Al-Furqaan • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ قُلْ مَا يَعْبَؤُا۟ بِكُمْ رَبِّى لَوْلَا دُعَآؤُكُمْ ۖ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُونُ لِزَامًۢا ﴾
“SAY [unto those who believe]: “No weight or value would my Sustainer attach to you were it not for your faith [in Him]!” And say unto those who deny the truth:] “You have indeed given the lie [to God’s message], and in time this [sin] will cleave unto you!””
৭৫-৭৭ নং আয়াতের তাফসীর মুমিনদের পবিত্র গুণাবলী, তাদের ভাল কথা ও কাজের বর্ণনা দেয়ার পর আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতিদানের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা জান্নাত লাভ করবে যা উচ্চতম স্থান। কারণ এই যে, তারা উপরোক্ত গুণে গুণান্বিত ছিল। তাই সেখানে তারা সম্মান ও মর্যাদা লাভ করবে।তাদের জন্যে রয়েছে সেখানে শান্তি আর শান্তি। জান্নাতের প্রতিটি দর দিয়ে ফেরেশতারা তাদের খিদমতে হাযির হবে এবং সালাম জানিয়ে বলবেঃ “তোমাদের পরিণাম ভাল হয়েছে। কেননা, তোমরা ধৈর্যশীল ছিলে।” তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। তারা সেখান হতে বের হবে না এবং তাদের বের করাও হবে না। তথাকার নিয়ামত কম হবে না এবং শান্তি ও আরামের সমাপ্তি আসবে না। তারা হবে বড়ই ভাগ্যবান। তাদের উঠা, বসা এবং বিশ্রামের জায়গা খুবই পাক, সাফ ও মনোরম। দেখতেও সুন্দর এবং বাসের পক্ষেও আরামদায়ক।আল্লাহ তা'আলা স্বীয় মাখলুককে তাঁর ইবাদত বন্দেগী এবং তাসবীহ ও তাহলীলের জন্যে সৃষ্টি করেছেন। মাখলুক যদি এগুলো পালন না করে তবে সে আল্লাহর নিকট অতি নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্য। ঈমান ছাড়া মানুষ একেবারে অকেজো। আল্লাহ যদি চাইতেন তবে তিনি কাফিরদেরকে তাঁর ইবাদতের দিকে ঝুঁকিয়ে দিতেন। কিন্তু তারা তাঁর নিকট মোটেই গণ্য নয়।মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি এসব কাফিরকে বলে দাওতোমরা আমার প্রতিপালককে না ডাকলে তার কিছু আসে যায় না। তোমরা অস্বীকার করেছে। এখন হে কাফিরের দল! তোমরা মনে করো না যে, তোমাদের মুআমালা শেষ হয়ে গেল। জেনে রেখো যে, তোমাদের উপর অচিরে নেমে আসবে অপরিহার্য শাস্তি। দুনিয়া ও আখিরাতে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লাহর শাস্তি তোমাদেরকে জরিয়ে রয়েছে। বদরের দিনে কাফিরদের শোচনীয় পরাজয় পার্থিব শাস্তির একটি বড় প্রমাণ। যেমন হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) প্রমুখ গুরুজন হতে এটা বর্ণিত আছে। কিয়ামতের দিনের শাস্তি এখনো বাকী রয়েছে।