Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ ۞ وَإِن كُنتُمْ عَلَىٰ سَفَرٍۢ وَلَمْ تَجِدُوا۟ كَاتِبًۭا فَرِهَٰنٌۭ مَّقْبُوضَةٌۭ ۖ فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُم بَعْضًۭا فَلْيُؤَدِّ ٱلَّذِى ٱؤْتُمِنَ أَمَٰنَتَهُۥ وَلْيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ ۗ وَلَا تَكْتُمُوا۟ ٱلشَّهَٰدَةَ ۚ وَمَن يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُۥٓ ءَاثِمٌۭ قَلْبُهُۥ ۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌۭ ﴾
“And if you are on a journey and cannot find a scribe, pledges [may be taken] in hand: but if you trust one another, then let him who is trusted fulfil his trust, and let him be conscious of God, his Sustainer. And do not conceal what you have witnessed - for, verily, he who conceals it is sinful at heart; and God has full knowledge of all that you do.”
অর্থাৎ বিদেশে যদি ধারের আদান-প্রদান হয় এবং কোন লেখক পাওয়া না যায় অথবা কলম, কালি, কাগজ ইত্যাদি না থাকে তবে বন্ধক রাখো এবং যে জিনিস বন্ধক রাখবে তা ঋণ দাতার অধিকারে দিয়ে দাও। (আরবি) শব্দ দ্বারা এই দলীল গ্রহণ করা হয়েছে যে, বন্ধক যে পর্যন্ত অধিকারে না আসবে সেই পর্যন্ত তা অপরিহার্য হবে না। এটাই ইমাম শাফিঈ (রঃ) ও জমহূরের মাযহাব। অন্য দল এই দলীল গ্রহণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করেছে তার হাতেই বন্ধকের জিনিস রাখা জরুরী। ইমাম আহমাদ (রঃ) এবং অন্য একটি দল হতে এটাই নকল করা হয়েছে। অন্য একটি দলের উক্তি এই যে, শরীয়তে শুধুমাত্র সফরের জন্যেই বন্ধকের বিধান রয়েছে। যেমন হযরত মুজাহিদ (রঃ) প্রভৃতি মনীষীর উক্তি। কিন্তু সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের মধ্যে রয়েছে যে,যখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) দুনিয়া হতে চির বিদায় গ্রহণ করেন তখন তাঁর লৌহ বর্মটিআবুশ শাহাম নামক একজন ইয়াহূদীর নিকট তিন ‘ওয়াসাক’ যবের বিনিময়ে বন্ধক ছিল, যে যব তিনি স্বীয় পরিবারের খাবারের জন্যে গ্রহণ করেছিলেন। এইসব জিজ্ঞাস্য বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করার জায়গা তাফসীর নয়। বরং তার জন্যে বড় বড় আহকামের কিতাব রয়েছে। এর পরবর্তী বাক্য।(আরবি) দ্বারা পূর্বের নির্দেশ রহিত হয়েছে। শাবী। (রঃ) বলেন যে, যখন না দেয়ার ভয় থাকবে না তখন লিখে না রাখলে বা সাক্ষী রাখলে কোন দোষ নেই।যার নিকট কিছু গচ্ছিত রাখা হবে তার আল্লাহকে ভয় করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “হাতের উপরে রয়েছে যা তুমি গ্রহণ করেছো যে পর্যন্ত না তুমি আদায় কর। আল্লাহ তাআলা বলেন, সাক্ষ্য গোপন করো না, বিশ্বাস ভঙ্গ করো না এবং তা প্রকাশ করা হতে বিরত হয়ো না। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ মনীষী বলেন যে, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং সাক্ষ্যকে গোপন করা বড় পাপ (কবিরা গুনাহ)। এখানেও বলা হচ্ছে যে, সাক্ষ্য গোপনকারীর মন পাপাচারী। অন্যস্থানে রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ আমরা আল্লাহর সাক্ষ্য গোপন করি না, এবং যদি আমরা এরূপ করি তবে নিশ্চয় আমরা পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। (৫:১০৬) অন্যত্র রয়েছেঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা সত্য ও ন্যায়ের সঙ্গে আল্লাহর উপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাক যদিও তা তোমাদের নিজেদের, পিতা-মাতার এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রতিকূলে হয়; যদি সে ধনী হয় বা দরিদ্র হয় তবে আল্লাহ তাদের অপেক্ষা উত্তম, অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও বা এড়িয়ে চল তবে জেনে রেখো, আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী সম্যক অবগত রয়েছেন। এখানে আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না, সাক্ষ্য গোপনকারীর অন্তর পাপাচারী এবং আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী সম্যক জ্ঞাতা।'