Al-Ankaboot • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّن نَّزَّلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۭ فَأَحْيَا بِهِ ٱلْأَرْضَ مِنۢ بَعْدِ مَوْتِهَا لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُ ۚ قُلِ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ ﴾
“And thus it is: if thou ask them, “Who is it that sends down water from the skies, giving life thereby to the earth after it had been lifeless?” - they will surely answer, “God.” Say thou: “[Since this is so,] all praise is due to God [alone]!” But most of them will not use their reason:”
৬১-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা এটা সাব্যস্ত করছেন যে, সঠিক ও প্রকৃত মা’দ তিনিই। স্বয়ং মুশরিকরাও এটা স্বীকার করে যে, আসমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, সূর্য ও চন্দ্রকে নিজ নিজ কাজে নিয়োজিতকারী, দিবস ও রজনীকে পর্যায়ক্রমে আনয়নকারী, সৃষ্টিকর্তা, আহার্যদাতা এবং জীবন ও মৃত্যুর উপর ক্ষমতাবান একমাত্র আল্লাহ। ধনী হওয়ার হকদার কে এবং দরিদ্র হওয়ার হকদার কে তা তিনিই ভাল জানেন। বান্দাদের উপযোগিতা সম্পর্কে তিনিই ভাল খবর রাখেন।সুতরাং মুশরিকরা নিজেরাই যখন স্বীকার করে যে, সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ এবং সবকিছুরই উপর তিনিই পূর্ণ ক্ষমতাবান, তখন তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের উপাসনা কেন করছে? আর কেনই বা তারা অন্যদের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে? রাজ্যের মালিক যখন একমাত্র তিনিই তখন ইবাদতের যোগ্যও একমাত্র তিনিই হবেন। পালনকর্তা হিসেবে তাকে এক মেনে নিয়ে তারা উপাস্য হিসেবে তাঁকে এক মানছে না। এটা অতি বিস্ময়কর ব্যাপারই বটে। কুরআন কারীমের মধ্যে তাওহীদে রুবুবিয়্যাতের সাথে সাথেই তাওহীদে উলুহিয়্যাতের বর্ণনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রয়েছে। কেননা, মক্কার মুশরিকরা তাওহীদে রুবুবিয়্যাতকে স্বীকার করতো। তাই তাদেরকে বিবেচক হতে বলে তাওহীদে উলুহিয়্যাতের দিকে আহ্বান করা হচ্ছে। মুশরিকরা হজ্ব ও উমরার সময় ‘লাব্বায়েক’ বলার মাধ্যমেও আল্লাহকে অংশীবিহীন স্বীকার করতো। তারা বলতোঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমরা হাযির আছি। আপনার কোন অংশীদার নেই, কিন্তু এমন অংশীদার রয়েছে যার মালিক এবং যার রাজ্যেরও মালিক আপনি।”