Aal-i-Imraan • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَكَيْفَ تَكْفُرُونَ وَأَنتُمْ تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُۥ ۗ وَمَن يَعْتَصِم بِٱللَّهِ فَقَدْ هُدِىَ إِلَىٰ صِرَٰطٍۢ مُّسْتَقِيمٍۢ ﴾
“And how could you deny the truth when it is unto you that God's messages are being conveyed, and it is in your midst that His Apostle lives? But he who holds fast unto God has already been guided onto a straight way.”
১০০-১০১ নং আয়াতের তাফসীর: মহান আল্লাহ স্বীয় মুমিন বান্দাদেরকে আহলে কিতাবের ঐ দলটির অনুসরণ করতে নিষেধ করছেন যাদের অন্তর কালিমাযুক্ত। কেননা, তারা হিংসুটে ও ঈমানের শত্রু। আল্লাহ তা'আলা যে আরবে নবী পাঠিয়েছেন এটা তাদের নিকট অসহ্য হয়ে উঠেছে এবং তারা হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরছে। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আহলে কিতাবের অনেকে তোমাদের প্রতি হিংসা বশতঃ তোমাদের ঈমান আনার পর পুনরায় তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দেয়া পছন্দ করে। এখানেও আল্লাহ তাআলা এ কথাই বলেন- “হে মুমিনগণ! তোমরা যদি আহলে কিতাবের একটি দলের অনুসরণ কর তবে অবশ্যই তারা তোমাদেরকে তোমাদের ঈমান আনয়নের পর পুনরায় কাফির বানিয়ে দেয়ার ব্যাপারে চেষ্টার ত্রুটি মোটেই করবে না। আমি জানি যে, তোমরা কুফর হতে বহু দূরে রয়েছে, তথাপি আমি তোমাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। তাদের প্রতারণায় তত তোমাদের পড়ার কথা নয়। কেননা, তোমরা রাত দিন আল্লাহ তা'আলার নিদর্শনাবলী পাঠ করতে রয়েছে এবং স্বয়ং তাঁর রাসূল তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছেন। যেমন অন্য স্থানে রয়েছেঃ “তোমরা কেন বিশ্বাস স্থাপন করবে না? অথচ রাসূল (সঃ) তোমাদেরকে তোমাদের প্রভুর উপর ঈমান আনয়নের জন্যে আহ্বান করতে রয়েছেন এবং তোমাদের সঙ্গে অঙ্গীকারও করা হয়েছে, যদি তোমরা মুমিন হও। হাদীস শরীফে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদা তাঁর সহচরবৃন্দকে জিজ্ঞেস করেনঃ “তোমাদের নিকট সবচেয়ে বড় ঈমানদার কে? তাঁরা বলেনঃ “ফেরেশতাগণ।' তিনি বলেনঃ তারা ঈমান আনবেন না কেন? স্বয়ং তাদের উপর তো অহী অবতীর্ণ হচ্ছে'। সাহাবীগণ (রাঃ) বলেনঃ “অতঃপর আমরা।' তিনি বলেনঃ “তোমরা ঈমান আনবে না। কেন? স্বয়ং আমি তো তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছি। তখন তারা বলেনঃ ‘দয়া করে আপনিই বলুন।' তিনি বলেনঃ ‘সবচেয়ে ঈমানদার তারাই যারা তোমাদের পরে আসবে। তারা গ্রন্থে লিখিত পাবে এবং ওর উপরেই বিশ্বাস স্থাপন করবে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়রূপে ধারণ করে থাকা বান্দাদের কর্তব্য এবং তার উপর পূর্ণ ভরসা করলেই তারা সরল সঠিক পথপ্রাপ্ত হবে এবং ভ্রান্ত পথ হতে দূরে থাকবে। এটাই হচ্ছে পুণ্য লাভ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণ। এর দ্বারাই সঠিক পথ লাভ করা যায় এবং উদ্দেশ্য সফল হয়।