্থিত করতঃ আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, হযরত ইয়াকুব (আঃ) অন্তিমকালে স্বীয় সন্তানগণকে বলেছিলেনঃ “আমার পরে তোমরা কার ইবাদত করবে?' তারা সবাই উত্তরে বলেছিলঃ আপনার ও আপনার মাননীয় মুরুব্বীগণের যিনি সত্য উপাস্য অর্থাৎ আল্লাহ্, আমরা তাঁরই ইবাদত করবো।' হযরত ইয়াকুব (আঃ) ছিলেন হযরত ইসহাক (আঃ)-এর পুত্র এবং হযরত ইসহাক (আঃ) ছিলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর পুত্র। হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর নাম বাপ দাদার আলোচনায় বহুল প্রচলন হিসেবে এসে গেছে। তিনি হচ্ছেন হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর চাচা, এবং আরবে এটা প্রচলিত আছে যে, তারা চাচাকে বাপ বলে থাকে। এই আয়াতটিকে প্রমাণ রূপে দাঁড় করে দাদাকেও পিতার হুকুমে রেখে দাদার বিদ্যমানতায় মৃত ব্যক্তির ভ্রাতা ও ভগ্নিকে উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। হযরত সিদ্দীকে আকবারের (রাঃ) ফায়সালা এটাই। যেমন সহীহ বুখারী শরীফের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশার (রাঃ) মাযহাব এটাই। হাসান বসরী (রঃ), তাউস (রঃ) এবং আতাও (রঃ) এই বলেন। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আরও বহু গুরুজনেরও মাযহাব এটাই। ইমাম মালিক (রঃ), ইমাম শাফেঈ (রঃ) এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের (রঃ) একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনায় নকল করা হয়েছে যে, তাঁরা ভাই ও বোনদেরকেও উত্তরাধিকারী বলে থাকেন। হযরত উমর (রাঃ) হযরত উসমান (রাঃ) হযরত আলী (রাঃ) হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হযরত যায়েদ বিন সাবিত (রাঃ) এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একটি দলেরও মাযহাব এই। কাযী আবু ইউসুফ (রঃ) এবং মুহাম্মদ ইবনে হাসানও (রঃ) এটাই বলেন। এঁরা দু'জন হযরত ইমাম আবু হানীফার (রঃ) সুপথ গামী ছাত্র ছিলেন।এ জিজ্ঞাস্য বিষয়কে পরিষ্কার করার জায়গায় এটা নয়। এবং তাফসীরের এটা আলোচ্য বিষয়ও নয়। ঐ সব ছেলে স্বীকার করে যে তারা একই উপাস্যের উপাসনা করবে। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে অন্য কাউকেও শরীক করবে না এবং তার আনুগত্যে, তার আদেশ পালনে এবং বিনয় ও নম্রতায় সদা নিমগ্ন থাকবে। যেমন অন্য স্থানে রয়েছেঃ ‘আকাশ ও পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিস ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় তাঁর অনুগত, তারই নিকট তোমরা সবাই প্রত্যাবর্তিত হবে। আহকামের ব্যাপারে পার্থক্য থাকলেও সমস্ত নবীর ধর্ম এই ইসলামই ছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ (আরবি)অর্থাৎ তোমার পূর্বে আমি যত নবী পাঠিয়েছি তাদের সবারই নিকট এই ওয়াহী করেছি যে, আমি ছাড়া কেউই উপাস্য নেই, সুতরাং তোমরা সবাই আমারই ইবাদত কর।' (২১:২৫) এ বিষয়ের আরও বহু আয়াত রয়েছে এবং এ বিষয়ের উপর বহু হাদীসও এসেছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আমার বৈমাত্রেয় ভাই, আমাদের একই ধর্ম। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ওটা একটা দল ছিল যা অতীত হয়ে গেছে, তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তোমাদের কোন উপকার হবে না। তাদের কৃতকর্ম তাদের জন্যে এবং তোমাদের কৃতকর্ম তোমাদের জন্যে। তাদের কার্যাবলী সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না। এ জন্যেই হাদীস শরীফে রয়েছেঃ যার কাজ বিলম্বিত হবে তার বংশ তাকে তুরান্বিত করবে না।' অর্থাৎ যে সকার্যে বিলম্ব করবে তার বংশ মর্যাদা তার কোন উপকারে আসবে না।