slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 48 من سورة سُورَةُ الشُّعَرَاءِ

Ash-Shu'araa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ ﴾

“the Sustainer of Moses and Aaron!””

📝 التفسير:

৩৮-৪৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত মূসা (আঃ) ও ফিরাউনের মধ্যে যে মৌখিক তর্ক-বিতর্ক চলছিল তা শেষ হলো এবং এখন কার্যের বিতর্ক শুরু হলো। এই বিতর্কের আলোচনা সূরায়ে আরাফ, সূরায়ে তোয়া-হা এবং এই সূরায় রয়েছে। কিবতীদের ইচ্ছা ছিল আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করা, আর আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছা ছিল নূরকে ছড়িয়ে দেয়া। সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছা বিজয় লাভ করেছে। যেখানেই ঈমান ও কফরীর মধ্যে মুকাবিলা হয়েছে সেখানেই ঈমান কুফরীর উপর বিজয়ী হয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ হককে বাতিলের উপর জয়যুক্ত করে থাকেন। বাতিলের মস্তক চূর্ণ হয় এবং লোকদের বাতিল ইচ্ছা বাতাসে উড়ে যায়। সত্য এসে পড়ে এবং মিথ্যা পালিয়ে যায়। এখানেও এটাই হলো। প্রতিটি শহরে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়। চতুর্দিক থেকে বড় বড় খ্যাতনামা যাদুকরদেরকে একত্রিত করা হয়। কথিত আছে যে, তাদের সংখ্যা ছিল বারো হাজার বা পনেরো হাজার অথবা সতেরো হাজার বা ঊনিশ হাজার অথবা আশি হাজার কিংবা এর চেয়ে কিছু কম বা বেশী। সঠিক সংখ্যার জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা'আলারই রয়েছে। এই যাদুকরদের গুরু ও নেতা ছিল চারজন। তাদের নাম ছিল সা’য়ূর, আয়ূর, হাতহাত এবং মুসাফা। দেশের মধ্যে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল বলে নির্ধারিত দিনের পূর্বেই চতুর্দিক হতে দলে দলে লোক এসে মিসরে জমা হয়ে যায়। এটা একটা সুপরিচিত নীতি যে, প্রজারা তাদের বাদশাহর মাযহাবের উপর থাকে, তাই সবারই মুখ দিয়ে একটি কথা বের হচ্ছিলঃ যাদুকরদের বিজয় লাভের পর আমরা তাদেরই অনুসারী হয়ে যাবো। এ কথা কারো মুখ দিয়ে বের হয়নিঃ ‘হক যে দিকে হবে আমরাও সেই দিকে হয়ে যাবো। যথাস্থানে ফিরাউন আমীর-ওমরাহকে সঙ্গে নিয়ে অত্যন্ত জাকজমকের সাথে গমন করলো। সাথে সৈন্য-সামন্তও ছিল। যাদুকরদেরকে সে তার সামনে ডাকিয়ে নিলো। যাদুকররা ফিরাউনকে বললোঃ “আমরা যদি বিজয়ী হই তবে আমাদের জন্যে পুরস্কার থাকবে তো?' ফিরাউন জবাবে বললোঃ “হ্যা, হ্যাঁ, শুধু পুরস্কার নয়, বরং তোমরা আমার নৈকট্য লাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।তারা তখন আনন্দে আটখানা হয়ে ময়দানের দিকে চললো। সেখানে গিয়ে তারা হযরত মূসা (আঃ)-কে বললোঃ “তুমি প্রথমে উস্তাদী দেখাবে, না আমরাই প্রথমে দেখাবো?” হযরত মূসা (আঃ) উত্তরে বললেনঃ “তোমরাই প্রথমে দেখাও।” অতঃপর যাদুকররা তাদের রঞ্জু ও লাঠি নিক্ষেপ করলো এবং বললোঃ “ফিরাউনের ইযযতের শপথ! আমরাই বিজয়ী হবো।" যেমন সাধারণ অজ্ঞ লোকেরা যখন কোন কাজ করে তখন বলেঃ “এটা অমুকের পুণ্যের কারণে। হয়েছে।" সূরায়ে আ’রাফে রয়েছে যে, যাদুকররা মানুষের চোখে যাদু করে দেয় এবং তাদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে ও বড় রকমের যাদু প্রকাশ করে। সূরায়ে তোয়া-হায় আছে যে, তাদের লাঠিগুলো ও তাদের রজ্জ্বগুলো তাদের যাদুর কারণে নড়ছে বলে অনুভূত হতে তাকে (শেষপর্যন্ত)।এখন হযরত মূসা (আঃ)-এর হাতে যে লাঠিটি ছিল তা তিনি ময়দানে নিক্ষেপ করেন। সাথে সাথে ওটা বিরাট অজগর হয়ে যায় এবং ময়দানে যাদুকরদের যতগুলো ন্যরবন্দীর জিনিস ছিল সবগুলোকেই খেয়ে ফেলে। সুতরাং হক বিজয়ী হয় এবং বাতিল পরাভূত হয়। যাদুকরদের সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। এ দেখে যাদুকররা সবাই মুসলমান হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে যে, একটি মাত্র লোক যাদু বিদ্যায় পারদর্শী বহু লোকের সাথে মুকাবিলা করে বিজয়ী হয়ে গেল এটা কোন সাধারণ লোক হতে পারে না। যাদু যাদুই বটে। আর এ লোকটির কাছে যা রয়েছে তা কখনো যাদু হতে পারে না, বরং এটা আল্লাহ প্রদত্ত মুজিযা। তারা সেখানেই আল্লাহর সামনে সিজদাবনত হয়ে পড়ে এবং সমবেত লোকদের সামনে নিজেদের আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান আনয়নের কথা ঘোষণা করে। করা বলেঃ “আমরা জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম। অতপর নিজেদের কথাকে আরো সুস্পষ্ট করার জন্যে বলেঃ “জগতসমূহের প্রতিপালক বলতে আমরা তাঁকেই বুঝাচ্ছি যাঁকে হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারুন (আঃ) তাঁদের প্রতিপালক বলছেন।”এতো বড় পরিবর্তন ফিরাউন স্বচক্ষে দেখলো, কিন্তু ঐ অভিশপ্তর ভাগ্যে ঈমান লিখিত ছিল না বলে তখনও তার চোখ খুললো না, বরং সে মহামহিমান্বিত আল্লাহর আরো বড় শত্রু হয়ে দাঁড়ালো। স্বীয় ক্ষমতাবলে সে সত্যকে দূর করে দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগে গেল। সে যাদুকরদেরকে বললোঃ “আমি বুঝতে পেরেছি যে, মূসা (আঃ) তোমাদের সবারই উস্তাদ ছিল। তোমরা বুদ্ধি করে তাকে প্রথমে পাঠিয়েছিলে। তারপর বাহ্যতঃ মুকাবিলা করার জন্যে নিজেরা ময়দানে নেমেছিলে। অতঃপর গোপন পরামর্শ অনুযায়ী তার কাছে। পরাজয়বরণ করে নিলে এবং তাকে মেনে নিলে। কাজেই তোমাদের প্রতারণা আমার কাছে আর গোপন নেই।”