Al-Baqara • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَقَالُوا۟ قُلُوبُنَا غُلْفٌۢ ۚ بَل لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَقَلِيلًۭا مَّا يُؤْمِنُونَ ﴾
“But they say, "Our hearts are already full of knowledge." Nay, but God has rejected them because of their refusal to acknowledge the truth: for, few are the things in which they believe.”
ইয়াহূদীরা এ কথাও বলতো যে, তাদের অন্তরের উপর আচ্ছাদন রয়েছে। অর্থাৎ ওটা জ্ঞানে পরিপূর্ণ রয়েছে, সুতরাং এখন আর তাদের জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। উত্তরে তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, এটা নয়, রবং তাদের অন্তরেরর উপর আল্লাহর লানতের মোহর লেগে গেছে। তাদের ঈমান লাভের সৌভাগ্যই হয় না (আরবি) শব্দটিকে (আরবি) ও পড়া হয়েছে। অর্থাৎ ইলমের বরতন। কুরআন পাকের অন্য জায়গায় আছেঃ “তোমরা যে জিনিসের দিকে আমাদেরকে আহবান করছে ওটা হতে আমাদের অন্তর পর্দার আড়ালে রয়েছে। ওর উপর মোহর লেগে রয়েছে, ওটা (অন্তর) এটা বুঝে না, ওর প্রতি আসক্তও হয় না, ওকে স্মরণও রাখে না। একটি হাদীসের মধ্যেও আছে যে, কতক অন্তর আচ্ছাদনী যুক্ত রয়েছে, যার উপর আল্লাহর অভিশাপ থাকে, এ রকম অন্তর কাফিরদের হয়ে থাকে।সূরা নিসার মধ্যেও এ অর্থের একটি আয়াত আছে। অল্প ঈমান রাখার একটি অর্থ তো এই যে, তাদের মধ্যে খুব অল্প লোকই ঈমানদার আছে। আর দ্বিতীয় অর্থ এটাও হয় যে, তাদের ঈমান খুবই অল্প। অর্থাৎ যারা হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর ঈমান এনেছে তারা কিয়ামত, পুণ্য, শাস্তি ইত্যাদির উপর ঈমান রাখে, তাওরাতকে আল্লাহর কিতাব বলে মেনে থাকে। কিন্তু শেষ নবী (সঃ)-এর উপর ঈমান এনে তাদের ঈমানকে পূর্ণ করে না, বরং তার সঙ্গে কুফরী করতঃ ঐ অল্প ঈমানকেও নষ্ট করে থাকে।তৃতীয় অর্থ এই যে, তারা সরাসরি বেঈমান। কেননা, আরবী ভাষায় এরূপ স্থলে সম্পূর্ণ না হওয়ার অবস্থাতেও এরকম শব্দ আনা হয়ে থাকে। যেমন আমি এরকম লোক খুব কমই দেখেছি , অর্থাৎ মোটেই দেখিনি। আল্লাহই সবচেয়ে বেশী জানেন।