Al-Qasas • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ مِنۢ بَعْدِ مَآ أَهْلَكْنَا ٱلْقُرُونَ ٱلْأُولَىٰ بَصَآئِرَ لِلنَّاسِ وَهُدًۭى وَرَحْمَةًۭ لَّعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ ﴾
“And [then,] indeed, after We had destroyed those earlier generations [of sinners], We vouchsafed unto Moses [Our] revelation as a means of insight for men, and as a guidance and grace, so that they might bethink themselves [of Us].”
এই আয়াতে একটি সূক্ষ্ম কথা এই যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ফিরাউন ও তার লোকদের পরবর্তী উম্মতরা এইভাবে আসমানী আযাবে ধ্বংস হয়নি। বরং যে উম্মত ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছে তাদের ঔদ্ধত্যের শাস্তি ঐ যুগের সৎ লোকদের দ্বারাই প্রদান করেছেন। মুমিনরা মুশরিকদের সাথে জিহাদ করতে থেকেছেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “ফিরাউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং পূত সম্প্রদায় পাপাচারে লিপ্ত ছিল। তারা তাদের প্রতিপালকের রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে তিনি তাদেরকে শাস্তি দিলেন-কঠোর শাস্তি।” (৬৯:৯-১০) এই দলের ধ্বংসপ্রাপ্তির পরেও আল্লাহর ইনআ’ম হযরত মূসা কালীমুল্লাহ (আঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হতে থাকে। ওগুলোর মধ্যে একটি বড় ইনআমের উল্লেখ এখানে করা হয়েছে। তা এই যে, তার উপর আল্লাহ তা'আলা তাওরাত অবতীর্ণ করেন। তাওরাত অবতীর্ণ হওয়ার পর কোন কওমকে আসমান বা যমীনের সাধারণ আযাব দ্বারা ধ্বংস করা হয়নি। শুধুমাত্র ঐ লোকালয়ের কতকগুলো পাপাচারীকে তিনি শূকর ও বানর করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, যারা আল্লাহ তা'আলার পবিত্র দিন শনিবারে মৎস্য শিকার করেছিল, অথচ সেই দিন মৎস্য শিকার তাদের জন্যে নিষিদ্ধ ছিল। এটা অবশ্যই হযরত মূসা (আঃ)-এর পরের ঘটনা। যেমন হযরত আবু সাঈদ খুদ্ৰী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন এবং এরপরেই তিনি তাঁর উক্তির সত্যতার প্রমাণ হিসেবে (আরবি)-এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেন।একটি মারফু হাদীসেও রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হযরত মূসা (আঃ)-এর পরে আল্লাহ তা'আলা কোন কওমকে আসমানী বা যমীনী আযাব দ্বারা ধ্বংস করেননি। এরূপ আযাব যত এসেছে সবই তার পূর্বেই এসেছে।” অতঃপর তিনি এ আয়াতটি পাঠ করেন। এরপর তাওরাতের বিশেষণ বর্ণনা করা হচ্ছে যে, এটা জনগণকে অন্ধত্ব ও পথভ্রষ্টতা হতে বেরকারী ছিল, প্রতিপালকের দয়া স্বরূপ ছিল, তাদের জন্যে ছিল জ্ঞানবর্তিকা এবং পথ-নির্দেশ, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।