Aal-i-Imraan • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ لَّا يَتَّخِذِ ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلْكَٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ ٱللَّهِ فِى شَىْءٍ إِلَّآ أَن تَتَّقُوا۟ مِنْهُمْ تُقَىٰةًۭ ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ ٱللَّهُ نَفْسَهُۥ ۗ وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلْمَصِيرُ ﴾
“LET NOT the believers take those who deny the truth for their allies in preference to the believers - since he who does this cuts himself off from God in everything - unless it be to protect yourselves against them in this way. But God warns you to beware of Him: for with God is all journeys' end.”
এখানে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন না করে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে প্রণয় ও ভালবাসা থাকা উচিত। অতঃপর তিনি সতর্ক করে বলছেন যে, এরূপ যে ব্যক্তি করবে অর্থাৎ অবিশ্বাসীদের সাথে মিত্রতা করবে তার প্রতি তিনি রাগান্বিত হয়ে যাবেন। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থা ‘হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করো না'। (৬০:১) অন্য স্থানে রয়েছেঃ “হে মুমনিগণ! এই ইয়াহুদী এবং খ্রীষ্টানেরা পরস্পর বন্ধু, তোমাদের মধ্যে যে কেউ তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।' অন্যত্র আল্লাহ তাআলা মুহাজির, আনসার ও অন্যান্য মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বের উল্লেখ করে বলেনঃ “অবিশ্বাসকারীরা পরস্পর বন্ধু, তোমরা যদি এরূপ না কর তবে পৃথিবীর পৃষ্ঠে গণ্ডগোলের সৃষ্টি হবে এবং ভীষণ হাঙ্গামা সংঘটিত হবে।'অতঃপর আল্লাহ পাক ঐ লোকদেরকে অনুমতি দেন যারা কোন শহরে কোন সময় অবিশ্বাসীদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সাময়িকভাবে মৌখিক তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখে কিন্তু তাদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা রাখে না। যেমন সহীহ বুখারী শরীফে হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ ‘কোন কোন গোত্রের সাথে আমরা প্রশস্ত বদনে মিলিত হই, কিন্তু আমাদের অন্তর তাদের প্রতি অভিশাপ দেয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “শুধু মুখে বন্ধুত্ব প্রকাশ করতে হবে কিন্তু কাজে-কর্মে এরূপ অবস্থাতেও কখনও তাদের সহযোগিতা করতে হবে না'। এ উক্তিটিই অন্যান্য ব্যাখ্যাকারী হতেও বর্ণিত আছে। আল্লাহ তা'আলার নিম্নের ঘোষণাটিতেও এ উক্তিরই সমর্থন পাওয়া যায়। তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যে ব্যক্তি ঈমান আনয়নের পর আল্লাহর সাথে কুফরী করে কিন্তু যার প্রতি জবরদস্তি করা হয়েছে এবং তার অন্তর ঈমানের সাথে শান্তি প্রাপ্ত (অসমাপ্ত আয়াত)। (১৬:১০৬)।সহীহ বুখারী শরীফে রয়েছে, হযরত হাসান (রাঃ) বলেনঃ “কিয়ামত পর্যন্তই এ নির্দেশ। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আল্লাহ তোমাদেরকে স্বীয় অস্তিত্বের ভয়প্রদর্শন করছেন। অর্থাৎ তিনি ঐ লোকদেরকে স্বীয় শাস্তির ভয় প্রদর্শন করছেন যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করতঃ তাঁর শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করছে এবং তার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা পোষণ করছে।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তার নিকটই ফিরে যেতে হবে। প্রত্যেকেই তার কাছে স্বীয় কার্যের প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। মুসনাদ ইবনে আবি হাতিম’ গ্রন্থে রয়েছে, হযরত মাইমুন ইবনে মাহরান বলেন, হযরত মুআয (রাঃ) দাঁড়িয়ে আমাদেরকে বলেনঃ “হে বানী আওদ! আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দূতরূপে তোমাদের নিকট আগমন করেছি। জেনে রেখো যে, আল্লাহর নিকট সকলকে ফিরে যেতে হবে। অতঃপর অবস্থান স্থল হবে জান্নাত অথবা জাহান্নাম।'