slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 25 من سورة سُورَةُ صٓ

Saad • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ فَغَفَرْنَا لَهُۥ ذَٰلِكَ ۖ وَإِنَّ لَهُۥ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَـَٔابٍۢ ﴾

“And thereupon We forgave him that [sin]: and, verily, nearness to Us awaits him [in the life to come], and the most beauteous of all goals!”

📝 التفسير:

২১-২৫ নং আয়াতের তাফসীর: তাফসীরকারগণ এখানে একটি গল্প বর্ণনা করেছেন যার অধিকাংশই বানী ইসরাঈলের রিওয়াইয়াত হতে নেয়া হয়েছে। এটা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে একটি হাদীস রয়েছে বটে, কিন্তু ওটাও সঠিক নয়। কেননা, ইয়াযীদ রাকাশী নামক এর একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যিনি খুব সৎ লোক হলেও নিঃসন্দেহে দুর্বল। সুতরাং উত্তম কথা এই যে, কুরআন কারীমে যা আছে তা-ই সত্য এবং যা কিছু অন্তর্ভুক্ত করেছে তা-ই সঠিক। দু’জন লোককে ঘরের মধ্যে দেখে হযরত দাউদ (আঃ)-এর ভীত হওয়ার কারণ এই যে, তিনি নির্জন কক্ষে একাকী অবস্থান করছিলেন এবং প্রহরীদেরকে ঘরের মধ্যে সেই দিন কাউকেও প্রবেশ করতে দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও এই দু’জনকে ঘরে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করতে দেখে তিনি ভীত হয়ে পড়েছিলেন।(আরবী)-এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ কথা-বার্তায় সে আমার উপর জয়লাভ করেছে এবং আমার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। অর্থাৎ কথায় সে আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করেছে। হযরত দাউদ (আঃ) বুঝে ফেলেন যে, এটা তাঁর উপর মহান আল্লাহর পরীক্ষা। সুতরাং তিনি রুকু ও সিজদা করতঃ আল্লাহ তাআলার দিকে ঝুঁকে পড়েন। বর্ণিত আছে যে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তিনি সিজদা হতে মাথা উঠাননি।মহান আল্লাহ বলেনঃ অতঃপর আমি তার ত্রুটি ক্ষমা করলাম। এটা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, যে কাজ সাধারণের জন্যে পুণ্যের হয় সেই কাজটিই বিশিষ্ট লোকদের জন্যে পাপের হয়ে থাকে।এটা সিজদার আয়াত কি-না এ বিষয়ে ইমাম শাফেয়ী (রঃ)-এর নতুন মাযহাব এই যে, এখানে সিজদা জরুরী নয়। এটা তো সিজদায়ে শুক্র। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর উক্তি এই যে, (আরবী)-এর মধ্যে সিজদা বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেনঃ “তবে আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এতে সিজদা করতে দেখেছি।" (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ), ইমাম আবু দাউদ (রঃ), ইমাম তিরমিযী (রঃ) এবং ইমাম নাসাঈ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)সুনানে নাসাঈতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এখানে সিজদা করার পর বলেনঃ “হযরত দাউদ (আঃ)-এর জন্যে এই সিজদা ছিল তাওবার এবং আমাদের জন্যে এ সিজদা হলো শোকরের।”হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সঃ)-এর কাছে একটি লোক এসে বললোঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমি স্বপ্নে দেখি যে, আমি যেন একটি গাছের পিছনে নামায পড়ছি এবং নামাযে সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করছি ও সিজদা করছি। তখন আমার সাথে গাছটিও সিজদা করলো এবং আমি গাছটিকে নিম্নলিখিত দুআ পড়তে শুনলামঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আপনি আমার এই সিজদাকে আমার জন্যে আপনার নিকট পুণ্য ও যখীরার কারণ বানিয়ে দিন, আর এর মাধ্যমে আমার পাপের বোঝা হালকা করে দিন এবং এটা কবুল করে নিন, যেমন কবুল করেছিলেন আপনার বান্দা হযরত দাউদ (আঃ)-এর সিজদাকে। তখন আমি দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) দাঁড়িয়ে গিয়ে নামায আদায় করলেন এবং সিজদার আয়াত পাঠ করে সিজদা করলেন। ঐ সিজদায় তিনি ঐ দুআই পড়লেন যে দুআটির কথা লোকটি গাছটির দু'আ বলে বর্ণনা করেছিল।” (এ হাদীসটি জামেউত তিরমিযী ও সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এই আয়াতের সিজদার উপর দলীল পেশ করেছেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “তার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল দাউদ (আঃ) ও সুলাইমান (আঃ), যাদেরকে আমি হিদায়াত দান করেছিলাম। সুতরাং হে নবী (সঃ)! তুমি তাদের হিদায়াতের অনুসরণ কর। তাহলে বুঝা গেল যে, তাঁদের অনুসরণ করতে রাসূলুল্লাহ (সঃ) আদিষ্ট ছিলেন। আর এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, হযরত দাউদ (আঃ) সিজদা করেছিলেন এবং রাসূলুল্লাহও (সঃ) এই সিজদা করেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি যেন সূরায়ে সোয়দি লিখছেন এটা তিনি স্বপ্নে দেখতে পান। যখন তিনি সিজদার আয়াতে পৌঁছেন তখন দেখেন যে, কলম, দোয়াত ও আশে পাশের সবকিছুই সিজদা করলো। তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট বর্ণনা করেন। এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এই আয়াত পাঠ করে বরাবরই সিজদা করতেন। (এ হদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদা মিম্বরের উপর সূরায়ে সোয়াদ পাঠ করেন। সিজদার আয়াত পর্যন্ত পৌঁছে তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করেন ও সিজদা করেন। তার সাথে অন্যান্য সবাই সিজদা করেন। অন্য একদিন মিম্বরের উপর তিনি এই সূরাটি পাঠ করেন। যখন তিনি সিজদার আয়াতে পৌঁছেন তখন জনগণ সিজদার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ দেখে তিনি বলেনঃ “এটা তো ছিল হযরত দাউদ (আঃ)-এর তাওবার সিজদা। আর আমি দেখি যে, তোমরাও সিজদার জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেছো?” অতঃপর তিনি মিম্বর হতে নেমে সিজদা করেন। (এ হদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “আমার নিকট দাউদ (আঃ)-এর জন্যে রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম। কিয়ামতের দিন তিনি জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন। কেননা, তিনি স্বীয় রাজ্যে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেমন সহীহ হাদীসে এসেছেঃ “সুবিচারক ও ন্যায়পরায়ণ লোকেরা নূরের মিম্বরের উপর রহমানের (আল্লাহর) ডানদিকে অবস্থান করবে, আল্লাহর উভয় হস্তই ডান, তারা ঐ সব সুবিচারক যারা তাদের পরিবার পরিজন ও যাদের তারা মালিক তাদের মধ্যে সুবিচার করে থাকে।” হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় এবং সবচেয়ে বেশী তাঁর নৈকট্যলাভকারী বান্দা হবে ন্যায়-বিচারক বাদশাহ। আর কিয়ামতের দিন আল্লাহর সবচেয়ে বড় শত্রু ও কঠিন আযাব প্রাপ্ত ব্যক্তি হবে অত্যাচারী বাদশাহ।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত মালিক ইবনে দীনার (রাঃ) বলেন যে, কিয়ামতের দিন হযরত দাউদ (আঃ)-কে আরশের পায়ার নিকট দাঁড় করানো হবে। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে বলবেনঃ “হে দাউদ (আঃ)! তুমি দুনিয়ায় যে মিষ্টি ও করুণ সুরে আমার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করতে সেভাবে এখনো কর।” তিনি উত্তরে বলবেনঃ “হে আল্লাহ! এখন ঐ সুর ও আওয়াজ কোথায়?” জবাবে আল্লাহ পাক বলবেনঃ “আজও আমি তোমাকে ঐ সুর ও শব্দ দান করলাম।” তখন হযরত দাউদ (আঃ) তাঁর মর্মস্পর্শী ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় আল্লাহর প্রশংসাগীতি গাইবেন। এটা শুনে জান্নাতীরা অন্য সব নিয়ামতের কথা ভুলে যাবে। তার এই সুমিষ্ট সুর এবং জ্যোতির্ময় কণ্ঠের মাধ্যমে সব কিছুকে ভুলিয়ে দিয়ে তাদেরকে তিনি নিজের দিকে আকৃষ্ট করবেন।