slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 26 من سورة سُورَةُ فَاطِرٍ

Faatir • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ ثُمَّ أَخَذْتُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ۖ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ ﴾

“[but] in the end I took to task all those who were bent on denying the truth: and how awesome was My rejection!”

📝 التفسير:

১৯-২৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, মুমিন ও কাফির সমান হয় না, যেমন সমান হয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মন, অন্ধকার ও আলো, ছায়া ও রৌদ্র এবং জীবিত ও মৃত। যেমন এগুলোর মাঝে আকাশ পাতালের পার্থক্য রয়েছে, ঠিক তেমনই ঈমানদার ও কাফিরদের মাঝে সীমাহীন পার্থক্য বিরাজমান। মুমিন কাফিরের সম্পূর্ণ বিপরীত। কাফির হচ্ছে অন্ধ, অন্ধকার ও গরম লু হাওয়ার মত। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা মৃত ছিল তাদেরকে আমি জীবিত করে দিয়েছি, তাদেরকে নূর বা আলো দিয়েছি, সেগুলো নিয়ে তারা লোকদের মাঝে চলাফেরা করে, তারা কি তাদের মত যারা অন্ধকারে চলাফেরা করে?(৬:১২২) আর এক আয়াতে আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “দু'টি দলের দৃষ্টান্ত অন্ধ ও বধির এবং চক্ষুষ্মন ও শ্রবণশক্তি সম্পন্ন লোকের মত, এ দু’দলের দৃষ্টান্ত কি সমান?”(১১:২৪) মুমিনের তো চোখ আছে ও কান আছে। সে আলোক প্রাপ্ত। সে সরল সঠিক পথে রয়েছে। সে ছায়া ও নহর বিশিষ্ট জান্নাতে প্রবেশ করবে। অপরপক্ষে, কাফির অন্ধ ও বধির। সে দেখতেও পায় না, শুনতেও পায় না। অন্ধকারে সে জড়িয়ে পড়েছে। অন্ধকার হতে বের হতে পারে না। সে জাহান্নামে পৌঁছে যাবে যা অত্যন্ত গরম ও কঠিন তাপবিশিষ্ট এবং দাহনকারী আগুনের ভাণ্ডার।আল্লাহ যাকে চাইবেন শুনিয়ে দিবেন অর্থাৎ এমনভাবে শুনবার তাওফীক দিবেন যে, সে শুনে কবূলও করে নিবে।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যারা কবরে আছে তাকে তুমি (হযরত মুহাম্মাদ সঃ) শুনাতে সমর্থ হবে না। অর্থাৎ কেউ যখন মরে যায় এবং তাকে সমাধিস্থ করা হয় তখন তাকে ডাকা যেমন বৃথা, তেমনই কাফিররাও যে, তাদেরকে হিদায়াতের দাওয়াত দেয়া বৃথা। অনুরূপভাবে মুশরিকদের উপরেও দুর্ভাগ্য ছেয়ে গেছে। সুতরাং তাদের হিদায়াত লাভের কোন আশা নেই। হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে কখনো হিদায়াতের উপর আনতে পার না। তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র। তোমার কাজ শুধু আমার বাণী মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া। হিদায়াত করা ও পথভ্রষ্ট করার মালিক আল্লাহ।হযরত আদম (আঃ) থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে রাসূল আসতে থেকেছেন যাতে তাদের কোন ওযর বাকী না থাকে। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেক কওমের জন্যেই একজন হিদায়াতকারী রয়েছে।” (১৩:৭) অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই আমি রাসূল পাঠিয়েছিলাম।” (১৬:৩৬) কাজেই এদের এই নবী (সঃ)-কে অবিশ্বাস ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করা কোন নতুন কথা নয়। এদের পূর্বের লোকেরাও তাদের রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছিল। তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শন, গ্রন্থাদি ও দীপ্তিমান কিতাবসহ এসেছিল। তবুও তারা তাদেরকে বিশ্বাস করেনি। তাদের অবিশ্বাস করার পরিণাম এই হয়েছিল যে, আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে তার শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলেন এবং তাঁর শাস্তি ছিল কতই না ভয়ংকর।