slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 25 من سورة سُورَةُ الحَجِّ

Al-Hajj • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ٱلَّذِى جَعَلْنَٰهُ لِلنَّاسِ سَوَآءً ٱلْعَٰكِفُ فِيهِ وَٱلْبَادِ ۚ وَمَن يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍۭ بِظُلْمٍۢ نُّذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍۢ ﴾

“BEHOLD, as for those who are bent on denying the truth and bar [others] from the path of God and from the Inviolable House of Worship which We have set up for all people alike - [both] those who dwell there and those who come from abroad - and all who seek to profane it by [deliberate] evildoing: [all] such shall We cause to taste grievous suffering in the life to come.]”

📝 التفسير:

আল্লাহ তাআলা কাফিরদের এ কাজ খণ্ডন করছেন যে, তারা মুসলমানদেরকে মসজিদুল-হারাম হতে নিবৃত্ত রাখতো এবং তাদেরকে হজ্জের আহকাম পালন করা হতে বিরত রাখতো। এতদসত্ত্বেও তারা নিজেদেরকে আল্লাহর ওয়ালী বা প্রিয় পাত্র মনে করতো। অথচ তার ওয়ালী তো তারাই যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে। এর দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, এটা মাদানী আয়াত। যেমন মহান আল্লাহ সূরা বাকারায় বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি বলে দাওঃ ওতে যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়, কিন্তু আল্লাহর পথে বাধা দান করা, আল্লাহকে অস্বীকার করা, মসজিদুল-হারামে বাধা দেয়া এবং ওর বাসিন্দাকে ওখান থেকে বহিষ্কার করা আল্লাহর নিকট তদপেক্ষা বেশী অন্যায়।”(২:২১৭) এই আয়াতে এই তারতীব বিন্যাসই রয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলার উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ “তাদের বিশেষণ এই যে, যারা ঈমান আনে তাদের অন্তর আল্লাহর যিকরের কারণে প্রশান্ত থাকে। জেনে রেখো, আল্লাহর স্বরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়।” (১৩:২৮)। মসজিদুল-হারামকে আল্লাহ তাআলা সবারই জন্যে সমানভাবে মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। এতে স্থানীয় ও বহিরাগতদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মক্কাবাসীও মসজিদে হারামে যেতে পারে এবং বাইরের লোকও পারে। তথাকার ঘরবাড়ীতে তথাকার বাসিন্দা ও বাইরের লোক সমান অধিকার রাখে। এই মাসআলায় ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বলের (রঃ) সামনে ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ও ইমমি ইসহাক ইবনু রাহওয়াই-এর (রঃ) মধ্যে মতানৈক্য হয়। ইমাম শাফেয়ী (রাঃ) বলেন যে, মক্কার ঘর বাড়ীগুলোকে মালিকানাধীনে আনা যেতে পারে, ওয়ারিসদের মধ্যে বন্টন করা যেতে পারে এবং ভাড়াও দেয়া যেতে পারে। দলীল হিসেবে তিনি ইমাম যুহীর (রঃ) বর্ণিত হাদীসটি পেশ। করেছেন। তা এই যে, হযরত উসামা ইবনু যায়েদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহকে (সঃ) জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আগামীকাল আপনি আপনার মক্কার বাড়ীতে প্রবেশ করবেন কি?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “আকীল আমার জন্যে কি কোন বাড়ী ছেড়েছে?” অতঃপর তিনি বলেনঃ “কাফির মুসলমানের উত্তরাধিকারী হয় না এবং মুসলমান কাফিরের ওয়ারিস হয় না।” (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে তাখরীজ করা হয়েছে)ইমাম শাফেয়ীর (রঃ) আরো দলীল এই যে, হযরত উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হযরত সাফওয়ান ইবনু উমাইয়ার (রাঃ) বাড়ীটি চার হাজার দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়ে ওটাকে জেল খানা বানিয়েছেন। তাউস (রঃ) আমর ইবনু দীনারও (রঃ) এই মাসআ’লায় ইমাম শাফিয়ীর (রঃ) সাথে একমত হয়েছেন।ইমাম ইসহাক ইবনু রাওয়াই (রঃ) ইমাম শাফেয়ীর (রঃ) বিপরীত মত পোষণ করেন। তিনি বলেন যে, মক্কার ঘরবাড়ী ওয়ারিসদের মধ্যেও বন্টন করা যাবে না এবং ভাড়ার উপরও দেয়া চলর্বে না। পূর্ব যুগীয় গুরুজনদের একটি দলও এদিকেই গিয়েছেন। মুজাহিদ (রঃ) ও আতা’ও (রঃ) এ কথাই বলেন। তাদের দলীল হলো নিম্নের হাদীসটিঃ হযরত উছমান ইবনু আবি সুলাইমান (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আলকামা ইবনু ফাযলাহ্ (রাঃ) বলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ), হযরত আবু বকর (রাঃ) এবং হযরত উমার (রাঃ) ইন্তেকাল করেছেন, (তাদের যামানায়) মক্কার ঘরবাড়ীকে আযাদ ও মালিকানাবিহীন হিসেবে গণ্য করা হতো। প্রয়োজন হলে তাতে বাস করতেন, অন্যথায় অপরকে বসবাসের জন্যে প্রদান করতেন।” (এটা ইমাম ইবনু মাজাহ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন যে, মক্কা শরীফের ঘরবাড়ী বিক্রি করাও জায়েয নয় এবং ভাড়া নেয়াও বৈধ নয়।” (এটা আবদুর রাযযাক ইবনু মুজাহিদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন) হযরত আতা’ও (রঃ) হারাম শরীফে ভাড়া নিতে নিষেধ করেছেন। হযরত উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) মক্কার ঘরে দরজা রাখতে নিষেধ করতেন। কেননা, প্রাঙ্গনে বা চত্বরে হাজীরা অবস্থান করতেন। সর্বপ্রথম ঘরের দর নির্মাণ করেন সাহল ইবনু আমর (রাঃ)। হযরত উমার (রাঃ) তৎক্ষণাৎ তাঁকে তাঁর কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি এসে বলেনঃ “হে আমীরুল মু'মিনীন! আমাকে ক্ষমা করুন! আমি একজন ব্যবসায়ী লোক। আমি প্রয়োজন বশতঃ এই দরজা বানিয়েছি, যাতে আমার সওয়ারী পশু আমার আয়াত্ত্বের মধ্যে থাকে। তখন হযরত উমার (রাঃ) তাকে বলেনঃ “তা হলে ঠিক আছে তোমাকে অনুমতি দেয়া হলো। অন্য রিওয়াইয়াতে হযরত উমার ফারূকের (রাঃ) নির্দেশ নিম্নলিখিত ভাষায় বর্ণিত আছেঃ “হে মক্কাবাসীরা! তোমরা তোমাদের ঘর গুলিতে দরজা করো না, যাতে বাইরের লোক যেখানে ইচ্ছা সেখানেই অবতরণ করতে পারে।"হযরত আতা’ (রঃ) বলেন যে, এতে শহুরে লোক ও বিদেশী লোক সমান। তারা যেখানে ইচ্ছা সেখানেই অবতরণ করতে পারে।হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন যে, যারা মক্কা শরীফের ঘর বাড়ীর ভাড়া নেয় তারা আগুন ভক্ষণ করে।ইমাম আহমাদ (রঃ) এই দুই-এর মাঝামাঝি পথটি পছন্দ করেছেন। অর্থাৎ মক্কার বাড়ী ঘরের অধিকারিত্ব ও উত্তরাধিকারকে জায়েয বলেছেন বটে, কিন্তু ভাড়া নেয়াকে অবৈধ বলেছেন। এ সব ব্যাপারে মহান আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।আরববাসী কোন কোন তাফসীরকার বলেছেন যে এখানে (আরবী) এর (আরবী) অক্ষরটি অতিরিক্ত। যেমন (আরবী) এর মধ্যে (আরবী) অক্ষরটি অতিরিক্ত এবং অনুরূপভাবে আশীর কবিতাংশে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমাদের পরিবারবর্গের রিকের জামিন হয়েছে আমাদের বর্শাগুলি।" এখানেও অক্ষরটি অতিরিক্ত রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এর চেয়েও উত্তম কথা আমরা বলতে পারি যে, এখানকার (আরবী) বা ক্রিয়াটি (আরবী) (ইচ্ছা করে) এর অর্থকে অন্তর্ভুক্ত করে। এ জন্যেই (আরবী) এর সাথে এটা (আরবী) হয়েছে।(আরবী) শব্দের ভাবার্থ হলো কাবীরা ও লজ্জাজনক পাপ। এখানে (আরবী) এর অর্থ হলো ইচ্ছাপূর্বক। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) এর অর্থ হলো শিরক। ভাবার্থ এটাও যে, হারাম শরীফের মধ্যে আল্লাহর হারামকৃত কাজকে হালাল মনে করা। যেমন কোন দুষ্কর্ম করা কাউকে হত্যা করা এবং যে যুলুম করে নাই তার উপর যুলুম করা ইত্যাদি। এই ধরনের লোক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির যোগ্য। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, সেখানে যে কোন দুষ্কর্ম করাই হলো যুলুম ।হারাম শরীফের বৈশিষ্ট্য এটাই যে, কোন দূরদেশীয় লোক যখন সেখানে কোন দুষ্কর্ম করার সংকল্প করে তখন সে শাস্তির যোগ্য হয়ে যায় যদিও সে ওটা করে না বসে।হযরত ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, যদি কোন লোক আদনে থাকে এবং মক্কায় ইলহাদ ও যুলুমের ইচ্ছা করে তবেও আল্লাহ তাআলা তাকে বেদনাদায়ক শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাবেন। শু’বা (রঃ) বলেনঃ “উনি তো এটাকে মার’রূপে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু আমি মারফুরূপে বর্ণনা করি না। এর আরো সনদ রয়েছে যা বিশুদ্ধ এবং এটা মারফু হওয়া অপেক্ষা মাওকূফ হওয়াই সঠিকতর। সতঃ হযরত ইবনু মাসউদের (রাঃ) উক্তি হতেই এটা বর্ণিত হয়েছে। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, কারো উপর শুধু পাপ কার্যের ইচ্ছার কারণেই পাপ লিখা হয় না। কিন্তু যদি সে দূর দূরান্তরে থেকে যেমন আদনে থেকেই হারাম শরীফের কোন লোককে হত্যা করার ইচ্ছা করে তবে আল্লাহ তাআলা তাকে বেদনাদায়ক শান্তির স্বাদ গ্রহণ করাবেন। হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) বলেন যে, হারাম শরীফে কারো তার নিজের খাদেমকে গালি দেয়াও ইলহাদ বা সীমা লংঘনের মধ্যে গণ্য।হযরত ইবনু আব্বাসের (রাঃ) উক্তি এই যে, এখানে এসে কোন ধনী ব্যক্তির ব্যবসা করাও ইলহাদের অন্তর্ভুক্ত। হযরত ইবনু উমার (রাঃ) বলেন যে, মক্কায় শস্য বিক্রি করাও ইলহাদ বা সীমালংঘন। হাবীব ইবনু আবিসাবিত (রাঃ) বলেন যে, উচ্চ মূল্য বিক্রি করার উদ্দেশ্যে শস্যকে মক্কায় আটক রাখাও ইলহাদের মধ্যে গণ্য। মুসনাদে ইবনু আবি হাতিমেও রাসূলুল্লাহর (সঃ) উক্তি দ্বারা এটাই বর্ণিত আছে। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এই আয়াতটি আবদুল্লাহ ইবনু আনীসের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে একজন মুহাজির ও একজন আনসারের সাথে পাঠিয়েছিলেন। একবার তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ নসব নামার (বংশ তালিকার) উপর গর্ব করতে শুরু করে। সে তখন ক্রোধান্বিত হয়ে আনসারীকে হত্যা করে ফেলে। অতঃপর সে মক্কায় পালিয়ে যায় এবং মুরতাদ হয়ে যায়। তাহলে ভাবার্থ হবেঃ যে সীমালংঘন করে মক্কায় আশ্রয় নেবে (তার জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি) ।এ ‘আছার’সমূহ দ্বারা যদিও এটা বুঝা যাচ্ছে যে, এ সব কাজ ইলহাদ বা সীমালংঘনের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা এসবগুলি হতে অধিকতর সাধারণ। বরং এতে সতর্কতা রয়েছে এর চেয়ে বড় বিষয়ের উপর। এজন্যেই যখন হাতীওয়ালারা বায়তুল্লাহ শরীফ ধ্বংস করার ইচ্ছা করে তখন আল্লাহ তাআলা তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী পাঠিয়ে দেন, যেগুলি তাদের উপর কংকন নিক্ষেপ করে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয় এবং এটাকে অন্যদের জন্যে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যম বানিয়ে দেন। একারণেই রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “এক সেনাবাহিনী এই বায়তুল্লাহতে যুদ্ধ করতে আসবে। যখন তারা এখানে পৌছবে তাদের প্রথম ও শেষ সবকেই যমীনে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে (শেষ পর্যন্ত)।বর্ণিত আছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়েরকে (রাঃ) বলেনঃ “তুমি এখানে ইলহাদ করা হতে বেঁচে থাকো! আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতে শুনেছিঃ “এখানে একজন কুরায়েশী ইলহাদ করবে। তার পাপরাশি যদি সমস্ত দানব ও মানবের পাপরাশি দ্বারা ওজন করা হয় তবে তার পাপরাশিই বেশী হয়ে যাবে।”দেখো, তুমিই যেন ঐ ব্যক্তি হয়ে না যাও।” (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে) আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, তিনি তাকে হাতীমে বসে এই উপদেশ দিয়েছিলেন।