slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 173 من سورة سُورَةُ النِّسَاءِ

An-Nisaa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ ۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱسْتَنكَفُوا۟ وَٱسْتَكْبَرُوا۟ فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًۭا وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيًّۭا وَلَا نَصِيرًۭا ﴾

“whereupon unto those who attained to faith and did good deeds He will grant their just rewards, and give them yet more out of His bounty; whereas those who felt too proud and gloried in their arrogance He will chastise with grievous suffering: and they shall find none to protect them from God, and none to bring them succour.”

📝 التفسير:

১৭২-১৭৩ নং আয়াতের তাফসীর: ভাবার্থ এই যে, হযরত মাসীহ (আঃ) ও আল্লাহ তাআলার নৈকট্য প্রাপ্ত ফেরেশতাগণও আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করতে মোটেই সংকোচবোধ করেন না এবং অহংকারও করেন না। এটা তাদের জন্যে শোভনীয়ও নয়। বরং যাঁরা যত বেশী আল্লাহ তাআলার নৈকট লাভ করেন তারা ততো বেশী পরিমাণ তাঁর ইবাদত করে থাকেন। কেউ কেউ এ আয়াত দ্বারা এ দলীল গ্রহণ করেছেন যে, ফেরেশতাগণ মানুষ অপেক্ষা উত্তম। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ আয়াত দ্বারা এটা সাব্যস্ত হয় না। কেননা, এখানে (আরবী)-এর উপর (আরবী) শব্দের সংযোগ হয়েছে। আর (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে বিরত হওয়া এবং ফেরেশতাদের মধ্যে এ শক্তি হযরত মাসীহ (আঃ) অপেক্ষা বেশী আছে। এ জন্যে এটা বলা হয়েছে। কিন্তু বিরত হওয়ার উপর বেশী ক্ষমতাবান হওয়াতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয় না। এও বলা হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আঃ)-কে যেমন মানুষ পূজো করতো তেমন ফেরেশতাদেরকেও পূজো করতো। তাই এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আঃ) মানুষকে আল্লাহর ইবাদত হতে বাধা দেননি। তারপরে ফেরেশতাদেরও এ অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। যার দ্বারা এটা প্রমাণিত হয়েছে। যে, তারা যাদের পূজো করছে তারাও স্বয়ং আল্লাহর ইবাদত করে থাকেন। সুতরাং তাদেরকে পূজো করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কি হতে পারে? যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছে (আরবী) অর্থাৎ “তারা বলে যে, আল্লাহ তাআলা সন্তান বানিয়ে নিয়েছেন। অথচ তিনি তা হতে পবিত্র, বরং তারা সম্মানিত দাস।” (২১:২৬) তাই, এখানেও বলা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহ তা'আলার ইবাদত হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং অহংকার করছে তারা একদিন তার নিকটই প্রত্যাবর্তিত হবে এবং সেদিন তাদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা তারা নিজেরাই শুনে নেবে। পক্ষান্তরে যারা বিশ্বাস স্থাপন করতঃ সকার্যাবলী সম্পাদন করে তাদের কার্যের পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে স্বীয় করুণা দ্বারা পুরস্কৃত করবেন।তাফসীর-ই-ইবনে মিরদুওয়াই-এর মধ্যে হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ তো এই যে, তাকে আল্লাহ তা'আলা জান্নাতে প্রবিষ্ট করেন এবং (আরবী)-এর ভাবার্থ এই যে, যার জন্যে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গেছে তার জন্যেও ঐ সব লোক সুপারিশ করবে যাদের সাথে সে দুনিয়ায় ভাল ব্যবহার করেছে। কিন্তু এর সনদ প্রমাণিত নয়। কিন্তু যদি হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর উক্তির উপরেই ওটা বর্ণনা করা হয় তবে ঠিকই আছে। অতঃপর বলা হচ্ছে- যারা আল্লাহ তাআলার ইবাদত ও আনুগত্য হতে সরে পড়ে এবং অহংকার করে তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করবেন। তারা আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছে (আরবী) অর্থাৎ “যারা আমার ইবাদত হতে অংহকার করে তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (৪০:৬০) অর্থাৎ তাদের অস্বীকার ও অহংকারের প্রতিদান এই দেয়া হবে যে, তারা ঘৃণ্য, লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।