Az-Zumar • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ لَهُم مِّن فَوْقِهِمْ ظُلَلٌۭ مِّنَ ٱلنَّارِ وَمِن تَحْتِهِمْ ظُلَلٌۭ ۚ ذَٰلِكَ يُخَوِّفُ ٱللَّهُ بِهِۦ عِبَادَهُۥ ۚ يَٰعِبَادِ فَٱتَّقُونِ ﴾
“Clouds of fire will they have above them, and [similar] clouds beneath them…” In this way does God imbue His servants with fear. O you servants of Mine! Be, then, conscious of Me -”
১৩-১৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি ঘোষণা করে দাও- যদিও আমি আল্লাহর রাসূল, তবুও আমি আল্লাহর আযাব হতে নির্ভয় নই। যদি আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই তবে কিয়ামতের দিন আমিও আল্লাহর আযাব হতে বাঁচতে পারবো না। সুতরাং অন্য লোকদের আল্লাহর অবাধ্যতা হতে বহুগুণে বেশী বেঁচে থাকা উচিত। হে নবী (সঃ)! তুমি আরো ঘোষণা করে দাও- আমি ইবাদত করি আল্লাহরই তাঁর প্রতি আমার আনুগত্যকে একনিষ্ঠ করে। অতএব তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার ইবাদত কর। এতেও ভীতি প্রদর্শন ও ধমক রয়েছে, অনুমতি নয়। কিয়ামতের দিন পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত তারাই হবে যারা নিজেদের ও নিজেদের পরিজনবর্গের ক্ষতি সাধন করে। কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা এসে যাবে। তাদের পরিজনবর্গ জান্নাতে গেলে এরা জাহান্নামে যাচ্ছে। আর সবাই জাহান্নামে গেলে মন্দভাবে একে অপর হতে সরে থাকবে এবং হতবুদ্ধি ও চিন্তিত থাকবে। এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি। অতঃপর জাহান্নামে তাদের অবস্থার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে যে, তাদের জন্যে থাকবে তাদের উধ্বদিকে অগ্নির আচ্ছাদন এবং নিম্নদিকেও আচ্ছাদন। যেমন। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তাদের বিছানা হবে জাহান্নামের আগুনের এবং তাদের উপরেও হবে আগুনের চাদর, এবং এরূপেই আমি যালিমদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকি।”(৭:৪১) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “সেই দিন শাস্তি তাদের উপরে ও পায়ের নীচে পর্যন্ত ঢেকে ফেলবে এবং তিনি (আল্লাহ) বলবেনঃ তোমরা যা আমল করতে তার স্বাদ গ্রহণ কর।” (২৯:৫৫) মহান আল্লাহ্ বলেনঃ এতদ্বারা আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন তার প্রকৃত শাস্তি হতে যে, নিশ্চিত রূপে ঐ শাস্তি দেয়া হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। সুতরাং তার বান্দাদের সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত এবং পাপকার্য ও আল্লাহর অবাধ্যাচরণ পরিত্যাগ করা তাদের একান্তভাবে কর্তব্য। তাই তিনি বলেনঃ হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার পাকড়াও, আমার শাস্তি, আমার ক্রোধ এবং আমার প্রতিশোধ ও হিসাব গ্রহণকে ভয় কর।