slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 61 من سورة سُورَةُ المُؤۡمِنُونَ

Al-Muminoon • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ أُو۟لَٰٓئِكَ يُسَٰرِعُونَ فِى ٱلْخَيْرَٰتِ وَهُمْ لَهَا سَٰبِقُونَ ﴾

“it is they who vie with one another in doing good works, and it is they who outrun [all others] in attaining to them!”

📝 التفسير:

৫৭-৬১ নং আয়াতের তাফসীর: মহান আল্লাহ বলেন যে, ইহসান ও ঈমানের সাথে সাথে সৎ কাজ করা এবং এরপরেও আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত হওয়া মুমিনের বিশেষণ। হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, মুমিন ভাল কাজ করে এবং সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় করতে থাকে। পক্ষান্তরে মুনাফিক খারাপ কাজ করে, আবার আল্লাহ থেকে নির্ভয় থাকে।ঘোষিত হচ্ছেঃ তারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে। যেমন মহান আল্লাহ হযরত মারইয়াম (আঃ)-এর গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সে তার প্রতিপালকের কালেমা ও কিতাবসমূহর্কে সত্য বলে জেনেছিল।” (৬৬: ১২) অর্থাৎ তিনি আল্লাহ তাআলার ক্ষমতা, ইচ্ছা ও শরীয়তের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতেন। তাঁর আদিষ্ট প্রতিটি কাজকে তিনি ভালবাসতেন। আর তাঁর নিষেধকৃত প্রতিটি কাজকে তিনি অপছন্দ করতেন।আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে শরীক করে না বরং তাকে এক বলে বিশ্বাস করে। তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ সম্পূর্ণরূপে অভাবমুক্ত। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান নেই। তিনি অতুলনীয়। তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই। তাঁর নামে তারা দান-খয়রাত করে থাকে। কিন্তু তা ককূল হবে কি না এ ভয় তাদের অন্তরে থাকে। তাই আল্লাহর পথে খরচ করার সময় তারা ভীত-কম্পিত হয়। হযরত সাঈদ ইবনে অহাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! যারা যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে’-এর দ্বারা কি ঐ লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা চুরি করে, ব্যভিচার করে এবং মদ্যপান করে, অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহকে ভয় করে?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “হে আবু বকর (রাঃ)-এর কন্যা! হে সিদ্দীক (রাঃ)-এর কন্যা। না, তারা নয়; বরং যারা নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান-খয়রাত করে, অথচ আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকেই বুঝানো হয়েছে।” (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। জামেউত তিরমিযী ও মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাতে আছেঃ “হে সিদ্দীক (রাঃ)-এর কন্যা! না, তারা নয়, বরং যারা নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান-খয়রাত করে অথচ ওগুলো কবুল হয় কি-না এজন্যে সদা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে তাদেরকেই বুঝানো হয়েছে)মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ‘তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তারা তাতে অগ্রগামী হয়। (আরবী) অন্য কিরাতে (আরবী) রয়েছে। অর্থাৎ তারা যা করার তা করে থাকে, কিন্তু তাদের অন্তর থাকে ভীত-সন্ত্রস্ত।বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু আসিম (রাঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করেন। তখন তিনি তাকে মারহাবা বলে সাদর সম্ভাষণ জানান এবং বলেনঃ “তুমি মাঝে মাঝে আমাকে দর্শন দান কর না কেন?" উত্তরে তিনি বলেনঃ “আপনি হয়তো বিরক্তিবোধ করবেন এ জন্যেই আসি না। আজকে একটি আয়াতের শব্দগুলোর বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যেই আগমন করেছি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিভাবে এটা পড়তেন তা আমি জানতে চাই।” হযরত আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “ওটা কোন আয়াত?" তিনি জবাবে বললেনঃ “আয়াতটি হলোঃ (আরবী)উনি এভাবে পাঠ করতেন, না (আরবী) এভাবে পাঠ করতেন?” হযরত আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “এ দুটোর মধ্যে কোনটি তোমার নিকট অধিক পছন্দনীয়?” তিনি উত্তরে বললেনঃ (আরবী) এরূপভাবে পঠিত হয়ে থাকলে আমি যেন সারা দুনিয়াই পেয়ে যাবো, এমনকি এর চেয়েও বেশী আমি আনন্দিত হবো।” তখন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ তুমি শুনে খুশী হও যে, আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে। এই আয়াতটি এভাবেই পড়তে শুনেছি। (এটা মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। এর একজন বর্ণনাকারী হলেন ইসমাঈল ইবনে মুসলিম। তিনি দুর্বল। বর্তমানে কুরআনে যেরূপ আছে এটাই প্রসিদ্ধ সাতটি কিরআত ও জমহূরের কিরাত। অর্থের দিক দিয়েও এটাই বেশী প্রকাশমান। কেননা, তাদেরকে অগ্রগামী বলা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় কিরআতটি নিলে তারা অগ্রগামী থাকেন না। বরং মধ্যম হালকা হয়ে যান। এসব ব্যাপারে আল্লাহই বেশী ভাল জানেন)