slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 259 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ أَوْ كَٱلَّذِى مَرَّ عَلَىٰ قَرْيَةٍۢ وَهِىَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحْىِۦ هَٰذِهِ ٱللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا ۖ فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِا۟ئَةَ عَامٍۢ ثُمَّ بَعَثَهُۥ ۖ قَالَ كَمْ لَبِثْتَ ۖ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍۢ ۖ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِا۟ئَةَ عَامٍۢ فَٱنظُرْ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْ ۖ وَٱنظُرْ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ ءَايَةًۭ لِّلنَّاسِ ۖ وَٱنظُرْ إِلَى ٱلْعِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًۭا ۚ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ ﴾

“Or [art thou, O man, of the same mind] as he who passed by a town deserted by its people, with its roofs caved in, [and] said, "How could God bring all this back to life after its death?" Thereupon God caused him to be dead for a hundred years; where after He brought him back to life [and] said: "How long hast thou remained thus?" He answered: "I have remained thus a day, or part of a day." Said [God]: "Nay, but thou hast remained thus for a hundred years! But look at thy food and thy drink-untouched is it by the passing of years - and look at thine ass! And [We did all this so that We might make thee a symbol unto men. And look at the bones [of animals and men] - how We put them together and then clothe them with flesh!" And when [all this] became clear to him, he said: "I know [now] that God has the power to will anything!"”

📝 التفسير:

উপরে হযরত ইবরাহীমের (আঃ) তর্কের যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ওটার সাথে এর সংযোগ রয়েছে। এই অতিক্রমকারী হয় হযরত উযায়ের (আঃ) ছিলেন যেমন এটা প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে, না হয় তিনি ছিলেন আরমিয়া বিন খালকিয়া এবং এটা হযরত খিযর (আঃ)-এর নাম ছিল। কিংবা ঐ অতিক্রমকারী ছিলেন হযরত হিযকীল বিন বাওয়া (আঃ) অথবা তিনি বানী ইসরাঈলের মধ্যেকার এক ব্যক্তি ছিলেন। এই জনপদ ছিল বায়তুল মুকাদ্দাস। এই উক্তিটিরই প্রসিদ্ধি রয়েছে। রাজা বখতে নাসর যখন ঐ জনবসতি ধ্বংস করে এবং জনগণকে তরবারির নীচে নিক্ষেপ করে তখন ঐ জনবসতি একেবারে শশানে পরিণত হয়। এরপর ঐ মহান ব্যক্তি সেখান দিয়ে গমন করেন। যখন তিনি দেখেন যে, জনপদটি একেবারে শশ্মান হয়ে গেছে, তথায় না আছে কোন বাড়ীঘর,না আছে কোন মানুষ! তথায় অবস্থানরত অবস্থায় তিনি চিন্তা করেন যে, এমন জাকজমকপূর্ণ শহর যেভাবে ধ্বংস হয়েছে এটা কি আর কোন দিন জনবসতি পূর্ণ হতে পারে! অতঃপর আল্লাহ তা'আলা স্বয়ং তাঁকেই মৃত্যু দান করেন। ইনি তো ঐ অবস্থাতেই থাকেন। আর এদিকে সত্তর বছর পর বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরায় জনবসতিপূর্ণ হয়। পলাতক বানী ইসরাঈল আবার ফিরে আসে এবং নিমেষের মধ্যে শহর ভরপুর হয়ে যায়। পূর্বের সেই শোভা ও জাকজমক পুনরায় পরিলক্ষিত হয়। এবারে একশো বছর পূর্ণ হওয়ার পর আল্লাহ তাকে পূনর্জীবিত করেন এবং সর্বপ্রথম চক্ষুর মধ্যে অত্মাি প্রবেশ করে যেন তিনি নিজের পুনজীবন স্বচক্ষে দর্শন করতে পারেন। অতঃপর যখন ফু দিয়ে সারা দেহে আত্মা প্রবেশ করানো হয় তখন আল্লাহ তা'আলা ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁকে জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কত দিন ধরে মরেছিলে:' উত্তরে তিনি বলেনঃ ‘এখনও তো একদিন পুরোই হয়নি। এটা বলার কারণ ছিল এই যে, সকাল বেলায় তাঁর আত্মা বের হয়েছিল এবং একশো বছর পর যখন তিনি জীবিত হন তখন ছিল সন্ধ্যা। সুতরাং তিনি মনে করেন যে, ঐ দিনই রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে বলেনঃ তুমি পূর্ণ একশো বছর মৃত অবস্থায় ছিলে। এখন আমার ক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য কর যে, পাথেয় হিসাবে যে খাদ্য তোমার নিকট ছিল তা একশো বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঐরূপই রয়েছে, পচেওনি এবং সামান্য বিকৃতও হয়নি। ঐ খাদ্য ছিল আঙ্গুর, ডুমুর এবং ফলের নির্যাস। ঐ নির্যাস নষ্ট হয়নি, ডুমুর টক হয়নি এবং আরও খারাপ হয়নি। বরং প্রত্যেক জিনিসই স্বীয় আসল অবস্থায় বিদ্যমান ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাকে বলেনঃ ‘তোমার গাধার যে গলিত অস্থি তোমার সামনে রয়েছে সে দিকে দৃষ্টিপাত কর। তোমার চোখের সামনেই আমি তোমার গাধাকে জীবিত করছি। আমি স্বয়ং তোমাকে মানব জাতির জন্যে নিদর্শন করতে চাই, যেন কিয়ামতের দিন পুনরুত্থানের প্রতি তাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে। অতঃপর তিনি দেখতে দেখতেই অস্থিগুলো স্ব-স্ব জায়গায় সংযুক্ত হয়ে যায়। মুসতাদরাক-ই-হাকিমে রয়েছে যে, নবী (সঃ)-এর পঠন (আরবি) এর সঙ্গেই রয়েছে এবং ওটাকে (আরবি) এর সঙ্গেও পড়া হয়েছে। অর্থাৎ 'আমি জীবিত করবো।' মুজাহিদের (রঃ) পঠনও এটাই। সুদ্দী (রঃ) প্রভৃতি বলেন যে, অস্থিগুলো ডানে বামে ছড়িয়ে ছিল এবং পচে যাওয়ার ফলে ওগুলোর শুভ্রতা চৰ্চ করছিল। বাতাসে ঐগুলো একত্রিত হয়ে যায়। পরে ওগুলো নিজ নিজ জায়গায় যুক্ত হয়ে যায় এবং পূর্ণ কাঠামো রূপে দাঁড়িয়ে যায় ।ওগুলোতে গোশত মোটেই ছিল না। আল্লাহ তা'আলা ওগুলোর উপর গোশত, শিরা ইত্যাদি পরিয়ে দেন। অতঃপর ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন। তিনি তাঁর নাসারন্ধ্রে ফুঁ দেন। আল্লাহ তা'আলার হুকুমে তৎক্ষণাৎ গাধাটি জীবিত হয়ে উঠে এবং শব্দ করতে থাকে। হযরত উয়ের (আঃ) দর্শন করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহর এই সব কারিগরী তার চোখের সামনেই সংঘটিত হয়। এই সব কিছু দেখার পর তিনি বলেনঃ ‘আমার তো এটা বিশ্বাস ছিলই যে, আল্লাহ পাক সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। কিন্তু আজ আমি তা স্বচক্ষে দর্শন করলাম। সুতরাং আমি আমার যুগের সমস্ত লোক অপেক্ষা বেশী জ্ঞান ও বিশ্বাসের অধিকারী। কেউ কেউ আ’লামু শব্দকে ই’লামও পড়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “তুমি জেনে রেখো যে, আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের উপরেই ক্ষমতাবান।'