slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 41 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَءَامِنُوا۟ بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًۭا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا۟ أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِى ثَمَنًۭا قَلِيلًۭا وَإِيَّٰىَ فَٱتَّقُونِ ﴾

“Believe in that which I have [now] bestowed from on high, confirming the truth already in your possession, and be not foremost among those who deny its truth; and do not barter away My messages for a trifling gain; and of Me, of Me be conscious”

📝 التفسير:

৪০-৪১ নং আয়াতের তাফসীর বানী ইসরাঈলকে ইসলামের আমন্ত্রণ উল্লিখিত আয়াত দুটিতে বানী ইসরাঈলকে ইসলাম গ্রহণের ও মুহাম্মদ (সঃ)-এর আনুগত্য স্বীকার করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কি সুন্দর রীতিতে তাদেরকে বুঝানো হচ্ছে যে, তোমরা এক নবীরই সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত এবং তোমাদের হাতে আল্লাহর কিতাব বিদ্যমান রয়েছে, আর কুরআন কারীম এর সত্যতা স্বীকার করছে। সুতরাং তোমাদের জন্যে এটা মোটেই উচিত নয় যে, তোমরাই সর্বপ্রথম অস্বীকারকারী হয়ে যাবে। হযরত ইয়াকূব (আঃ)-এর নাম ছিল ইসরাঈল (আঃ)। তাহলে যেন তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, তোমরা আমার সৎ ও অনুগত বান্দারই সন্তান। সুতরাং তোমাদের সম্মানিত পূর্বপুরুষের মত তোমাদেরও সত্যর অনুসরণ করা উচিত। যেমন বলা হয়ে থাকে যে, তুমি দানশীলের ছেলে, সুতরাং তুমি দানশীলতায় অগ্রগামী হয়ে যাও। তুমি বীরের পুত্র, সুতরাং বীরত্ব প্রদর্শন কর। তুমি বিদ্বানের ছেলে, সুতরাং বিদ্যায় পূর্ণতা লাভ কর।অন্য স্থানে এ রচনা রীতি এভাবে এসেছেঃ “আমার কৃতজ্ঞ বান্দা হযরত নূহ (আঃ)-এর সঙ্গে যাদেরকে বিশ্বব্যাপী তুফান হতে রক্ষা করেছিলাম, এরা তাদেরই সন্তান। একটি হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইয়াহূদীদের একটি দলকে জিজ্ঞেস করেনঃ হযরত ইয়াকূব (আঃ)-এর নাম যে ইসরাঈল ছিল তা কি তোমরা জান না?' তারা সবাই শপথ করে বলেঃ‘আল্লাহর শপথ! এটা সত্য। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বলেনঃ “হে আল্লাহ্! আপনি সাক্ষী থাকুন। ‘ইসরাঈল’-এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে আল্লাহর বান্দা। তাদেরকে ঐ সব অনুগ্রহের কথা স্মরণ করানো হচ্ছে যা ব্যাপক ক্ষমতার বড় বড় নিদর্শন ছিল। যেমন পাথর হতে নদী প্রবাহিত করা, মান্না’ ও ‘সালওয়া' অবতরণ করা, ফিরআউনের দলবল হতে রক্ষা করা, তাদের মধ্যে হতেই নবী রাসূল প্রেরণ করা, তাদেরকে সাম্রাজ্য ও রাজতু দান করা ইত্যাদি।আমার অঙ্গীকার পুরো কর, অর্থাৎ তোমাদের কাছে যে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, যখন মুহাম্মদ (সঃ) আগমন করবেন এবং তার উপর আমার কিতাব অবতীর্ণ হবে তখন তোমরা তার উপর ও কিতাবের উপর ঈমান আনবে। তিনি তোমাদের বোঝা হালকা করবেন, তোমাদের শৃংখল ভেঙ্গে দেবেন এবং গলাবন্ধ দুরে নিক্ষেপ করে দেবেন। আর আমার অঙ্গীকারও পুরো হয়ে যাবে এইভাবে যে, আমি এই ধর্মের কঠিন নির্দেশগুলো যা তোমরা নিজেদের উপরে চাপিয়ে রেখেছো, সরিয়ে দেবো এবং শেষ যুগের নবীর (সঃ) মাধ্যমে একটি সহজ ধর্ম প্রদান করবো। অন্য জায়গায় এর বর্ণনা এভাবে হচ্ছেঃ যদি তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর ও যাকাত আদায় কর এবং আমাকে উত্তম ঋণ প্রদান কর তবে আমি তোমাদের অমঙ্গল দূর করে দেবে এবং তোমাদেরকে প্রবাহমান নদী বিশিষ্ট বেহেশতে প্রবেশ করাবো। এই ভাবার্থ বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাওরাতে অঙ্গীকার করা হয়েছিলঃ হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর সন্তানদের মধ্যে এমন এক বড় মর্যাদা সম্পন্ন রাসূল সৃষ্টি করবো যার অনুসরণ করা সমস্ত সৃষ্টজীবের প্রতি ফরয করে দেবো, এবং দ্বিগুণ প্রতিদান প্রদান করবো।'হযরত ইমাম রাযী (রঃ) স্বীয় তাফসীরে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে বড় বড় নবীগণের ভবিষ্যদ্বানী উদ্ধৃত করেছেন। এও বর্ণিত আছে যে, বান্দার অঙ্গীকারের অর্থ হচ্ছে ইসলামকে মান্য করা এবং তার উপর আমল করা। আর আল্লাহর অঙ্গীকার পুরো করার অর্থ হচ্ছে-তাদের প্রতি সস্তৃষ্ট হয়ে তাদেরকে বেহেশত দান করা। আমাকেই ভয় কর এর অর্থ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তাঁর বান্দারদেরকে বলছেন যে, তাঁর বান্দাদের তাঁকে ভয় করা উচিত। কেননা, যদি তারা তাঁকে ভয় না করে তবে তাদের উপরও এমন শাস্তি এসে পড়বে যে শাস্তি তাদের পূর্ববর্তীদের উপর এসেছিল। বর্ণনা রীতি কি চমৎকার যে, উৎসাহ প্রদানের পরই ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে। উৎসাহ ও ভয় প্রদর্শন একত্রিত করে সত্য গ্রহণ ও মুহাম্মদ (সঃ)-এর অনুসরণের প্রতি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কুরআন মাজীদ হতে উপদেশ গ্রহণ করতে, তাতে বর্ণিত নির্দেশাবলী পালন করতে এবং নিষিদ্ধ কার্য হতে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এজন্যেই এর পরেই আল্লাহ তাদেরকে বলেছেন যে, তারা যেন সেই কুরআনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে যা তাদের নিজস্ব কিতাবেরও সত্যতা স্বীকার করে। এটা এনেছেন এমন নবী যিনি নিরক্ষর আরবী, সুসংবাদ প্রদানকারী, ভয় প্রদর্শনকারী, আলোকময় প্রদীপ সদৃশ, যার নাম মুহাম্মদ (সঃ),যিনি তাওরাত ও ইঞ্জীলকে সত্য প্রতিপন্নকারী এবং যিনি সত্যের বিস্তার সাধনকারী। তাওরাত ও ইঞ্জীলেও মুহাম্মদ (সঃ)-এর বর্ণনা ছিল বলে তাঁর আগমনই ছিল তাওরাত ও ইঞ্জীলের সত্যতার প্রমাণ। আর এ জন্যেই তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, তিনি তাদের কিতাবের সত্যতার প্রমাণরূপে আগমন করেছেন। সুতরাং তাদের অবগতি সত্ত্বেও যেন তারা তাঁকে প্রথম অস্বীকার না করে বসে। কেউ কেউ বলেন যে, (আরবি)-এর (আরবি) সর্বনামটি কুরআনের দিকে ফিরেছে। কেননা পূর্বে (আরবি) এসেছে। প্রকৃতপক্ষে দু’টি মতই সঠিক। কেননা কুরআনকে মান্য করার অর্থ হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে মান্য করা এবং রাসূলের (সঃ) সত্যতা স্বীকার করে নেয়া। (আরবি)-এর ভাবার্থ হচ্ছে বানী ইসরাঈলের প্রথম কাফির। কারণ কুরায়েশ বংশীয় কাফিরেরাও তো কুফরী ও অস্বীকার করেছিল। কিন্তু বানী ইসরাঈলের কুফরী ছিল আহলে কিতাবের প্রথম দলের কুফরী। এজন্যেই তাদেরকে প্রথম কাফির বলা হয়েছে। তাদের সেই অবগতি ছিল যা অন্যদের ছিল না। আমার আয়াতসমূহের পরিবর্তে তুচ্ছ বিনিময় গ্রহণ করো না। এর ভাবার্থ হচ্ছে এই যে, বানী ইসরাঈল যেন আল্লাহর আয়াতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাঁর রাসূলের (সঃ) সত্যতা স্বীকার পরিত্যাগ না করে। এর বিনিময়ে যদি সারা দুনিয়াও তারা পেয়ে যায় তথাপি আখেরাতের তুলনায় এটা অতি তুচ্ছ ও নগণ্য। আর এটা স্বয়ং তাদের কিতাবেও বিদ্যমান আছে।সুনান-ই-আবি দাউদের মধ্যে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে বিদ্যার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, তা যদি কেউ দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে তবে সে কিয়ামতের দিন বেহেশতের সুগন্ধি পর্যন্ত পাবে না।' নির্ধারণ না করে ধর্মীয় বিদ্যা শিক্ষা দেয়ার মজুরী নেয়া বৈধ। শিক্ষক যেন স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারেন, এবং স্বীয় প্রয়োজনাদি পুরো করতে পারেন তজ্জন্যে বায়তুলমাল হতে গ্রহণ করাও তাঁর জন্যে বৈধ। যদি বায়তুল মাল হতে কিছুই পাওয়া না যায় এবং বিদ্যা শিক্ষা দেয়ার কারণে শিক্ষক অন্য কাজ করারও সুযোগ না পান তবে তার জন্যে বেতন নির্ধারণ করাও বৈধ। ইমাম মালিক (রঃ), ইমাম শাফিঈ (রঃ), ইমাম আহমাদ (রঃ) এবং জমহর উলামার এটাই মাযহাব।সহীহ বুখারী শরীফের ঐ হাদীসটিও এর দলীল যা হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নির্ধারণ করে মজুরী নিয়েছেন এবং একটি সাপে কাটা রোগীর উপর কুরআন পড়ে ফুক দিয়েছেন। এ ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট বর্ণনা করা হলে তিনি বলেনঃ যার উপরে তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক তার সবচেয়ে বেশী হকদার হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। অন্য একটি সুদীর্ঘ হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একটি স্ত্রীলোকের সঙ্গে একটি পুরুষ লোকের বিয়ে দিয়েছেন এবং তাকে বলেছেনঃ “তোমার সঙ্গে এই নারীর বিয়ে দিলাম এই মোহরের উপরে যে, তোমার যেটুকু কুরআন মাজীদ মুখস্থ আছে তা তুমি তাকে মুখস্থ করিয়ে দেবে।সুনান-ই-আবি দাউদের একটি হাদীসে আছে যে, একটি লোক আহলে সুফফাদের কোন একজনকে কিছু কুরআন মাজীদ শিখিয়েছিলেন। তার বিনিময়ে তিনি তাকে একটি কামান উপঢৌকন স্বরূপ দিয়েছিলেন। লোকটি রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেনঃ “তুমি যদি আগুনের কামান নেয়া পছন্দ কর তবে তা গ্রহণ কর। সুতরাং তিনি তা ছেড়ে দেন। হযরত উবাই বিন কা'ব (রাঃ) হতেও এইরূপই একটি মারফু হাদীস বর্ণিত আছে। এই দু’টি হাদীসের ভাবার্থ এই যে, তিনি যখন একমাত্র আল্লাহর জন্যেই এই নিয়্যাতে শিখিয়েছিলেন, তখন আর তার জন্যে উপটৌকন গ্রহণে স্বীয় পুণ্য নষ্ট করার কি প্রয়োজন? কিন্তু যখন প্রথম হতে বিনিময় গ্রহণের উদ্দেশ্যে শিক্ষা দেয়া হবে তখন নিঃসন্দেহে জায়েয হবে। যেমন উপরের দু'টি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ সবচেয়ে বেশী জানেন।শুধুমাত্র আল্লাহকেই ভয় করার অর্থ এই যে, আল্লাহর রহমতের আশায় তার ইবাদত ও আনুগত্যে লেগে থাকতে হবে এবং তার শাস্তির ভয়ে তার অবাধ্যতা ত্যাগ করতে হবে। এই দু’অবস্থাতেই স্বীয় প্রভুর পক্ষ হতে সে একটি জ্যোতির উপর থাকে। মোটকথা তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে যে, তারা যেন দুনিয়ার লোভে তাদের কিতাবে উল্লিখিত নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর নবুওয়াতের সত্যতা গোপন না করে এবং দুনিয়ার শাসন ক্ষমতার মোহে পড়ে বিরুদ্ধাচরণ না করে, বরং প্রভুকে ভয় করতঃ সত্যকে প্রকাশ করতে থাকে।