slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 282 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيْنٍ إِلَىٰٓ أَجَلٍۢ مُّسَمًّۭى فَٱكْتُبُوهُ ۚ وَلْيَكْتُب بَّيْنَكُمْ كَاتِبٌۢ بِٱلْعَدْلِ ۚ وَلَا يَأْبَ كَاتِبٌ أَن يَكْتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ ٱللَّهُ ۚ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ ٱلَّذِى عَلَيْهِ ٱلْحَقُّ وَلْيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ وَلَا يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْـًۭٔا ۚ فَإِن كَانَ ٱلَّذِى عَلَيْهِ ٱلْحَقُّ سَفِيهًا أَوْ ضَعِيفًا أَوْ لَا يَسْتَطِيعُ أَن يُمِلَّ هُوَ فَلْيُمْلِلْ وَلِيُّهُۥ بِٱلْعَدْلِ ۚ وَٱسْتَشْهِدُوا۟ شَهِيدَيْنِ مِن رِّجَالِكُمْ ۖ فَإِن لَّمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌۭ وَٱمْرَأَتَانِ مِمَّن تَرْضَوْنَ مِنَ ٱلشُّهَدَآءِ أَن تَضِلَّ إِحْدَىٰهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَىٰهُمَا ٱلْأُخْرَىٰ ۚ وَلَا يَأْبَ ٱلشُّهَدَآءُ إِذَا مَا دُعُوا۟ ۚ وَلَا تَسْـَٔمُوٓا۟ أَن تَكْتُبُوهُ صَغِيرًا أَوْ كَبِيرًا إِلَىٰٓ أَجَلِهِۦ ۚ ذَٰلِكُمْ أَقْسَطُ عِندَ ٱللَّهِ وَأَقْوَمُ لِلشَّهَٰدَةِ وَأَدْنَىٰٓ أَلَّا تَرْتَابُوٓا۟ ۖ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً حَاضِرَةًۭ تُدِيرُونَهَا بَيْنَكُمْ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَلَّا تَكْتُبُوهَا ۗ وَأَشْهِدُوٓا۟ إِذَا تَبَايَعْتُمْ ۚ وَلَا يُضَآرَّ كَاتِبٌۭ وَلَا شَهِيدٌۭ ۚ وَإِن تَفْعَلُوا۟ فَإِنَّهُۥ فُسُوقٌۢ بِكُمْ ۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ۖ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُ ۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۭ ﴾

“O YOU who have attained to faith! Whenever you give or take credit for a stated term, set it down in writing. And let a scribe write it down equitably between you; and no scribe shall refuse to write as God has taught him: thus shall he write. And let him who contracts the debt dictate; and let him be conscious of God, his Sustainer, and not weaken anything of his undertaking. And if he who contracts the debt is weak of mind or body, or, is not able to dictate himself, then let him who watches over his interests dictate equitably. And call upon two of your men to act as witnesses; and if two men are not available, then a man and two women from among such as are acceptable to you as witnesses, so that if one of them should make a mistake, the other could remind her. And the witnesses must not refuse [to give evidence] whenever they are called upon. And be not loath to write down every contractual provision, be it small or great, together with the time at which it falls due; this is more equitable in the sight of God, more reliable as evidence, and more likely to prevent you from having doubts [later]. If, however, [the transaction] concerns ready merchandise which you transfer directly unto one another, you will incur no sin if you do not write it down. And have witnesses whenever you trade with one another, but neither scribe nor witness must suffer harm; for if you do [them harm], behold, it will be sinful conduct on your part. And remain conscious of God, since it is God who teaches you [herewith] - and God has full knowledge of everything.”

📝 التفسير:

কুরআন কারীমের মধ্যে এই আয়াতটি সবচেয়ে বড় আয়াত। হযরত সাইদ বিন মুসাইয়্যাব (রঃ) বলেনঃ “আমার নিকট এই সংবাদ পৌছেছে যে, কুরআন মাজীদের মধ্যে আরশের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা নতুন আয়াত ঋণের এই আয়াতটিই। আয়াতটি অবতীর্ণ হলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ হযরত আদমই (আঃ) অস্বীকারকারী। আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর তাঁর পৃষ্ঠদেশে হাত বুলিয়ে দেন। ফলে কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর যতগুলো সন্তান জন্মগ্রহণ করবে সবাই বেরিয়ে আসে। হযরত আদম (আঃ) তাঁর সন্তানদেরকে স্বচক্ষে দেখতে পান। একজনকে অত্যন্ত হৃষ্ট পুষ্ট ও ঔজ্জ্বল্যময় দেখে জিজ্ঞেস করেন“হে আল্লাহ! এর নাম কি: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “এটা তোমার সন্তান দাউদ (আঃ)। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ 'তার বয়স কত: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ষাট বছর।' তিনি বলেনঃ তার বয়স তার কিছুদিন বাড়িয়ে দিন! আল্লাহ, তাআলা বলেন-না, তা হবে না। তবে তুমি যদি তোমার বয়সের মধ্য হতে তাকে কিছু দিতে চাও তবে দিতে পার। তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! আমার বয়সের মধ্য হতে চল্লিশ বছর তাকে দেয়া হোক। সুতরাং তা দেয়া হয়। হযরত আদম (আঃ) এর প্রকৃত বয়স ছিল এক হাজার বছর। বয়সের এই আদান -প্রদান লিখে নেয়া হয় এবং ফেরেশতাদেরকে ওর উপর সাক্ষী রাখা হয়। হযরত আদমের (আঃ)-মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! আমার বয়সের এখনও তো চল্লিশ বছর অবশিষ্ট রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তখন বলেনঃ “তুমি তোমার সন্তান দাউদ (আঃ)-কে চল্লিশ বছর দান করেছে। হযরত আদম (আঃ) তা অস্বীকার করেন। তখন তাঁকে ঐ লিখা দেখানো হয় এবং ফেরেশতাগণ সাক্ষ্য প্রদান করেন। দ্বিতীয় বর্ণনায় রয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম (আঃ)-এর বয়স এক হাজার বছর পূর্ণ করেছিলেন। এবং হযরত দাউদ (আঃ) এর বয়স করেছিলেন একশো বছর। (মুসনাদ-ই-আহমাদ) কিন্তু এই হাদীসটি অত্যন্ত গারীব। এর একজন বর্ণনাকারী আলী বিন যায়েদ বিন জাদআন হতে বর্ণিত হাদীসগুলো অগ্রাহ্য হয়ে থাকে। মুসতাদরাক-ই-হাকিমের মধ্যেও এই বর্ণনাটি রয়েছে। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর ঈমানদার বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন-আদান-প্রদান লিখে রাখে, তা হলে ঋণের পরিমাণ ও নির্ধারিত সময়ের ব্যাপারে কোন গণ্ডগোল সৃষ্টি হবে না। এতে সাক্ষীরাও ভুল করবে না। এর দ্বারা ঋণের জন্যে একটি সময় নির্ধারিত করার বৈধতাও সাব্যস্ত হচ্ছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলতেনঃ ‘সময় নির্ধারণ করে ঋণ আদান-প্রদানের অনুমতি এই আয়াত দ্বারা সুন্দরভাবে সাব্যস্ত হচ্ছে। সহীহ বুখারী শরীফে রয়েছে। যে, “মদীনাবাসীদের ঋণ অদান-প্রদান দেখে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে বলেন,-“তোমরা মাপ বা ওজন নির্ধারণ করবে, দর চুকিয়ে নেবে এবং সময়েরও ফায়সালা করে নেবে”। কুরআন কারীমে নির্দেশ হচ্ছে-‘তোমরা লিখে রাখ। আর হাদীস শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমরা নিরক্ষর উম্মত, না আমরা লিখতে জানি, না হিসাব জানি।” এই দুয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য এইভাবে যে, ধর্মীয় জিজ্ঞাস্য বিষয়াবলী এবং শরীয়তের বিধানসমূহ লিখার মমাটেই প্রয়োজন নেই। স্বয়ং মহান আল্লাহর পক্ষ হতে এগুলো অত্যন্ত সহজ করে দেয়া হয়েছে। কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফে মুখস্থ রাখা মানুষের জন্যে প্রকৃতিগতভাবেই সহজ। কিন্তু ইহলৌকিক ছোট খাট আদান-প্রদান ও ধার-কর্জের বিষয়গুলো অবশ্যই লিখে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এটাও স্মরণ রাখবার বিষয় যে, এই নির্দেশ ফরযের জন্যে নয়। সুতরাং না লিখা ধর্মীয় কার্যে এবং লিখে রাখা সাংসারিক কার্যে প্রযোজ্য। কেউ কেউ এই লিখে রাখাকে ফরযও বলেছেন। ইবনে জুরাইজ (রঃ) বলেছেন, যে ধার দেবে সে লিখে রাখবে এবং যে বিক্রি করবে সে সাক্ষী রাখবে। হযরত আবূ সুলাইমান মিরআশী (রঃ) বহুদিন হযরত কা'বের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনি একদা তাঁর পার্শ্ববর্তী লোকদের বলেন-ঐ অত্যাচারিত ব্যক্তি, যে আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করে অথচ তার প্রার্থনা গ্রহণীয় হয় না, তোমরা তার পরিচয় জান কি: তারা বলে-এটা কিরূপে: তিনি বলেন, এটা ঐ ব্যক্তি যে ব্যক্তি একটা নির্ধারিত সময়ের জন্যে ধার দেয় কিন্তু সাক্ষীও রাখে না বা লিখেও রাখে না। অতঃপর নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সে তাগাদা শুরু করে এবং ঋণী ব্যক্তি তা অস্বীকার করে। তখন এই লোকটি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে কিন্তু তার; প্রার্থনা গৃহীত হয় না। কেননা,সে মহান আল্লাহর নির্দেশের বিপরীত করেছে। সুতরাং সে তাঁর অবাধ্য হয়েছে। হযরত আবু সাঈদ (রঃ), শাবী (রঃ), রাবী বিন আনাস (রঃ), হাসান বসরী (রঃ), ইবনে জুরাইজ (রঃ), ইবনে যায়েদ (রঃ) প্রমূখের উক্তি এই যে, এইভাবে লিখে পড়ে রাখার কাজটি প্রথমে অবশ্যকরণীয় কাজ ছিল। কিন্তু পরে তা রহিত হয়ে যায়। পরে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ(আরবি)অর্থাৎ যদি তোমাদের একের অপরের প্রতি আস্থা থাকে তবে যার নিকট তার আমানত রাখা হবে তা যেন সে আদায় করে দেয় (২:২৮৩)। ওর দলীল হচ্ছে নিম্নের হাদীসটি। এই ঘটনাটি পূর্ব যুগীয় উম্মতের হলেও তাদের শরীয়তই আমাদের শরীয়ত, যদি আমাদের শরীয়ত তা অস্বীকার না করে। যে ঘটনা আমরা এখন বর্ণনা করতে যাচ্ছি তাতে লিখা পড়া না হওয়া এবং সাক্ষী ঠিক না রাখাকে আইন রচয়িতা (সঃ) অস্বীকার করেননি। মুসনাদ-ই-আহমাদের মধ্যে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, বানী ইসরাঈলের একটি লোক অন্য একটি লোকের নিকট এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ধার চায়। সে বলেঃ ‘সাক্ষী আন। সে বলেঃ ‘আল্লাহ তাআলার সাক্ষ্যই যথেষ্ট।' সে বলেঃ জামানত আন।' সে বলে “আল্লাহ পাকের জামানতই যথেষ্ট। তথন ঋণ দাতা লোকটিকে বলেঃ তুমি সত্যই বলছো।' অতঃপর ঋণ আদায়ের সময় নির্ধারিত হয় এবং সে তাকে এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা গুনে দেয়। এরপর ঋণ গ্রহীতা লোকটি সামুদ্রিক ভ্রমণে বের হয় এবং নিজের কাজ হতে অবকাশ লাভ করে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেলে সে সমুদ্রের তীরে আগমন করে। তার ইচ্ছে এই যে, কোন জাহাজ আসলে তাতে উঠে বাড়ী চলে আসবে এবং ঐ লোকটির ঋণ পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু কোন জাহাজ পেলো না। এখন সে দেখলো যে, সে সময় মত পৌছতে পারবে না। তখন সে একখানা কাঠ নিয়ে খোদিত করলো এবং তাতে এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা রেখে দিলো ও এক টুকরো কাগজও রাখলো। অতঃপর ওর মুখ বন্ধ করে দিলো এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করলো, | হে প্রভু! আপনি খুব ভাল জানেন যে, আমি অমুক ব্যক্তির নিকট এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা ধার করেছি। সে আমার নিকট জামানত চাইলে আমি আপনাকেই জামিন দেই এবং তাতে সে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। সে সাক্ষী উপস্থিত করতে বললে আমি আপনাকেই সাক্ষী রাখি। সে তাতেও সন্তুষ্ট হয়ে যায়। এখন যখন সময় শেষ হতে চলেছে তখন আমি সদা নৌকা অনুসন্ধান করতে থাকি যে, নৌকা যোগে বাড়ী গিয়ে কর্জ পরিশোধ করবো। কিন্তু কোন নৌকা পাওয়া যায়নি। এখন আমি সেই অংক আপনাকেই সমর্পণ করছি এবং সমুদ্রে নিক্ষেপ করছি ও প্রার্থনা করছি যে,আপনি এই মুদ্রা তার নিকট পৌছিয়ে দিন। অতঃপর সে ঐ কাঠটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করে এবং নিজে চলে আসে। কিন্তু তবুও সে নৌকার খোজেই থাকে যে, নৌকা পেলে চলে যাবে। এখানে তো এই হলো। আর ওখানে যে ব্যক্তি তাকে ঋণ দিয়েছিলো সে যখন দেখলো যে, সময় হয়ে গেছে এবং আজ তার যাওয়া উচিত। কাজেই সেও সমুদ্রের ধারে আসে যে ঐ ঋণ গ্রহীতা আসবে এবং তাকে তার ঋণ পরিশোধ করবে কিংবা কারও হাতে পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু যখন সন্ধ্যা হয়ে গেল কোন নৌকা এলো না তখন সে ফিরে আসার মনস্থ করলো। সমুদ্রের ধারে একটি কাঠ দেখে মনে করলো, বাড়ী তো খালি হাতেই যাচ্ছি কাঠটি নিয়ে যাই। একে ফেড়ে শুকিয়ে জ্বালানি কাঠ রূপে ব্যবহার করা যাবে। বাড়ী পৌছে কাঠটিকে কাড়া মাত্রই ঝন ঝন করে বেজে উঠে স্বর্ণমুদ্রা বেরিয়ে আসে। গণনা করে দেখে যে, পুরো এক হাজারই রয়েছে। তথায় কাগজ খণ্ডের উপর দৃষ্টি পড়ে। ওটা উঠিয়ে পড়ে নেয়। অতঃপর একদিন ঐ লোকটিই এসে এক হাজার দীনার পেশ করতঃ বলে-“আপনার প্রাপ্য মুদ্রা গ্রহণ করুন এবং আমাকে ক্ষমা করুন। আমি সদা অঙ্গীকার ভঙ্গ না করার চেষ্টা করেছি। নৌকা না পাওয়ার কারণে বিলম্ব করতে বাধ্য হয়েছি। আজ নৌকা পাওয়ায় মুদ্রা নিয়ে আপনার নিকট উপস্থিত হয়েছি।' তখন ঐ ঋণ দাতা লোকটি বলে আপনি আমার প্রাপ্য পাঠিয়েও দিয়েছিলেন কি: সে বলে, “আমি তো বলেই দিয়েছি যে, আমি নৌকা পাইনি।' সে বলে, “আপনি আপনার অর্থ নিয়ে সন্তুষ্ট চিত্তে ফিরে যান। আপনি মহান আল্লাহর উপর নির্ভর করতঃ কাঠের মধ্যে ভরে যে মুদ্রা নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন তা আল্লাহ আমার নিকট পৌছিয়ে দিয়েছেন এবং আমি আমার পূর্ণ প্রাপ্য পেয়েছি। এই হাদীসের সনদ সম্পূর্ণ সঠিক। সহীহ বুখারীর মধ্যে সাত জায়গায় এই হাদীসটি এসেছে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, লেখক যেন ন্যায় ও সত্যের সঙ্গে লিখে। লিখার ব্যাপারে যেন কোন দলের উপর অত্যাচার না করে, এদিকে ওদিকে কিছু কম বেশী না করে। বরং আদান-প্রদানকারী একমত হয়ে যা তাকে লিখতে বলবে ঠিক তাই যেন সে লিখে দেয়। যেমন তার প্রতি আল্লাহ তা'আলার অনুগ্রহ রয়েছে যে, তিনি তাকে লিখা-পড়া শিখিয়েছেন, তেমনই যারা লিখা-পড়া জানে না সেও যেন তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করতঃ তাদের আদান প্রদান ঠিকভাবে লিখে দেয়। হাদীস শরীফে এসেছেঃ কোন কার্যরত ব্যক্তিকে সাহায্য করা এবং কোন পতিত ব্যক্তির কাজ করে দেয়াও সাদকা। অন্য হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে বিদ্যা জেনে তা গোপন করে, কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে।'হযরত মুজাহিদ (রঃ) এবং হযরত আতা (রঃ) বলেনঃ “এই আয়াতের ধারা অনুসারে লিখে দেয়া লেখকের উপর ওয়াজিব।” লিখিয়ে নেয়ার দায়িত্ব যার উপর রয়েছে সে যেন হক ও সত্যের সঙ্গে লিখিয়ে নেয় এবং আল্লাহ তা'আলাকে ভয় করতঃ যেন বেশী-কম না করেও বিশ্বাসঘাতকতা না করে। যদি এই লোকটি অবুঝ হয়, দুর্বল হয়, নাবালক হয়, জ্ঞান ঠিক না থাকে কিংবা নির্বুদ্ধিতার কারণে লিখিয়ে নিতে অসমর্থ হয়, তবে তার অভিভাবক ও বড় মানুষ লিখিয়ে নেবে। অতঃপর বলা হচ্ছে যে, লিখার সাথে সাথে সাক্ষ্যও হতে হবে, যেন এই আদান-প্রদানের ব্যাপারটি খুবই শক্ত ও পরিষ্কার হয়ে যায়। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “তোমরা দু’জন পুরুষ লোককে সাক্ষী করবে। যদি দু’জন পুরুষ পাওয়া যায় তবে একজন পুরুষ ও দুজন স্ত্রী হলেও চলবে। এই নির্দেশ ধন-সম্পদের ব্যাপারে এবং সম্পদের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে রয়েছে। স্ত্রী লোকের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই দু'জন স্ত্রী লোককে একজন পুরুষের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। যেমন সহীহ মুসলিম শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ‘হে স্ত্রী লোকেরা! তোমরা দান-খয়রাত কর এবং খুব বেশী আল্লাহ তা'আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। আমি জাহান্নামে তোমাদেরই সংখ্যা বেশী দেখেছি। একজন স্ত্রী লোক বলে, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! এর কারণ কি:' তিনি বলেন, ‘তোমরা খুব বেশী অভিশাপ দিয়ে থাক এবং তোমাদের স্বামীদের অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক। তোমাদের জ্ঞান ও দ্বীনের স্বল্পতা সত্ত্বেও পুরুষদের জ্ঞান হরণকারিণী তোমাদের অপেক্ষা বেশী আর কেউ নেই।' সে পুনরায় জিজ্ঞেস করে, “দ্বীন ও জ্ঞানের স্বল্পতা কিরূপে: তিনি উত্তরে বলেন, জ্ঞানের স্বল্পতা তো এর দ্বারাই প্রকাশিত হয়েছে যে, দু’জন স্ত্রী লোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষ লোকের সাক্ষ্যের সমান আর দ্বীনের স্বল্পতা এই যে, তোমাদের ঋতুর অবস্থায় তোমরা নামায পড় না ও রোযা কাযা করে থাকি। সাক্ষীদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, তাদের ন্যায়পরায়ণ হওয়া শর্ত। ইমাম শাফিঈর (রঃ) মাযহাব এই যে, কুরআন মাজীদের মধ্যে যেখানেই সাক্ষীদের বর্ণনা রয়েছে, সেখানে শব্দে না থাকলেও ভাবার্থে ন্যায়পরায়ণতার শর্ত অবশ্যই রয়েছে। যারা ন্যায়পরায়ণ নয় তাদের সাক্ষ্য যারা প্রত্যাখ্যান করেছেন, এই আয়াতটিই তাদের দলীল। তারা বলেন যে, সাক্ষীগণকে অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ। হতে হবে। দু’জন স্ত্রী লোক নির্ধারণ করারও দূরদর্শিতা বর্ণনা করা হয়েছে যে, যদি একজন ভুলে যায় তবে অপরজন তাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। ফাতুজাক্কিরা শব্দটি অন্য পঠনে ফাতুজাকিরুও রয়েছে। যারা বলেন যে, একজন স্ত্রীর সাক্ষ্য অন্য স্ত্রীর সাক্ষ্যের সাথে মিলে যায় তখন তা পুরুষ লোকের সাক্ষ্যের মতই হয়ে যায়, এটা তাঁদের মন গড়া কথা। প্রথম উক্তিটিই সঠিক। বলা হচ্ছে, সাক্ষীদেরকে ডাকা হলে তারা যেন অস্বীকার না করে অর্থাৎ যখন তাদেরকে বলা হবে তোমরা এসো ও সাক্ষ্য প্রদান কর, তখন তারা যেন অস্বীকৃতি জ্ঞাপন না করে। যেমন লেখকদের ব্যাপারেও এটাই বলা হয়েছে। এখান থেকে এই উপকারও লাভ করা যাচ্ছে যে, সাক্ষী থাকা ফরযে কেফায়া। ‘জমহূরের মাযহাব এটাই' এ কথাও বলা হয়েছে। এই অর্থও বর্ণনা করা হয়েছে যে, যখন। সাক্ষীদেরকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্যে ডাক দেয়া হবে অর্থাৎ যখন তাদেরকে ঘটনা জিজ্ঞেস করা হবে তখন যেন তারা সাক্ষ্য দেয়ার কাজ হতে বিরত না, থাকে। হযরত আবু মুজাল্লা (রঃ), মুজাহিদ (রঃ) প্রভৃতি মনীষীগণ বলেন যে, যখন সাক্ষী হওয়ার জন্য কাউকে ডাকা হবে তখন তার সাক্ষী হওয়ার বা না হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সাক্ষী হয়ে যাওয়ার পর সাক্ষ্য প্রদানের জন্যে আহবান করা হলে অবশ্যই যেতে হবে। সহীহ মুসলিম ও সুনানের হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, 'উত্তম সাক্ষী তারাই যারা সাক্ষ্য না চাইতেই সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের মধ্যে হাদীস রয়েছে যে, ‘জঘন্যতম সাক্ষী তারাই যাদের নিকট সাক্ষ্য না চাইতেই সাক্ষ্য দিয়ে থাকে এবং সেই হাদীসটি-র মধ্যে রয়েছে যে, এমন লোক আসবে যাদের শপথ সাক্ষ্যের উপর ও সাক্ষ্য শপথের উপর অগ্রে অগ্র থাকবে তাতে জানা যাচ্ছে যে, এইসব নিন্দে সূচক কথা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী সম্বন্ধেই বলা হয়েছে এবং উপরের ঐ প্রশংসামূলক কথা সত্য সাক্ষ্য প্রদানকারী সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এইভাবেই এই পরস্পর বিরোধী হাদীসগুলোর মধ্যে অনুরূপতা দান করা হবে। এই হাদীসসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রভৃতি মনীষী বলেন, ‘সাক্ষ্য দিতে ও সাক্ষী হতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা উচিত নয়। এই দু'টোই আয়াতের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন, বিষয় বড়ই হোক আর ছোটই হোক, সময়ের মেয়াদ ইত্যাদি লিখে নাও। আমার এই নির্দেশ ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী এবং সাক্ষ্যের সঠিকতা সাব্যস্তকারী।' কেননা,নিজের লিখা দেখে বিস্মৃত কথাও স্মরণ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে লিখা না থাকলে ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা হয়ে থাকে। লিখা থাকলে সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে কেননা, মতানৈক্যের সময় লিখা দেখে নিঃসন্দেহে মীমাংসা করা যেতে পারে।এরপর বলা হচ্ছে যে, যদি নগদ ক্রয়-বিক্রয় হয় তবে বিবাদের কোন সম্ভাবনা নেই বলে না লিখলেও কোন দোষ নেই। এখন রইলো সাক্ষ্য। এই ব্যাপারে হযরত সাঈদ বিন মুসাইয়্যাব (রঃ) বলেন যে, ধার হোক আর নগদই হোক সর্বাবস্থাতেই সাক্ষী রাখতে হবে। অন্যান্য মনীষী হতে বর্ণিত আছে যে, (আরবি) এই কথা বলে আল্লাহ তা'আলা সাক্ষ্য প্রদানের নির্দেশও উঠিয়ে নিয়েছেন। এটাও মনে রাখার বিষয় যে, জমহরের মতে এই নির্দেশ ওয়াজিবের জন্যে নয়, বরং এর মধ্যে মঙ্গল নিহিত আছে বলে মুস্তাহাব হিসেবে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর দলীল হচ্ছে নিম্নের হাদীসটি যার মধ্যে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ক্রয়-বিক্রয় করেছেন কিন্তু সাক্ষী রাখেননি। মুসনাদ-ই-আহমাদের মধ্যে হাদীস রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একজন বেদুঈনের নিকট হতে একটি ঘোড়া ক্রয় করেন। বেদুঈন মূল্য। নেয়ার উদ্দেশ্যে তার পিছনে পিছনে তার বাড়ীর দিকে আসে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) খুব দ্রুত চলছিলেন এবং বেদুঈনটি ধীরে ধীরে চলছিল। ঘোড়াটি যে বিক্রি হয়ে গেছে এ সংবাদ জনগণ জানতো না বলে তারা ঐ ঘোড়ার দাম করতে থাকে এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট ঘোড়াটি যে দামে বিক্রি করেছিল তার চেয়ে বেশী দাম লেগে যায়। বেদুঈন নিয়্যত পরিবর্তন করতঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে ডাক দিয়ে বলে- জনাব, আপনি হয় ঘোড়াটি ক্রয় করুন, না হয় আমি অন্যের হাতে বিক্রি করে দেই।' একথা শুনে নবী (সঃ) থেমে যান এবং বলেন-“তুমি তো ঘোড়াটি আমার হাতে বিক্রি করেই ফেলেছো; সুতরাং এখন আবার কি বলছো:’ বেদুঈনটি তখন বলে, “আল্লাহর শপথ! আমি বিক্রি করিনি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, তোমার ও আমার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে গেছে। এখন এদিক ওদিক থেকে তোক একথা ওকথা বলতে থাকে। ঐ নির্বোধ তখন বলে, আমি আপনার নিকট বিক্রি করেছি তার সাক্ষী আনয়ন করুন। মুসলমানগণ তাকে বারবার বলে, ওরে হতভাগা! তিনি তো আল্লাহর রাসূল, তার মুখ দিয়ে ততা সত্য কথাই বের হয়। কিন্তু তার এই একই কথা-সাক্ষ্য আনয়ন করুন। এমন সময় হযরত খুযাইমা (রাঃ) এসে পড়েন এবং বেদুঈনের কথা শুনে বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর হাতে ঘোড়াটি বিক্রি করেছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে বলেন, তুমি কি করে সাক্ষ্য দিচ্ছ: তিনি বলেন, আপনার সত্যবাদিতার উপর ভিত্তি করে। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, আজ খুযাইমার (রাঃ) সাক্ষ্য দু'জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের সমান। সুতরাং এই হাদীস দ্বারা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা প্রমাণিত হয় না। কিন্তু মঙ্গল ওর মধ্যেই রয়েছে যে, ব্যবসা বাণিজ্যেরও সাক্ষী রাখতে হবে। কেননা, তাফসীরে ইবনে মিরদুওয়াই ও মুসতাদরাক-ই-হাকিমের মধ্যে রয়েছে, তিন ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করে; কিন্তু তাদের প্রার্থনা কবুল হয়। প্রথম ঐ ব্যক্তি যার ঘরে দুশ্চরিত্রা স্ত্রী রয়েছে অথচ সে তাকে পরিত্যাগ করে না। দ্বিতীয় ঐ ব্যক্তি যে পিতৃহীনকে তার মাল তার প্রাপ্ত বয়সের পূর্বেই সমর্পণ করে। তৃতীয় ঐ ব্যক্তি যে কাউকে মাল ধার দেয় কিন্তু সাক্ষী রাখে না। ইমাম হাকিম (রঃ) হাদীসটিকে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের শর্তের উপর সহীহ বলেছেন। ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) হাদীসটিকে তাঁদের কিতাবে আনেননি। তার কারণ এই যে, হযরত শু'বার (রঃ) শিষ্য এই বর্ণনাটিকে হযরত আবু মূসা আশআরীর (রাঃ) উপর মাওকুফ বলে থাকেন। অর্থাৎ সনদ নবী (সঃ) পর্যন্ত পৌছেনি। এর পর বলা হচ্ছে যে, যা লিখিয়ে নিচ্ছে লেখক যেন তার বিপরীত কথা না লিখে। অনুরূপভাবে সাক্ষীরও উচিত যে, সে যেন মূল ঘটনার উল্টো সাক্ষ্য না দেয় বা যেন সাক্ষ্য প্রদানে কার্পণ্য না করে। হযরত হাসান বসরী (রঃ) এবং কাতাদাহ (রঃ) প্রমুখ মনীষীর এটাই উক্তি। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এই দু’জনকে কষ্ট দেয়া হবে না’ এর ভাবার্থ এই বর্ণনা করেছেন যে, যেমন কেউ তাদেরকে ডাকতে গেল। সেই সময় তারা তাদের কাজকর্মে লিপ্ত রয়েছে। এই লোকটি তাদেরকে বলে ঐ কাজ দু’টো সম্পাদন করা তোমাদের উপর ফরয। সুতরাং নিজেদের ক্ষতি করে তথায় তোমাদেরকে অবশ্যই যেতে হবে।' এ কথা তাদেরকে বলার অধিকার তার নেই। অন্যান্য বহু মনীষী হতেও এটাই বর্ণিত আছে।অতঃপর ইরশাদ হচ্ছে-‘আমি যা করতে নিষেধ করি তা করা এবং যা করতে বলি তা হতে বিরত থাকা চরম অন্যায়। এর শাস্তি তোমাদেরকে অবশ্যই ভোগ করতে হবে।' এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেন-“তোমরা প্রতিটি কাজে আল্লাহ তাআলার কথা স্মরণ করতঃ তাঁকে ভয় করে চল, তাঁর আদেশ পালন কর এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত থাকে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে ইমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় করে চল তবে তিনি তোমাদেরকে দলীল প্রদান করবেন। (৮:২৯) অন্য স্থানে রয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস রেখো, তিনি তোমাদেরকে দ্বিগুণ করুণা দান করবেন এবং তোমাদেরকে এমন নূর দান করবেন যার ঔজ্জ্বল্যে তোমরা চলতে থাকবে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন ‘কার্যসমূহের পরিণাম এবং গূঢ় রহস্য সম্পর্কে, ঐগুলোর মঙ্গল ও দূরদর্শিতা সম্পর্কে আল্লাহ সম্পূর্ণ সজাগ রয়েছেন। কোন কিছুই তার দৃষ্টির অন্তরালে নেই; তার জ্ঞান সারা জগৎকে ঘিরে রয়েছে এবং প্রত্যেক জিনিসেরই প্রকৃত জ্ঞান তার রয়েছে।