slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 60 من سورة سُورَةُ الحَجِّ

Al-Hajj • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ ۞ ذَٰلِكَ وَمَنْ عَاقَبَ بِمِثْلِ مَا عُوقِبَ بِهِۦ ثُمَّ بُغِىَ عَلَيْهِ لَيَنصُرَنَّهُ ٱللَّهُ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٌۭ ﴾

“Thus shall it be. And as for him who responds to aggression only to the extent of the attack levelled against him, and is thereupon [again] treacherously attacked - God will most certainly succour him: for, behold, God is indeed an absolver of sins, much-forgiving.”

📝 التفسير:

৫৮-৬০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেন যে, যে ব্যক্তি নিজের দেশ, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং দোস্ত বন্ধুদেরকে ছেড়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হিজরত করে, তাঁর রাসূল (সঃ) ও তাঁর দ্বীনের সাহায্যার্থে সব কিছু ছেড়ে যায়, অতঃপর সে জিহাদের ময়দানে হাজির হয়ে শত্রুদের হাতে নিহত হয় অথবা ভাগ্যের লিখন হিসেবে বিছানাতেই মৃত্যু বরণ করে, তার জন্যে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে বড় পুরস্কার ও সম্মানজনক প্রতিদান রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সঃ) পথে হিজরতের উদ্দেশ্যে নিজের বাড়ী হতে বের হয়, অতঃপর মৃত্যু হয়ে যায়, তার প্রতিদান আল্লাহর দায়িত্বে সাব্যস্ত হয়ে যায়।” (৪:১০০) তার উপর আল্লাহর করুণা বর্ষিত হবে। সে জান্নাতের জীবিকা লাভ করবে, যার ফলে তার চক্ষুদ্বয় ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। আল্লাহ তো সর্বোৎকৃষ্ট রিক দাতা। তিনি তাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করবেন যেখানে সে খুবই আনন্দিত হবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ। বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যদি সে নৈকট্য প্রাপ্তদের একজন হয়, তবে তার জন্যে রয়েছে। আরাম, উত্তম জীবনোপকরণ এবং সুখময় উদ্যান।” (৫৬:৮৮-৮৯) আল্লাহ তাআলা তাঁর পথের মুজাহিদদেরকে এবং তার নিয়ামতের অধিকারীদেরকে ভালরূপেই জানেন। তিনি বড়ই সহনশীল। বান্দাদের গুনাহসমূহ তিনি মার্জনা করেন। আর তাদের হিজরত তিনি ককূল করে নেন। তার উপর ভরসাকারীদেরকে তিনি উত্তমরূপে অবগত আছেন। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয় তারা মুহ্যজির হোক আর না-ই হোক, তাদের প্রতিপালকের কাছে রিক পেয়ে থাকে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে কখনো মৃত মনে। করো না; বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকা প্রাপ্ত।" (৩:১৬৯) এই ব্যাপারে বহু হাদীস রয়েছে যেগুলি বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং আল্লাহর পথের শহীদদের প্রতিদান ও পুরস্কার তাঁর যিম্মায় স্থির হয়ে গেছে। এটা এই আয়াত দ্বারাও এবং এই ব্যাপারে বর্ণিত হাদীস সমূহ দ্বারাও প্রমাণিত। হযরত শুরাহবীল ইবনু সামত (রাঃ) বলেনঃ “রোমের একটি দুর্গ অবরোধ করার কাজে আমাদের বহু দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। ঘটনাক্রমে হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) সেখান দিয়ে গমন করেন। তিনি আমাদেরকে বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথ প্রস্তুতির কাজে মারা যায় তার প্রতিদান ও রিযুক বরাবরই আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তার উপর চালু থাকে। ইচ্ছা হলে তোমরা (আরবী) আয়াতটি তিলাওয়াত কর।” (এটা ইবনু হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন) হযরত আবু কুবায়েল (রাঃ) এবং হযরত রাবী আহ্ ইবনু সায়েফ মুগাফেরী (রাঃ) বলেনঃ “আমরা রাওদাসের যুদ্ধে ছিলাম। আমাদের সাথে। হযরত ফুযালাহ্ ইবনু উবায়েদও (রাঃ) ছিলেন। আমাদের পার্শ্ব দিয়ে দু'টি জানাযা নিয়ে যাওয়া হয়। এই মৃত দুই ব্যক্তির একজন ছিলেন শহীদ এবং অপরজন স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু বরণ করেছিলেন। জনগণ শহীদ ব্যক্তির জানার উপর ঝুঁকে পড়ে। হযরত ফুযালাহ্ (রাঃ) জিজ্ঞেস করেনঃ “ব্যাপার কি?” জনগণ উত্তর দেয়ঃ জনাব! এটা শহীদ ব্যক্তির জানাযা। আর অপর ব্যক্তি শাহাদাত হতে বঞ্চিত হয়েছে। একথা শুনে হযরত ফুযালাহ্ (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহর শপথ! আমার কাছে এ দুজনই সমান। এ দু'জনের যে কোন একজনের কবর হতে উত্থিত হলেও আমার কোন পরোয়া নাই। তোমরা আল্লাহর কিতাব শুনো।" অতঃপর তিনি (আরবী) এই আয়াতটি পাঠ করেন।” অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, তিনি সাধারণভাবে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরের পার্শ্বে বসে পড়েন এবং বলেনঃ “তোমরা আর কি চাও? জায়গা হলো জান্নাত এবং রি হলো উত্তম।” আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, ঐ রাওদাসের যুদ্ধে হযরত ফুযালাহ্ (রাঃ) আমীর ছিলেন।মুকাতিল ইবনু হাইয়ান (রঃ) এবং ইবনু জারীর (রঃ) বলেন যে, (আরবী) এই আয়াতটি সাহাবীদের ঐ ক্ষুদ্র সেনাবাহিনীর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় যাদের সাথে মুশরিকদের এক সেনাবাহিনী মর্যাদা সম্পন্ন মাসগুলিতেও যুদ্ধে লিপ্ত হয়, অথচ মুসিলম বাহিনী ঐ মর্যাদা সম্পন্ন মাসগুলিতে (মর্যাদা সম্পন্ন মাস অর্থাৎ যে মাসগুলিতে যুদ্ধ বিগ্রহ নিষিদ্ধ, ওগুলি হলো চারটি মাস। যুলকা'দা’ যুল হাজ্জ, মুহাররম, এবং রজব) যুদ্ধ হতে বিরত থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মুশরিক বাহিনী তা মানে নাই। ঐ যুদ্ধে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের সাহায্য করেন এবং মুশরিকদেরকে পরাজয় বরণ করতে হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।