Saad • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَقَالُوا۟ رَبَّنَا عَجِّل لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ ٱلْحِسَابِ ﴾
“As it is, they say [mockingly]: “O our Sustainer! Hasten on to us our share [of punishment even] before the Day of Reckoning!””
১২-১৬ নং আয়াতের তাফসীর: পূর্বযুগীয় এসব কাফিরের ঘটনা বেশ কয়েক জায়গায় বর্ণিত হয়েছে যে, তাদের পাপের কারণে কিভাবে তাদের উপর আল্লাহর আযাব এসেছিল এবং তারা সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পূর্বযুগের ঐ সব কাফিরের দল ধন-সম্পদে ও সন্তান-সন্ততিতে এবং শক্তি-সামর্থে এ যুগের এসব কাফিরের অপেক্ষা বহুগুণে অগ্রবর্তী ছিল। এদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি এবং শক্তি-সামর্থ্য তাদের তুলনায় অতি নগণ্য। এতদসত্ত্বেও আল্লাহর শাস্তি এসে যাবার পর এগুলো তাদের কোনই উপকারে আসেনি।অতঃপর আল্লাহ তা'আলা অতীত যুগের ঐ সব কাফির দলের ধ্বংসের কারণ প্রসঙ্গে বলেন যে, তাদের প্রত্যেকেই রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে। তারা ছিল রাসূলদের চরম শত্রু।মহান আল্লাহ বলেনঃ এরা তো অপেক্ষা করছে একটি মাত্র প্রচণ্ড নিনাদের, যাতে কোন বিরাম থাকবে না। আর এতেও কোন বিলম্ব নেই। একটি মাত্র প্রচণ্ড শব্দ হবে এবং তা কানে আসা মাত্রই সবাই অজ্ঞান ও প্রাণহীন হয়ে পড়বে। ঐ লোকগুলো এর অন্তর্ভুক্ত হবে না যাদেরকে আল্লাহ স্বতন্ত্র করে নিবেন।(আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে অংশ। এখানে এর দ্বারা মুশরিকদের নির্বুদ্ধিতা এবং তাদের আল্লাহর আযাবকে অসম্ভব মনে করতঃ নির্ভয় হয়ে আযাব চাওয়ার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা কাফিরদের উক্তি উদ্ধৃতি করেছেনঃ (আরবী) অথাৎ “হে আল্লাহ! যদি এটা আপনার নিকট হতে সত্য হয়ে থাকে তবে আকাশ হতে আমাদের উপর প্রস্তর বর্ষণ করুন অথবা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আমাদের উপর নাযিল করুন।” (৮:৩২)।একথাও বলা হয়েছে যে, তারা তাদের জান্নাতের অংশ এখানে চেয়েছিল। তারা যা কিছু বলেছিল সবই ওটা মিথ্যা ও অসম্ভব মনে করার কারণেই ছিল। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ)-এর উক্তি এই যে, দুনিয়ায় তারা যে ভাল ও মন্দের দাবীদার ছিল তা তারা তাড়াতাড়ি চেয়েছিল। এ উক্তিটিই সঠিক। যহ্হাক (রঃ) ও ইসমাঈল (রঃ)-এর তাফসীরের সারমর্ম এটাই। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন। আল্লাহ্ তা'আলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে তাদের স্ক্রিপের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণের উপদেশ দিচ্ছেন।