Az-Zumar • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَيُنَجِّى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ بِمَفَازَتِهِمْ لَا يَمَسُّهُمُ ٱلسُّوٓءُ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ ﴾
“But God will safeguard all who were conscious of Him, [and will grant them happiness] by virtue of their [inner] triumphs; no evil shall ever touch them, and neither shall they grieve.”
৬০-৬১ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিচ্ছেন যে, কিয়ামতের দিন দুই শ্রেণীর লোক হবে। এক শ্রেণীর লোকের মুখ হবে কালো, কালিমাযুক্ত এবং আর এক শ্রেণীর মুখ হবে উজ্জ্বল জ্যোতির্ময়। বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারীদের চেহারা হবে কালো ও মলিন এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও সৌন্দর্যময়। আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপনকারীদের এবং তার সন্তান সাব্যস্তকারীদেরকে দেখা যাবে যে, মিথ্যা ও অপবাদ আরোপের কারণে তাদের মুখ কালো হয়ে গেছে। সত্যকে অস্বীকার করার এবং অহংকার প্রদর্শনের কারণে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তারা বড়ই লাঞ্ছনার সাথে কঠিন ও জঘন্য শাস্তি ভোগ করবে।হযরত আমর ইবনে শুআয়েব (রাঃ) তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে মানুষের রূপ পিপড়ার সাথে সাদৃশ্যযুক্ত (অতি ক্ষুদ্র) অবস্থায় একত্রিত করা হবে। ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম প্রাণীও তাদেরকে মাড়াতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জাহান্নামের জেলখানায় বন্দী করে দেয়া হবে, সেটা এমন এক উপত্যকা যার নাম বুলাস। ওর আগুন হবে অত্যন্ত দগ্ধকারক ও যন্ত্রণাদায়ক। তাদেরকে জাহান্নামীদের ক্ষত স্থানের রক্ত-পুঁজ পান করানো হবে।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হ্যাঁ, তবে আল্লাহ তা'আলা মুত্তাকীদেরকে উদ্ধার করবেন তাদের সাফল্যসহ। তারা ঐ সব আযাব, লাঞ্ছনা এবং মারপিট হতে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পেয়ে যাবে। তাদেরকে অমঙ্গল মোটেই স্পর্শ করবে না। কিয়ামতের দিন যে ভীতি-বিহ্বলতা ও দুঃখ-দুর্দশা সাধারণ হবে, তা থেকে এসব তোক সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবে। তারা চিন্তা হতে নিশ্চিন্ত, ভয় হতে নির্ভয় এবং শাস্তি হতে শাস্তিমুক্ত থাকবে। তাদের প্রতি কোন প্রকারের শাসন-গর্জন ও ধমক থাকবে না। তারা সম্পূর্ণরূপে শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবে। এভাবে তারা পরম সুখে কালাতিপাত করবে এবং মহান আল্লাহর সর্বপ্রকারের নিয়ামত ভোগ করতে থাকবে।