Ar-Room • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يُؤْمِنُونَ ﴾
“Are they, then, not aware that it is God who grants abundant sustenance, or gives it in scant measure, unto whomever He wills? In this, behold, there are messages indeed for people who will believe!”
৩৩-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা মানুষের স্বভাব ও অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, যখন তাদের। উপর দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ আপতিত হয় তখন অংশীবিহীন আল্লাহর কাছে তারা অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কষ্ট ও বিপদ হতে মুক্তিলাভের জন্যে প্রার্থনা করে। তারপর যখন আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নিয়ামত তাদের উপর বর্ষণ করেন তখন তারা তার সাথে শিরক করতে শুরু করে দেয়।(আরবি)-এর (আরবি)-কে কেউ কেউ (আরবি) বলেন, আবার কেউ কেউ। (আরবি) বলেন। এখানে (আরবি) ই এ বাক্যের জন্যে উত্তম বলে মনে হচ্ছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা এটা তাদের জন্যে নির্ধারণ করেছেন, অতঃপর তাদেরকে ধমক দিচ্ছেন যে, শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।কোন কোন বুযুর্গ ব্যক্তি বলেনঃ “যদি পুলিশ কাউকে ভয় দেখায় ও ধমক দেয় তবে সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তাহলে এটা বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার যে, ঐ সত্তার ধমকে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হই না যার অধিকারে সব কিছুই রয়েছে এবং কোন কিছু করার জন্যে হও’ বলাই যার জন্যে যথেষ্ট।”অতঃপর মুশরিকদের নিকট কোন দলীল প্রমাণ না থাকার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি তাদের শিরকের কোন দলীল অবতীর্ণ করিনি। এরপর অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী মানুষের একটি বদ-স্বভাবের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। অতি অল্প সংখ্যক লোক ছাড়া সব মানুষই সুখের সময় আল্লাহকে ভুলে যায়।আর বিপদে পড়লে একেবারে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং বলেঃ হায়! আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। আমার সুখ-শান্তির আর কোন আশা নেই। কিন্তু মুমিনরা বিপদে পড়লে ধৈর্যধারণ করে এবং সুখের সময় ভাল কাজ করে থাকে। যেমন সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “মুমিনের জন্যে বিস্ময় যে, আল্লাহ তার জন্যে যা ফায়সালা করেন তা তার জন্যে মঙ্গল ও কল্যাণকরই হয়। যদি তার উপর সুখ-শান্তি আপতিত হয় এবং এজন্যে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তবে সেটাও হয় তার জন্যে কল্যাণকর। আর যদি তাকে বিপদ ও দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে এবং সে ধৈর্যধারণ করে তবে সেটাও হয় তার জন্যে মঙ্গলজনক।”এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা তার রিযক প্রশস্ত করেন অথবা সীমিত করেন? তিনিই মালিক মুখতার। তিনি স্বীয় কৌশল অনুযায়ী দুনিয়াকে সাজিয়েছেন। তিনি কাউকে প্রচুর রিযক দান করেন এবং কাউকে অভাব-অনটনে রাখেন। কেউ অভাবের জীবন বয়ে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, আবার কেউ প্রাচুর্যের মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে। এসবের মধ্যে অবশ্যই মুমিনদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।