Aal-i-Imraan • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ مِن قَبْلُ هُدًۭى لِّلنَّاسِ وَأَنزَلَ ٱلْفُرْقَانَ ۗ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌۭ شَدِيدٌۭ ۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌۭ ذُو ٱنتِقَامٍ ﴾
“aforetime, as a guidance unto mankind, and it is He who has bestowed [upon man] the standard by which to discern the true from the false. Behold, as for those who are bent on denying God's messages - grievous suffering awaits them: for God is almighty, an avenger of evil.”
এ সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এর প্রাথমিক তিরাশিটি আয়াত নাজরানের খ্রীষ্টানদের দূত সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়, যে দূত হিজরী নবম সনে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়। এর বিস্তারিত বিবরণ ‘মুবাহালা’র আয়াতের তাফসীরে ইনশাআল্লাহ অতিসত্বরই আসছে। এ সূরার ফযীলত সম্বন্ধে যে হাদীসসমূহ এসেছে ঐগুলো সূরা-ই-বাকারার তাফসীরের প্রারম্ভে বর্ণিত হয়েছে। ১-৪ নং আয়াতের তাফসীর: পূর্বেই আয়াতুল কুরসীর তাফসীরের বর্ণনায় এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে যে, ইসম-ই-আযম এ আয়াতের মধ্যে ও আয়াতুল কুরসীর মধ্যে রয়েছে। (আরবী)-এর তাফসীর সূরা-ই-বাকারার প্রারম্ভে লিখা হয়েছে। সুতরাং এখানে আর পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই। (আরবী)-এর তাফসীরও আয়াতুল কুরসীর তাফসীরে লিখা হয়েছে।অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আল্লাহ তাআলা তোমার উপর সত্যের সঙ্গে কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ করেছেন, যার মধ্যে সন্দেহের লেশমাত্র নেই। বরং নিশ্চয়ই ওটা আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে এসেছে, যা তিনি স্বীয় জ্ঞানের সাথে অবতীর্ণ করেছেন। ফেরেশতাগণ এর উপর সাক্ষী রয়েছেন এবং আল্লাহর সাক্ষ্যই যথেষ্ট। কুরআন মাজীদ তার পূর্বের সমস্ত আসমানী কিতাবের সত্যতা স্বীকারকারী এবং ঐ কিতাবগুলো, এ কুরআন কারীমের সত্যতার উপর দলীল স্বরূপ। কেননা, ঐগুলোর মধ্যে নবী (সঃ)-এর আগমন এবং এ কিতাব অবতীর্ণ হওয়ার যে সংবাদ ছিল তা সত্যরূপে সাব্যস্ত হয়েছে। তিনিই হযরত মূসা ইবনে ইমরান (আঃ)-এর উপর তাওরাত এবং হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ)-এর উপর ইঞ্জীল অবতীর্ণ করেছিলেন। এ দু'টোও সে যুগীয় লোকদের জন্যে পথপ্রদর্শক ছিল।তিনি ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন যা সত্য ও মিথ্যা, সুপথ ও ভ্রান্ত পথের মধ্যে পার্থক্য আনয়নকারী। ওর স্পষ্ট ও উজ্জ্বল দলীলগুলো প্রত্যেকের জন্যে যথেষ্ট হয়ে থাকে। হযরত কাতাদাহ্ (রঃ) এবং হযরত রাবী’ ইবনে আনাস (রঃ) বর্ণনা করেন যে, এখানে ফুরকানের ভাবার্থ হচ্ছে কুরআন। যদিও এটা (আরবী) কিন্তু এর পূর্বে কুরআনের বর্ণনা হয়েছে বলে এখানে (আরবী) বলেছেন। হযরত আবু সালিহ (রঃ) হতে এও বর্ণিত আছে যে, ফুরকানের ভাবার্থ হচ্ছে ‘তাওরাত', কিন্তু এটা দুর্বল। কেননা, তাওরাতের বর্ণনা এর পূর্বে হয়েছে। কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসকারী এবং বাতিলপন্থীদের কঠিন শাস্তি হবে। আল্লাহ তা'আলা মহা পরাক্রমশালী ও বিরাট সাম্রাজ্যের অধিকারী। যারা মহা সম্মানিত নবী ও রাসূলদের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং আল্লাহর আয়াত সমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, আল্লাহ তাআলা পূর্ণভাবে তাদের প্রতিশোধ গ্রহণকারী।