Al-Hajj • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا فَأُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌۭ مُّهِينٌۭ ﴾
“whereas for those who were bent on denying the truth and gave the lie to Our messages, there shall be shameful suffering in store.”
৫৫-৫৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা কাফিরদের সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, আল্লাহর ওয়াহী অর্থাৎ কুরআনকারীমের ব্যাপারে তাদের যে সন্দেহ রয়েছে তা তাদের অন্তর থেকে কখনো দূর হবে না। শয়তান কিয়ামত পর্যন্ত তাদের এই সন্দেহ দূর হতে দেবে না। কিয়ামত এবং ওর শাস্তি তাদের উপর আকস্মিকভাবে চলে আসবে। তারা কিছু টেরই পাবে না। এখন যে মহান আল্লাহ তাদেরকে অবকাশ দিয়ে রেখেছেন এতে তারা গর্বিত হয়ে গেছে। যে কওমেরই উপর আল্লাহর শাস্তি এসেছে তা এই অবস্থাতেই এসেছে যে, তারা তা থেকে নির্ভয় ও বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহর শাস্তি হতে উদাসীন শুধু তারাই থাকে যারা পুরোপুরিভাবে পাপাচার এবং প্রকাশ্যভাবে অপরাধী। তাদের উপর এমন দিনের শাস্তি আসবে যেই দিন তাদের জন্যে কোন মঙ্গল নেই। ঐ দিন তাদের জন্যে অকল্যাণকর সাব্যস্ত হবে। কারো কারো উক্তি এই যে, এই দিন দ্বারা বদরের দিনকে বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে, এর দ্বারা কিয়ামতের দিন উদ্দেশ্য। এটাই সঠিক উক্তি, যদিও বদরের দিনটাও মুশরিকদের জন্যে শাস্তির দিনই ছিল।মহান আল্লাহ বলেনঃ সেই দিন হবে আল্লাহরই আধিপত্য। যেমন অন্য আয়াতে আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “তিনি কর্মফল দিবসের মালিক।" আরেক জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “সেই দিন প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে দয়াময়ের এবং কাফিরদের জন্যে সেইদিন হবে কঠিন।” (২৫:২৬)তিনিই তাদের বিচার করবেন। সুতরাং যাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান ও রাসূলের (সঃ) প্রতি বিশ্বাস থাকবে এবং ঈমান্ত্রে মোতাবেক যাদের আমল হবে, যাদের অন্তর ও আমলের মধ্যে সাদৃশ্য থাকবে এবং যাদের মুখের কথার সাথে মনের মিল থাকবে তারা হবে সুখময় জান্নাতের অধিকারী। ঐ নিয়ামত কখনো শেষ হবার নয়, কম হবার নয় এবং নষ্ট হাবারও নয়।পক্ষান্তরে যারা কুফরী করে ও আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বী করে, যাদের মুখের কথার সাথে অন্তরের মিল নেই, যারা সত্যের অনুসরণে অহকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। যেমন মহান মহিমান্বিত অল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।" (৪০:৬০)