An-Nisaa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلَا تَهِنُوا۟ فِى ٱبْتِغَآءِ ٱلْقَوْمِ ۖ إِن تَكُونُوا۟ تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمُونَ ۖ وَتَرْجُونَ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَا يَرْجُونَ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا ﴾
“And be not faint of heart when you seek out the [enemy] host. If you happen to suffer pain, behold, they suffer pain even as you suffer it: but you are hoping [to receive] from God what they cannot hope for. And God is indeed all-knowing, wise.”
এরপর বলা হয়েছে যে, তোমরা শত্রুদের অনুসন্ধানের ব্যাপারে ভীরুতা প্রদর্শন করো না। চাতুরীর সাথে গোপনীয় জায়গায় বসে থেকে তাদের খবরাখরব নিতে থাকো। তোমরা যদি নিহত বা আহত হও অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাক তবে তোমাদের শত্রুগণও তো এরূপ হয়ে থাকে। এ বিষয়টিকেই নিম্নের শব্দগুলোর দ্বারাও বর্ণনা করা হয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ ‘তোমাদেরকে যদি কষ্ট পৌছে থাকে তবে ঐরূপ কষ্ট তো ঐ সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছিল।' (৩:১৪০) তাহলে বিপদ ও কষ্টে পতিত হওয়ার ব্যাপারে তোমরা ও কাফিরেরা সমান। তবে হ্যাঁ, তোমাদের এবং ওদের মধ্যে বিরাট পার্থক্য এই যে, আল্লাহ তা'আলার নিকট তোমরা ঐসব আশা করে থাকো যেসব আশা তারা করে না। তোমরা এর পুণ্য ও প্রতিদানও পাবে এবং তোমাদেরকে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে সাহায্যও করা হবে। যেমন স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই এর অঙ্গীকার করেছেন। তার অঙ্গীকার টলতে পারে না। কাজেই এ ব্যাপারে তাদের তুলনায় তোমাদের মধ্যেই তো বেশী কর্মচাঞ্চল্য ও উদ্যোগ থাকা উচিত। তোমাদের অন্তরেই খুব বেশী জিহাদের উদ্যম থাকা দরকার। পূর্ণ উদ্দীপনার সাথে তোমাদেরকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তা'আলার কালেমাকে প্রতিষ্ঠিত, ছড়ানো এবং সুউচ্চ করার ব্যাপারে তোমাদের অন্তরে সদা-সর্বদা শিহরণ ও উত্তেজনা জেগে উঠা উচিত। আল্লাহ তা'আলা যা কিছু ভাগ্যে লিখে দেন, যা কিছু ফায়সালা করেন, যত কিছু চালু করেন, যে শরীয়ত তিনি নির্ধারণ করেন এবং যে কাজই করেন সব কিছুর ব্যাপারেই তিনি মহাজ্ঞানী ও চরম বিজ্ঞানময়। সর্বাবস্থাতেই তিনি মহা প্রশংসিত।