slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 203 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ ۞ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ فِىٓ أَيَّامٍۢ مَّعْدُودَٰتٍۢ ۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِى يَوْمَيْنِ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ لِمَنِ ٱتَّقَىٰ ۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ ﴾

“And bear God in mind during the appointed days; but he who hurries away within two days shall incur no sin, and he who tarries longer shall incur no sin, provided that he is conscious of God. Hence, remain conscious of God, and know that unto Him you shall be gathered.”

📝 التفسير:

(আরবি) দ্বারা (আরবি) (১১ই, ১২ই, ও ১৩ই যিলহজ্ব) কে বুঝানো হয়েছে এবং (আরবি) দ্বারা যিলহজ্ব মাসের দশদিন অর্থ নেয়া হয়েছে। আইয়্যামে তাশরীকে ফরয নামাযের পর (আরবি) পাঠ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আরাফার দিন, কুরবানীর দিন এবং আইয়্যামে তাশরীক আমাদের জন্যে অর্থাৎ মুসলমানদের জন্যে খুশীর দিন এবং এই দিনগুলো হচ্ছে পানাহারের দিন (তাফসীর-ই আহমাদ)। অন্য হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ‘আইয়্যামে তাশরীক হচ্ছে খাওয়া, পান করা ও আল্লাহকে স্মরণ করার দিন (আহমদ)। ইতিপূর্বে এই হাদীসটিও বর্ণিত হয়েছে যে, আরাফার সমস্ত জায়গাই হচ্ছে অবস্থানের জায়গা এবং আইয়্যামে তাশরীক সবই হচ্ছে কুরবানীর দিন। এই হাদীসটিও পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে যে, মিনার দিন হচ্ছে তিনটি। দু'দিনে তাড়াতাড়িকারী বা বিলম্বকারীর জন্যে কোন পাপ নেই। ইবনে জারিরের একটি হাদীসে রয়েছে যে, আইয়্যামে তাশরীক হচ্ছে খাওয়া, পান করা ও আল্লাহ তা'আলাকে স্মরণ করার দিন।রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত আবদুল্লাহ বিন হাযাফাকে (রাঃ) এই উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন যে, তিনি যেন মিনার চতুর্দিকে ঘুরে ঘোষণা করেনঃ “এই দিনগুলোতে কেউ যেন রোযা না রাখে। এই দিনগুলো হচ্ছে খাওয়া, পান করা ও আল্লাহকে স্মরণ করার দিন।' অন্য একটি মুরসাল হাদীসের মধ্যে এটুকু বেশী আছে : ‘কিন্তু যার উপর কুরবানীর পরিবর্তে রোযা রয়েছে তার জন্য এটা অতিরিক্ত পুণ্য।' অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, ঘোষণাকারী ছিলেন হযরত বাশার বিন সাহীম (রাঃ)। অন্য হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এই দিনগুলোতে রোযা রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, হযরত আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহর (সঃ) সাদা খচ্চরের উপর আরোহণ করে আনসার ঘাটিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেনঃ “হে জনমণ্ডলী! এই দিনগুলো রোযা রাখার দিন নয়, বরং এগুলো হচ্ছে খাওয়া, পান করা ও আল্লাহকে স্মরণ করার দিন।' হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ (আরবি) হচ্ছে (আরবি) এবং এ হচ্ছে চার দিন। দশই যিলহজ্ব ও তার পরবর্তী তিন দিন। অর্থাৎ ১০ই যিলহজ্ব হতে ১৩ই যিলহজ্ব পর্যন্ত। হযরত ইবনে উমার (রাঃ), হযরত ইবনে যুবাইর (রাঃ), হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ), আতা’ (রঃ), মুজাহিদ (রঃ), ইকরামা (রঃ), সাঈদ বিন যুবাইর (রঃ), আবূ মালিক (রঃ), ইবরাহীম নাখঈ (রঃ), ইয়াহইয়া বিন আবি কাসীর (রঃ), হাসান বসরী (রঃ), কাতাদাহ (রঃ), সুদ্দী (রঃ), যুহরী (রঃ), রাবী' বিন আনাস (রঃ), যহাক (রঃ), মুকাতিল বিন হিব্বান (রঃ), আতা’ খুরাসানী (রঃ), ইমাম মালিক (রঃ) প্রভৃতি মনীষীও এটাই বলেন।হযরত আলী (রাঃ) বলেনঃ “এ হচ্ছে তিন দিন ১০, ১১, ও ১২ই যিলহজ্ব। এই তিন দিনের মধ্যে যে দিন চাও কুরবানী কর। কিন্তু উত্তম হচ্ছে প্রথম দিন। কিন্তু পূর্ব উক্তিটিই প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে। তাছাড়া পবিত্র কুরআনের শব্দ দ্বারাও এটাই সাব্যস্ত হচ্ছে। কেননা বলা হয়েছে যে, দু'দিনের তাড়াতাড়ি ও বিলম্ব ক্ষমার্হ। কাজেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, ঈদের পরে তিন দিন হওয়াই উচিত এবং এই দিনগুলোতে আল্লাহ তা'আলাকে স্মরণ করার সময় হচ্ছে কুরবানীর পশু যবাহ্ করার সময়। পূর্বে এটাও বর্ণিত হয়েছে যে, এ ব্যাপারে ইমাম শাফিঈর (রঃ) মাযহাবই প্রাধান্য প্রাপ্ত। তা হলো এই যে, কুরবানীর সময় হচ্ছে ঈদের দিন হতে নিয়ে আইয়্যামে তাশরীকের শেষ পর্যন্ত। আল্লাহকে স্মরণ কর’ এর ভাবার্থ নামায শেষের নির্দিষ্ট যিগুলোও হতে পারে এবং সাধারণভাবে আল্লাহর যিক্রও ভাবার্থ হতে পারে। এর নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাপারে আলেমগণের মধ্যে মতভেদ থাকলেও সবচেয়ে প্রসিদ্ধ উক্তি এই যে, এই সময় হচ্ছে আরাফার দিনের (৯ই যিলহজ্ব) সকাল থেকে নিয়ে আইয়্যামে তাশরীকের শেষ দিনের (১৩ই যিলহজ্ব) আসরের নামায পর্যন্ত। এ ব্যাপারে দারেকুতনির মধ্যে একটি মারফু হাদীসও রয়েছে। কিন্তু এর মারফু হওয়া সঠিক নয়। হযরত উমার (রাঃ) তাঁর তাঁবুর মধ্যে তাকবীর পাঠ করতেন এবং তাঁর তাকবীর ধ্বনি শুনে বাজারে অবস্থানকারীরাও তাকবীর পাঠ করতো, ফলে মিনা প্রান্তর তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠতো। অনুরূপভাবে ভাবার্থ এও হতে পারে যে, শয়তানদের প্রতি প্রস্তর নিক্ষেপের সময় আল্লাহর যিকর করতে হবে। তা হবে আইয়্যামে তাশরিকের প্রত্যেক দিনেই। সুনানে আবু দাউদ প্রভৃতি হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করা, সাফা মারওয়ায় দৌড়ান, শয়তানদের প্রতি প্রস্তর নিক্ষেপ ইত্যাদি সমস্ত কাজই হচ্ছে আল্লাহ তাআলার যি প্রতিষ্ঠার জন্যে। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা হজ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনের উল্লেখ করেন এবং পরে মানুষ এসব পবিত্র ভূমি ছেড়ে নিজ নিজ শহরে ও গ্রামে ফিরে যাবে, এজন্যে ইরশাদ হচ্ছে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করতে থাকো এবং বিশ্বাস রেখো যে, তোমাদেরকে তারই সম্মুখে একত্রিত করা হবে। তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে রেখেছেন, আবার তিনিই তোমাদেরকে একত্রিত করবেন। অতঃপর তারই সম্মুখে তোমাদেরকে উপস্থিত হতে হবে। সুতরাং তোমরা যেখানেই থাকনা কেন, তাঁকে ভয় করতে থাকো।