slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 49 من سورة سُورَةُ الصَّافَّاتِ

As-Saaffaat • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌۭ مَّكْنُونٌۭ ﴾

“[as free of faults] as if they were hidden [ostrich] eggs.”

📝 التفسير:

৩৮-৪৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা লোকদেরকে সম্বোধন করে বলছেনঃ তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করবে এবং তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল পাবে। এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় মনোনীত বান্দাদের এর থেকে পৃথক করে নিচ্ছেন যে, তারা নয় যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “মহাকাশের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে।”(১০৫: ১-৩) মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম গঠনে। অতঃপর আমি তাকে হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে পরিণত করি, কিন্তু তাদেরকে নয় যারা মুমিন ও সৎকর্মপরায়ণ।”(৯৬:৪-৬) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমাদের প্রত্যেকেই ওটা (জাহান্নাম) অতিক্রম করবে, এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। পরে আমি মুত্তাকীদেরকে উদ্ধার করবো এবং যালিমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় রেখে দিবো।”(১৯:৭১-৭২) অন্য এক জায়গায় প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ, তবে দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ব্যক্তিরা নয়।”(৭৪:৩৮-৩৯)এজন্যেই মহামহিমান্বিত আল্লাহ এখানে বলেনঃ “তারা নয় যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা।” বেদনাদায়ক শাস্তিতে পতিত ব্যক্তিদের হতে আল্লাহ তা'আলা স্বীয় একনিষ্ঠ বান্দাদেরকে পৃথক করে নিয়েছেন যাতে তারা কঠিন শা হিসাব-নিকাশের ভীষণ বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে পারে। তাদেরকে যাবতীয় বিপদাপদ থেকে দূরে রাখা হবে। আর ঐ সব বান্দার নেক আমলগুলোকে একটির বদলে দশগুণ তা হতে সাতশগুণ এমনকি আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছানুযায়ী আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়া হবে ।আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ তাদের জন্যে আছে নির্ধারিত রিযক। কাতাদা (রাঃ) ও সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা জান্নাতকে বুঝানো হয়েছে। তা হবে নানা প্রকারের ফলে পরিপূর্ণ। সেখানে তারা হবে মহাসম্মানের অধিকারী। সুখদ কাননে তারা মুখোমুখি হয়ে আসনে সমাসীন থাকবে। মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ তারা এমনভাবে বসে থাকবে যে, কারো পৃষ্ঠ দেশ কেউ দেখতে পাবে না। হযরত যায়েদ ইবনে আবি আওফা (রঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদের নিকট হাযির হয়ে (আরবী)-এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন এবং বলেনঃ “প্রত্যেকে এমনভাবে সামনা সামনি হয়ে বসে থাকবে যে, তাদের দৃষ্টি পরস্পরের মুখমণ্ডলের উপর পতিত হবে।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি গারীব)মহান আল্লাহ বলেনঃ তাদেরকে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপূর্ণ পাত্র। প্রবাহিত শরাব হতে পূর্ণ পেয়ালা তাদের মধ্যে পরিবেশিত হবে। তা হবে ধবধবে সাদা ও সুমিষ্ট। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তাদের সেবায় ঘোরাফিরা করবে চির কিশোরেরা পানপাত্র, কুজা প্রস্রবণ নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে। সেই সুরা পানে তাদের শিরঃপীড়া হবে , তারা জ্ঞান হারাও হবে না।”(৫৬:১৭-১৯) দুনিয়ার মদে এই ক্ষতি রয়েছে। যে, এটা পান করলে পেটে অসুখ হয়, মাথা ব্যথা হয় এবং জ্ঞান লোপ পায়। কিন্তু জান্নাতের সুরার মধ্যে এসব মন্দ গুণ কিছুই নেই। এর রঙ সুদৃশ্য এবং পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু। এর উল্টো হচ্ছে দুনিয়ার মদ। তাতে দুর্গন্ধ বিদ্যমান এবং রঙ দেখতেও ঘৃণাবোধ হয়। এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ জান্নাতের শরাব সম্পর্কে বলেনঃ তাতে ক্ষতিকর কিছুই থাকবে না। এবং তাতে তারা মাতালও হবে না। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত কাতাদা (রঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ) প্রমুখ গুরুজনের মতে (আরবী) শব্দ দ্বারা পেটের ব্যথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ দুনিয়ার মদ্যপানে যেমন পেটের ব্যথা হয় জান্নাতের মদ্য পানে তা হবে না। কেউ কেউ বলেন যে, (আরবী) শব্দের অর্থ হলো শিরঃপীড়া। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, ঐ সুরা পানে জ্ঞান লোপ পাবে না। সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রঃ) বলেন যে, তাতে কোন ঘৃণার বস্তু থাকবে না এবং কোন কষ্টও হবে না। তবে হযরত মুজাহিদ প্রমুখ গুরুজনের উক্তিটিই সঠিক যে, (আরবী) শব্দ দ্বারা পেটের ব্যথাকে বুঝানো হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তাতে তারা মাতালও হবে না।হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, শরাবে চারটি মন্দ গুণ রয়েছে। যেমন- মাতলামী, মাথা ব্যথা, বমন এবং মূত্র দোষ। মহামহিমান্বিত আল্লাহ জান্নাতের শরাবের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, তাতে উক্ত দোষগুলোর একটিও থাকবে না।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ তাদের সঙ্গে থাকবে আনত নয়না, আয়ত লোচনা হুরীগণ। তারা নিজেদের স্বামীদের ছাড়া আর কারো চেহারার দিকে দৃষ্টিপাত করবে না। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ) প্রমুখ গুরুজন এই মত পোষণ করেন। (আরবী) অর্থ সুলোচনা। কেউ কেউ বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে বড় চক্ষু। আর একটি অর্থ হলো আনত নয়না। অবশ্য এটা সৌন্দর্যের চরম বিকাশ ও উত্তম চরিত্রের পরিচায়ক। জুলাইখা হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর মধ্যে এই উভয়বিধ সৌন্দর্য দেখেছিলেন। একদা জুলাইখা হযরত ইউসুফ (আঃ)-কে উত্তমরূপে সাজিয়ে মিসরের ভদ্র মহিলাদের সামনে হাযির করেন। তারা নবী (আঃ)-এর রূপ ও চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য দেখে বলে উঠেছিলঃ “অদ্ভূত আল্লাহর মাহাত্ম্য! এতো মানুষ নয়, এতো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা?” জুলাইখা তখন বলেছিলেনঃ “এ-ই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দে করেছে। আমি তো তা হতে অসঙ্কর্ম কামনা করেছি, কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে।” তিনি বাহ্যিক সৌন্দর্যের সাথে আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যও বহাল রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন অতি সৎ, পবিত্র, বিশ্বস্ত, পুণ্যবান এবং আল্লাহভীরু। জান্নাতী হুরীরাও ঠিক অনুরূপ। তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেনঃ তারা যেন সুরক্ষিত ডিম্ব। তারা সুন্দর তনুধারিণী উজ্জ্বল গৌর বর্ণের সঙ্গিনী। আলী ইবনে আবি তালহা (রাঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, (আরবী)-এর অর্থ হচ্ছে (আরবী) অর্থাৎ “যেন তারা রক্ষিত মুক্তা।” এর স্বপক্ষে কবি আবু দুহায়েলের কাসীদা হতে একটি পংক্তি এখানে উদ্ধৃত হচ্ছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “মহিলাটি ডুবুরীর ঐ মুক্তার ন্যায় পরমা সুন্দরী, যাকে সুরক্ষিত জওহর হতে পৃথক করা হয়েছে।” হাসান (রঃ), সুদ্দী (রঃ), সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রঃ) প্রমুখ মনীষীবর্গ বলেন যে, (আরবী)-এর অর্থ হচ্ছে ঐ সুরক্ষিত মুক্তা যেখানে কারো হাত পৌছেনি এবং যাকে ঝিনুক থেকে বের করা হয়নি। ওটা যেন ডিম্বের উপরের পরদার মাঝে সুরক্ষিত অংশ বিশেষ, যা কেউ স্পর্শ করেনি। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমাকে মহামহিমান্বিত আল্লাহর (আরবী)-এর ভাবার্থ বুঝিয়ে দিন! রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “এর ভাবার্থ হলো- বড় চক্ষু ও কালো পলক বিশিষ্ট হর।" আমি আবার জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) (আরবী)-এর ভাবার্থ কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ “ডিম্বের মধ্যস্থিত সাদা ঝিল্লীর মত তাদের দেহ।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যখন লোকদেরকে কবর হতে উঠানো হবে তখন সর্বপ্রথম আমিই দণ্ডায়মান হবে। যখন সকলকে প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহর নিকট হাযির করা হবে তখন আমিই হলো তাদের খতীব বা ভাষণদানকারী। যখন তারা চিন্তাযুক্ত থাকবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ দান করবো। যখন তারা বন্দী অবস্থায় থাকবে তখন আমিই তাদের জন্যে সুপারিশ করবো। সেই দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। আদম সন্তানের মধ্যে সেই দিন আমিই হবো সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। এটা আমি অহংকার করে বলছি না। কিয়ামতের দিন আমার সামনে ও পিছনে এক হাজার খাদেম ঘুরাঘুরি করবে যারা রক্ষিত ডিম্ব বা এমন মুক্তার মত হবে যেগুলোকে স্পর্শ করা হয়নি। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।