Taa-Haa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ خَٰلِدِينَ فِيهِ ۖ وَسَآءَ لَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ حِمْلًۭا ﴾
“they will abide in this [state], and grievous for them will be the weight [of that burden] on the Day of Resurrection -”
৯৯-১০১ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) বলছেনঃ যেমন আমি মূসার (আঃ) ঘটনাকে প্রকৃতরূপে তোমার সামনে বর্ণনা করে দিয়েছি, তেমনিভাবে আরো অনেক অতীতের ঘটনা তোমার সামনে আমি হুবহু বর্ণনা করেছি। আমি তোমাকে মহান কুরআন দান করেছি। ইতিপূর্বে কোন বীকে এর চেয়ে বেশী পূর্ণতা প্রাপ্ত, বেশী অর্থবহ এবং বেশী বরকতময় কিতাব প্রদান করা হয় নাই। এই কুরআন কারীমই হচ্ছে সবচেয়ে বেশী উন্নতমানের কিতাব। এর মধ্যে অতীতের ঘটনাবলী, ভবিষ্যতের কার্যাবলী এবং প্রতিটি কাজের পন্থা বর্ণিত হয়েছে। যারা এটাকে মানে না, এর থেকে বিমুখ হয়, এর আহকাম হতে পালিয়ে যায় এবং এটাকে বাদ দিয়ে অন্য কিছুতেই হিদায়াত অনুসন্ধান করে সে পথভ্রষ্ট এবং জাহান্নামী। কিয়ামতের দিন সে নিজের বোঝা নিজেই বহন করবে এবং ওটা হবে খুবই মন্দ বোঝা। যে এর সাথে কুফরী করবে সে জাহান্নামে যাবে। কিতাবী হোক বা গায়ের কিতাবী হোক, আরবী হোক বা আজমী হোক যেই এটাকে অস্বীকার করবে সেই জাহান্নামী হবে। যেমন ঘোষিত হয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি এর দ্বারা তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন ও সতর্ক করছি এবং তাদেরকেও যাদের কাছে এটা পৌঁছবে।" (৬:১৯) সুতরাং এর অনুসরণকারী হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং এর বিরোধিতাকারী পথভ্রষ্ট ও হতভাগ্য। দুনিয়াতেও সে ধ্বংস হলো এবং আখেরাতেও হবে সে জাহান্নামী। ঐ আযাব থেকে সে কখনো মুক্তি ও পরিত্রাণ ও পাবে না এবং সেখান থেকে পালিয়ে যেতেও সক্ষম হবে না। সেই দিন তারা যে বোঝা বহন করবে তা হবে খুবই মন্দ বোঝা।