slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 136 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ قُولُوٓا۟ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍۢ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ ﴾

“Say: "We believe in God, and in that which has been bestowed from on high upon us, and that which has been bestowed upon Abraham and Ishmael and Isaac and Jacob and, their descendants, and that which has been vouchsafed to Moses and Jesus; and that which has been vouchsafed to all the [other] prophets by their Sustainer: we make no distinction between any of them. And it is unto Him that we surrender ourselves."”

📝 التفسير:

আল্লাহ তা'আলা মুসলমানদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, যা কিছু হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে তার উপর যেন তারা বিস্তারিতভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং যা তাঁর পূর্ববর্তী নবীগণের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল ঐগুলোর উপরেও যেন সংক্ষিপ্তভাবে ঈমান আনয়ন করে। ঐ পূর্ববর্তী নবীগণের মধ্যে কারও কারও নামও নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য নবীদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন। সাথে সাথে মহান আল্লাহ একথাও বলেছেন যে, তারা যেন নবীদের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি না করে। অর্থাৎ তারা যেন কোন নবীকে মানবে এবং কোন কোন নবীকে মানবে না, এরূপ যেন না করে। এরকম অভ্যাস পূর্ববর্তী লোকদের ছিল যে, তারা কাউকে মানতো আবার কাউকে মানতো না। ইয়াহূদীরা হযরত ঈসা (আঃ)কে মানতো না, খ্রীষ্টানেরা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে মানতো না এবং হিজাজে আরব হযরত মূসা (আঃ) হযরত ঈসা (আঃ) এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এই তিনজনকেই স্বীকার করতো না। এদের সম্পর্কেই আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ ‘ঐসব লোকে নিশ্চিত রূপেই কাফির। (৪:১৫১) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, কিতাবিরা তাওরাতকে ইবরাণী ভাষায় পাঠ করতো। এবং আরবী ভাষায় এর তাফসীর করে মুসলমানদেরকে শুনাতো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ তোমরা আহলে কিতাবের সত্যতাও স্বীকার করো না এবং মিথ্যাও প্রতিপন্ন করো না, বরং বল যে, আমরা আল্লাহ তাআলার উপর এবং তার অবতারিত কিতাবসমহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করছি।রাসূলুল্লাহ (সঃ) ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত নামাযের প্রথম রাকআতে নিম্নের এই আয়াতটি (আরবি) (২:১৩৬)সম্পূর্ণ পড়তেন এবং দ্বিতীয় রাকাতে (আরবি) (৩:৫২)এই আয়াতটি পড়তেন (আরবি) হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর পুত্রগণকে বলা হতো। তাঁরা ছিলেন বারোজন। প্রত্যেকের বংশে বহু লোকের জন্ম হয়। বানী ইসমাঈলকে (আরবি) বলা হতো। এবং বানী ইসরাঈলকে (আরবি) বলা হতো। ইমাম যামাখশারী (রঃ) তাফসীরে কাশশাফে’ লিখেছেন যে, এরা ছিল হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর পৌত্র, যারা তাঁর বারোটি পুত্রের সন্তানাদি ছিল। বুখারী শরীফের মধ্যে রয়েছে যে, (আরবি)-এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘বানী ইসরাঈল। তাদের মধ্যেও নবী হয়েছিলেন, যাদের উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছিল। আল্লাহ তা'আলা হযরত মূসা (আঃ)-এর উক্তি নকল করেন যা তিনি বানী ইসরাঈলকে সম্বোধন করে বলেছিলেনঃ তোমরা আল্লাহর ঐ নিয়ামত স্মরণ কর যে, তিনি তোমাদের মধ্যে বাদশাহ ও নবী করেছেন। অন্য জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ আমি তাদের বারোটি দল করে দিয়েছিলাম।' (৭:১৬০) পর্যায়ক্রমে আসাকে (আরবি) বলা হয়। এরাও পর্যায়ক্রমে এসেছিল। কেউ কেউ বলেন যে, এটা (আরবি) হতে নেয়া হয়েছে। গাছকে (আরবি) বলা হয়। অর্থাৎ এরা গাছের মত যার শাখা প্রশাখাগুলো ছড়িয়ে রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, দশজন নবী ছাড়া সমস্ত নবীই বানী ইসরাঈলের মধ্য হতে হয়েছেন। ঐ দশজন নবী হচ্ছেঃ (১) হযরত নূহ (আঃ) (২) হযরত হূদ (আঃ) (৩) হযরত সালেহ্ (আঃ) (৪) হযরত শুয়াইব (আঃ) (৫) হযরত ইবরাহীম (আঃ) (৬) হযরত ইসহাক (আঃ) (৭) হযরত ইয়াকুব (আঃ) (৮) হযরত ইসমাঈল (আঃ) এবং (৯) হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) মূল তাফসীরে দশম নবীর নাম উল্লেখ করা হয়নি (আরবি) বলা হয় ঐ দল ও গোত্রকে যার মূল ব্যক্তি উপরে গিয়ে একই হয়ে যায়। তাওরাত ও ইঞ্জীলের উপর আমাদের ঈমান আনা অবশ্য কর্তব্য। কিন্তু আমলের জন্যে শুধুমাত্র কোরআন ও হাদীসই যথেষ্ট। মুসনাদই ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা তাওরাত ও ইঞ্জীলের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর, কিন্তু আমলের জন্যে কুরআনই যথেষ্ট।