Az-Zumar • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَإِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَحْدَهُ ٱشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ ۖ وَإِذَا ذُكِرَ ٱلَّذِينَ مِن دُونِهِۦٓ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ ﴾
“And yet, whenever God alone is mentioned, the hearts of those who will not believe in the life to come contract with bitter aversion - whereas, when those [imaginary powers] are mentioned side by side with Him, lo, they rejoice!”
৪৩-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের নিন্দে করছেন যে, তারা প্রতিমাগুলোকে এবং বাজে ও মিথ্যা মা'বৃদদেরকে তাদের সুপারিশকারী মনে করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কাছে দলীল প্রমাণ কিছুই নেই। আসলে তাদের মা'বূদদের কোন কিছুর অধিকারও নেই এবং তাদের কোন বিবেক-বুদ্ধি এবং অনুভূতিও নেই। তাদের নেই চক্ষু ও কর্ণ। তারা তো পাথর ও জড় পদার্থ ছাড়া কিছুই নয়। তারা জন্তু হতেও নিকৃষ্ট। এ জন্যেই মহান আল্লাহ স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি তাদেরকে বলে দাও- এমন কেউ নেই যে আল্লাহর সামনে তার অনুমতি ছাড়া কারো জন্যে মুখ খুলতে পারে। সকল সুপারিশ আল্লাহরই ইখতিয়ারে রয়েছে। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তারই। কিয়ামতের দিন তোমাদের সবাইকে তাঁরই কাছে ফিরে যেতে হবে। সেই দিন তিনি তোমাদের মধ্যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করবেন এবং প্রত্যেককেই তিনি তার আমলের পুরোপুরি প্রতিদান বা বিনিময় প্রদান করবেন। এই কাফিরদের অবস্থা এই যে, তারা আল্লাহর একত্ববাদের কালেমা উচ্চারণ করা পছন্দ করে না। আল্লাহর একত্বের বর্ণনা শুনে তাদের অন্তর সংকীর্ণ হয়ে যায়। এটা শুনতে তাদের মনই চায় না। কুফরী ও অহংকার তাদেরকে এটা হতে বিরত রাখে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তাদের নিকট ‘আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই' বলা হলে তারা অহংকার করতো।” (৩৭:৩৫) তাদের অন্তর সত্যকে অস্বীকারকারী বলে বাতিলকে তাড়াতাড়ি কবুল করে নেয়। তাই তো আল্লাহ পাক বলেনঃ আল্লাহর পরিবর্তে তাদের দেবতাগুলোর উল্লেখ করা হলে তারা আনন্দে উল্লসিত হয়।