Al-Muminoon • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَٰلِمُونَ ﴾
“O our Sustainer! Cause us to come out of this [suffering] - and then, if ever We revert [to sinning], may we truly be [deemed] evildoers!””
১০৫-১০৭ নং আয়াতের তাফসীর: কাফিরদেরকে তাদের কুফরী, পাপ ও সত্য-প্রত্যাখ্যানের কারণে কিয়ামতের দিন যে ভীতি প্রদর্শন করা হবে ও ধমক দেয়া হবে এখানে তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে।তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ আমি তোমাদের নিকট রাসূল পাঠিয়েছিলাম, তোমাদের উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছিলাম, তোমাদের সন্দেহ। দূর করে দিয়েছিলাম, তোমাদের কোনই যুক্তি-প্রমাণ অবশিষ্ট রাখিনি। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেন রাসূলদের পরে লোকদের জন্যে আল্লাহর উপর কোন বাদানুবাদের সুযোগ না থাকে।” (৪: ১৬৫) আর এ জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “রাসূল প্রেরণ না করা পর্যন্ত আমি শাস্তি প্রদানকারী নই।” (১৭:১৫) তিনি আরো বলেনঃ (আরবী) পর্যন্ত। অর্থাৎ “যখনই তাতে (জাহান্নামে) কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তাদেরকে রক্ষীরা জিজ্ঞেস করবেঃ তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসেনি? তারা বলবেঃ অবশ্যই আমাদের কাছে সতর্ককারী এসেছিল, আমরা তাদেরকে মিথ্যাবাদী গণ্য করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্ল। "ই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা তো মহা-বিভ্রান্তিতে রয়েছে। তারা আরো বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে আমরা জাহান্নামবাসী হতাম না। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে; সুতরাং অভিশাপ জাহান্নামীদের জন্যে।” (৬৭: ৮-১১)এ জন্যেই তারা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়।তারা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! এই আগুন হতে আমাদেরকে উদ্ধার করুন এবং পুনরায় দুনিয়ায় ফিরিয়ে দিন। অতঃপর আমরা যদি পুনরায় কুফরী করি তবে তো আমরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী হবো ও শাস্তির যোগ্য হয়ে যাবো। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা তাদের উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি, এখন বের হওয়ার কোন পথ আছে কি? তোমাদের এই শাস্তি তো এই জন্যে যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হতো তখন তোমরা তাকে অস্বীকার করতে এবং আল্লাহর শরীক স্থির করা হলে তোমরা তা বিশ্বাস করতে; বস্তুতঃ সমুচ্চ, মহান আল্লাহরই সমস্ত কর্তৃত্ব।” (৪০:১১-১২) অর্থাৎ এখন তোমাদের জন্যে সব পথই বন্ধ। আমলের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন হলো প্রতিদান প্রদানের সময়। তাওহীদের সময় তোমরা শিরক করেছিলে। সুতরাং এখন অনুশোচনা করে কি লাভ?