slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 141 من سورة سُورَةُ النِّسَاءِ

An-Nisaa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ ٱلَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌۭ مِّنَ ٱللَّهِ قَالُوٓا۟ أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكَٰفِرِينَ نَصِيبٌۭ قَالُوٓا۟ أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۚ فَٱللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ ٱللَّهُ لِلْكَٰفِرِينَ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا ﴾

“who but wait to see what betides you: thus, if triumph comes to you from God, they say, "Were we not on your side?"- whereas if those who deny the truth are in luck, they say [to them], "Have we not earned your affection by defending you against those be­lievers?'' But God will judge between you all on the Day of Resurrection; and never will God allow those who deny the truth to harm the believers.”

📝 التفسير:

এখানে মুনাফিকদের মন্দ অন্তরের বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, তারা সব সময় মুসলমানদের ধ্বংস ও অবনতির অনুসন্ধানে লেগে থাকে। কোন জিহাদে মুসলমানদের বিজয় লাভ ঘটলে তারা নিজেদেরকে মুসলমানদের বন্ধুরূপে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে তাদের নিকট এসে বলেঃ আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না?' পক্ষান্তরে যদি কোন কোন সময় মুসলমানদেরকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাদের উপর আল্লাহ তাআলা কাফিরদেরকে জয়যুক্ত করেন তবে তারা তাদের দিকে দ্রুত বেগে ধাবিত হয়ে বলেঃ “আমরা তো গোপনে তোমাদেরকেই সাহায্য করেছি এবং সর্বদা মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছি। এটা ছিল আমাদের একটা কৌশল যার বলে আজ তোমরা বিজয় লাভ করলে। এটা হচ্ছে তাদের কাজ যে, তারা দু’নৌকায় পা দিয়ে থাকে। যদিও তারা তাদের এ কৌশলকে নিজেদের পক্ষে গৌরবের কারণ মনে করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা তাদের বেঈমানির পরিচায়ক। কাঁচা রং কয়দিন থাকবে? গাজরের বাঁশী কয়দিন বাজবে? কাগজের নৌকাই বা কয়দিন চলবে? এমনই সময় আসছে যে, তারা তাদের কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হবে। স্বীয় কৃতকর্মের জন্যে তারা আফসোস করবে। স্বীয় লজ্জাজনক কাজের কারণে কেঁদে কেঁদে চক্ষু ভাসাবে। তারা আল্লাহ তা'আলার সত্য মীমাংসা মেনে নিতে বাধ্য হবে এবং সমস্ত মঙ্গল হতে নিরাশ হয়ে যাবে। সেদিন তাদের ভুল ভেঙ্গে যাবে। তাদের গোপনীয়তা সেদিন প্রকাশ পেয়ে যাবে। সমস্ত রহস্য সেদিন উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে। তাদের জঘন্য কাজ অত্যন্ত ভয়াবহ আকারে সামনে এসে হাযির হবে এবং তারা আল্লাহ তা'আলার ভীষণ শাস্তির শিকারে পরিণত হয়ে যাবে।এরপর আল্লাহ তাআলা বলেন-“আল্লাহ তা'আলা কখনও মুমিনদের বিপক্ষে কাফিরদেরকে বিজয়ী করবেন না। এক ব্যক্তি হযরত আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বাক্যটিকে পূর্ববর্তী বাক্যের সাথে মিলিয়ে পাঠ করেন। ভাবার্থ ছিল এই যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মুমিনদের উপর কাফিরদেরকে বিজয়ী করবেন না। এও বর্ণিত আছে যে, (আরবী) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে প্রমাণ। কিন্তু তথাপিও এর প্রকাশ্য অর্থ উদ্দেশ্য হওয়াতেও কোন অসুবিধে নেই। অর্থাৎ এটা অসম্ভব যে, আল্লাহ তা'আলা এখন থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত এমন কোন সময় আনয়ন করবেন যখন কাফিররা মুসলমানদের নাম ও নিশানা মিটিয়ে দেয়ার মত শক্তি অর্জন করতে পারবে। পৃথিবীতে কোন সময় হয়তো তারা বিজয়ী হয়ে যায় সেটা অন্য কথা। কিন্তু পরিণামে জয় মুসলমানদেরই দুনিয়াতেও এবং আখিরাতেও। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে এবং মুমিনগণকে ইহলৌকিক জগতে অবশ্যই সাহায্য করবো।' (৪০:৫১) এ অর্থের মধ্যে একটা সৌন্দর্য এই রয়েছে যে, মুনাফিকরা ঐ সময়ে আগমনের জন্যে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছিল যে সময়ে তারা মুসলমানদের ধ্বংস কামনা করছিল। তাতে তাদেরকে নিরাশ করে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, কাফিরদেরকে তিনি মুসলমানদের উপর এমনভাবে বিজয়ী করবেন না, যার ফলে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবে। তারা যে ভয়ে মুসলমানদের সাথে প্রকাশ্যভাবে মিশতে পারছিল না সেই ভয়কেও তিনি দূর করে দিয়ে বলেন যে, মুসলমানেরা যে ভূ-পৃষ্ঠ হতে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এটা যেন তারা মনে না করে। এ ভাবার্থকেই তিনি (আরবী) (৫:৫২)-এ আয়াতে পরিষ্কার করেছেন।উপরোক্ত আয়াত-ই-কারীমা দ্বারা উলামা-ই-কিরাম যুক্তি নিয়েছেন যে, মুসলমান দাসকে কাফিরদের হাতে বিক্রী করা বৈধ নয়। কেননা, ঐ অবস্থায় কাফিরদেকে মুসলমানের উপর বিজয়ী করে দেয়া হয় এবং এতে মুসলমানের হীনতা প্রকাশ পায়। যারা একে জায়েয রেখেছেন তারা তাকে নির্দেশ দেন যে, সে যেন তৎক্ষণাৎ তার উপর হতে স্বীয় অধিকার নষ্ট করে দেয়।