Al-Muminoon • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَقُل رَّبِّ ٱغْفِرْ وَٱرْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ ٱلرَّٰحِمِينَ ﴾
“Hence, [O believer,] say: “O my Sustainer! Grant [me] forgiveness and bestow Thy mercy [upon me]: for Thou art the truest bestower of mercy!””
১১৭-১১৮ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা মুশরিকদেরকে ধমকের সুরে বলছেন যে, তারা যে শিরক করছে এর কোন দলীল প্রমাণ ও যুক্তি তাদের কাছে নেই। এটা হলো (আরবি) এবং শরতের জাযা। (আরবি) এর মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ এর হিসাব আল্লাহর কাছে রয়েছে। কাফির তাঁর কাছে কৃতকার্য হতে পারে না। সে পরিত্রাণ লাভে বঞ্চিত হবে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) একটি লোককে জিজ্ঞেস করেনঃ “তুমি কার উপাসনা কর?” উত্তরে লোকটি বলেঃ “আল্লাহর এবং অমুক অমুকের (আমি উপাসনা করে থাকি)।” পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে প্রশ্ন করেনঃ “এদের মধ্যে কাকে তুমি তোমার বিপদের সময় ডেকে থাকো এবং তিনি তোমাকে বিপদ থেকে মুক্তি দান করে থাকেন?” জবাবে সে বলেঃ “তিনি হলেন একমাত্র মহামহিমান্বিত আল্লাহ।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “তাহলে তার সাথে অন্যদের ইবাদত করার তোমার কি প্রয়োজন? তুমি কি মনে কর যে, তিনি একাই তোমার জন্যে যথেষ্ট হবেন না?” সে উত্তর দেয়ঃ “এ কথা আমি বলতে পারি না। তবে তাঁর সাথে অন্যদের উপাসনা করি এই উদ্দেশ্যে যে, এর মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “সুবহানাল্লাহ! জ্ঞানের সাথে এই অজ্ঞতা? তুমি জান অথচ অজ্ঞ হচ্ছো?” এরপর সে আর কোন জবাব দিতে পারলো না। পরে সে মুসলমান হয়েছিল। ইসলাম গ্রহণের পর সে বলেঃ “আমি এমন একটি লোকের সাথে মিলিত হয়েছি যিনি তর্কে আমার উপর জয়যুক্ত হয়েছেন।” (এ হাদীসটি মুরসাল। ইমাম তিরমিযী (রঃ)-ও এটা বর্ণনা করেছেন)এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ (হে নবী সঃ)! তুমি বলঃ হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু। আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি একটি প্রার্থনার বাক্য, যা বান্দাদেরকে বলতে বলা হয়েছে (আরবি) শব্দের সাধারণ অর্থ হলো পাপরাশি মিটিয়ে দেয়া এবং ওগুলো লোকদের থেকে গোপন রাখা। আর (আরবি) এর অর্থ হলো সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং ভাল কথা ও কাজের তাওফীক দেয়া।