slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 74 من سورة سُورَةُ الفُرۡقَانِ

Al-Furqaan • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍۢ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا ﴾

“and who pray “O our Sustainer! Grant that our spouses and our offspring be a joy to our eyes, and cause us to be foremost among those who are conscious of Thee!””

📝 التفسير:

৭২-৭৪ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহর সৎ বান্দাদের আরো বিশেষণ বর্ণনা করা হচ্ছে যে, তারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না অর্থাৎ শিরক করে না, মূর্তিপূজা হতে তারা বেঁচে থাকে। তারা মিথ্যা কথা বলে না, পাপাচারে লিপ্ত হয় না, কুফরী করে না, অসার ক্রিয়া-কলাপ হতে দূরে থাকে, গান শুনে না এবং মুশরিকদের আনন্দ-উৎসবে যোগদান করে। তারা মদ্যপান করে না, মদ্যখানায় যায় না এবং ওর প্রতি আকৃষ্ট হয় না। যেমন হাদীসে এসেছে যে, যে আল্লাহর উপর ও আখিরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন ঐ দস্তরখানায় না বসে যেখানে মদচক্র চলতে থাকে। আবার ভাবার্থ এও হয় যে, তারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না ।হযরত আবু বুকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় পাপের খবর দেবো না?” এ কথা তিনি তিনবার বলেন। সাহাবীগণ উত্তরে বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! হা (খবর দিন)।” তখন তিনি বললেনঃ “তাহলো আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া।” তখন পর্যন্ত তিনি বালিশে হেলান লাগিয়েছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসেন এবং বলেনঃ “আর মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।” এ কথা তিনি বারবার বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত সাহাবীগণ মনে মনে বললেন যে, যদি তিনি নীরব হতেন! (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে) কুরআন কারীমের শব্দ দ্বারা তো এ অর্থই বেশী প্রকাশমান যে, তারা মিথ্যার কাছেও যায় না। এ জন্যেই পরে বর্ণিত হয়েছে যে, ঘটনাক্রমে তারা অসার ক্রিয়া-কলাপের সম্মুখীন হলে স্বীয় মর্যাদার সাথে তারা তা পরিহার করে চলে।ইবরাহীম ইবনে মাইসার (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কোন খেলার পার্শ্ব দিয়ে গমন করেন। সেখানে তিনি না থেমে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চলতে থাকেন। তিনি আল্লাহ তাআলার নিকট মর্যাদাবান হয়ে গেলেন। (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন) আল্লাহ তা'আলার এই বুযর্গ বান্দাদের আর একটি গুণ এই যে, কুরআনের আয়াতগুলো শুনে তাদের অন্তরে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং তাদের ঈমান এবং আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু কাফিরদের এরূপ হয় না। কুরআনের আয়াতসমূহ তাদের অন্তরে ক্রিয়াশীল হয়। সুতরাং তারা তাদের দুষ্কর্ম থেকে বিরত থাকে না, কুফরী পরিত্যাগ করে না এবং ঔদ্ধত্যপনা, হঠকারিতা এবং অজ্ঞতা হতে বিরত হয় না। পক্ষান্তরে ঈমানদারদের ঈমান বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। আর যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাদের ব্যাধি আরো বেড়ে যায়। অতএব, কাফিররা আল্লাহর আয়াতসমূহ হতে বধির ও অন্ধ হয়। মুমিনদের অভ্যাস এর বিপরীত। তারা হক হতে বধিরও নয় এবং অন্ধও নয়। তারা শুনে ও বুঝে। আর এর দ্বারা তারা উপকার লাভ করে এবং নিজেদেরকে সংশোধিত করে নেয়। বহু লোক এমন রয়েছে যারা পাঠ করে, অথচ নিজেদের বধিরতা ও অন্ধত্ব পরিত্যাগ করে না। হযরত শা’বী (রঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়ঃ “একটি লোক এসে দেখে যে, কতকগুলো লোক সিজদায় পড়ে রয়েছে, কিন্তু তারা কোন আয়াতটি পড়ে সিজদায় পড়েছে তা তার জানা নেই। এমতাবস্থায় লোকটি কি তাদের সাথে সিজদায় পড়ে যাবে?” তখন হযরত শা’বী (রঃ) এ আয়াতটিই পাঠ করেন। অর্থাৎ সে তাদের সাথে সিজদা করবে না। কেননা, সে সিজদার আয়াত পাঠ করেনি, শুনেনি এবং বুঝেনি। আর কোন কাজ অন্ধভাবে করা মুমিনের উচিত নয়। যখন পর্যন্ত তার সামনে কোন জিনিসের হাকীকত না থাকবে তখন পর্যন্ত ভার তাতে শামিল হওয়া ঠিক নয়। অতঃপর এই বুযর্গ বান্দাদের একটি দু'আর বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তারা আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করে- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্যে এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা আমাদের জন্যে নয়ন প্রীতিকর হয়। অর্থাৎ তারা মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে যে, তাদের সন্তান-সন্ততিও যেন তাদের মত একত্ববাদী হয় এবং মুশরিক না হয়, যাতে দুনিয়াতেও ঐ সুসন্তানদের কারণে তাদের অন্তর ঠাণ্ডা থাকে এবং আখিরাতেও তাদের ভাল অবস্থা দেখে তারা খুশী হতে পারে। এই প্রার্থনার উদ্দেশ্য তাদের দৈহিক সৌন্দর্য নয়, বরং সততা ও সুন্দর চরিত্রই উদ্দেশ্য। মুসলমানদের প্রকৃত আনন্দ এতেই রয়েছে যে, তারা তাদের সন্তানদেরকে ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে আল্লাহর অনুগত বান্দারূপে দেখতে পায়। তারা যেন যালিম না হয়, দুষ্কৃতিকারী না হয়, বরং খাটি মুসলমান হয়।হযরত নুফায়ের (রাঃ) বর্ণনা করেছেনঃ আমরা একদা হযরত মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রাঃ)-এর নিকট বসেছিলাম, এমন সময় একটি লোক তার পার্শ্ব দিয়ে গমন করে। সে বলেঃ “তাঁর দু’চক্ষুর জন্যে মুবারকবাদ, যে চক্ষুদ্বয় রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে দর্শন করেছে! আপনি যেমন তাঁকে দেখেছেন ও তাঁর সঙ্গ লাভ করেছেন তেমনই যদি আমরাও তাঁকে দেখতাম ও তাঁর সাহচর্য লাভ করতাম তবে আমাদের জীবনকে আমরা ধন্য মনে করতাম!” তার এ কথা শুনে হযরত মিকদাদ (রাঃ) অসন্তুষ্ট হলেন। আমি বিস্মিত হলাম যে, লোকটি তো মন্দ কথা বলেনি, অথচ তিনি অসন্তুষ্ট হলেন কেন! ইতিমধ্যে হযরত মিকদাদ (রাঃ) বললেনঃ “জনগণের কি হয়েছে যে, তারা এমন কিছুর আকাক্ষা করে যা তাদের শক্তির বাইরে এবং যা আল্লাহ তাআলা তাদেরকে প্রদান করেননি? তারা ঐ সময় থাকলে তবে তাদের অবস্থা কি হতো তা আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর যুগে তো ঐসব লোকও ছিল যারা না তাঁকে বিশ্বাস করেছে এবং না তাঁর আনুগত্য করেছে। ফলে তারা উল্টো মুখে জাহান্নামে চলে গেছে। তোমরা কি আল্লাহর এ অনুগ্রহ স্বীকার কর না যে, তিনি ইসলামে ও মুসলমান ঘরে তোমাদের জন্ম দিয়েছেন? ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই তোমাদের কানে আল্লাহর তাওহীদ ও হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর রিসালাতের শব্দ পৌঁছেছে। আর ঐসব বিপদ-আপদ থেকে তোমাদেরকে বাঁচিয়ে নেয়া হয়েছে যেগুলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর পতিত হয়েছিল। আল্লাহ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-কে এমন যুগে প্রেরণ করেন যখন দুনিয়ার অবস্থা ছিল খুবই শশাচনীয়। ঐ সময় দুনিয়াবাসীদের নিকট মূর্তিপূজা অপেক্ষা উত্তম ধর্ম আর কিছুই ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ফুরকান নিয়ে আসলেন যা হক ও বাতিলের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি করলো এবং এর ফলে পিতা ও পুত্র পৃথক পৃথক হয়ে গেল। মুসলমানরা তাদের পিতা, পিতামহ, পুত্র, পৌত্র এবং বন্ধু-বান্ধবদেরকে কুফরীর উপর দেখে তাদের উপর থেকে তাদের প্রেম-প্রীতি ও শ্রদ্ধা লোপ পায় এবং তাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে, তারা সব জাহান্নামী। এ জন্যেই তাদের প্রার্থনা ছিলঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা আমাদের জন্যে নয়ন প্রীতিকর হয়। কেননা, কাফিরদেরকে দেখে তাদের চক্ষু ঠাণ্ডা হতো না। এই প্রার্থনার শেষে রয়েছেঃ “আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শ স্বরূপ করুন। আমরা যেন তাদেরকে পুণ্যকর্মের শিক্ষা দিতে পারি। তারা যেন ভাল কাজে আমাদের অনুসারী হয়। আমাদের সন্তানরা যেন আমাদের পথ অনুসরণ করে, যাতে পুণ্য বৃদ্ধি পায় এবং তাদের পুণ্যের কারণও যেন আমরা হয়ে যাই।হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আদম সন্তান যখন মারা যায় তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়, শুধু তিনটি আমল বাকী থাকে। প্রথম হলো সুসন্তান, যে তার জন্যে প্রার্থনা করে, দ্বিতীয় হলো সেই ইল্ম যার দ্বারা তার মৃত্যুর পরে মানুষ উপকৃত হয় এবং তৃতীয় হলো সাদকায়ে জারিয়া (এগুলোর সওয়াব সে মৃত্যুর পরেও পেয়ে থাকে)।” (এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)