Fussilat • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ مَّا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍۢ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍۢ ﴾
“[And as for thee, O Prophet,] nothing is being said to thee but what was said to all [of God’s] apostles before thy time. Behold, thy Sustainer is indeed full of forgiveness - but He has also the power to requite most grievously!”
৪০-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনামতে শব্দের অর্থ হলো কালামকে ওর জায়গা হতে সরিয়ে অন্য জায়গায় রেখে দেয়া। আর কাতাদা (রঃ) প্রমুখ গুরুজন এর অর্থ করেছেন কুফরী ও হঠকারিতা। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যারা আমার আয়াতসমূহকে বিকৃত করে তারা আমার অগোচর নয়। যারা আমার নাম ও গুণাবলীকে এদিক হতে ওদিকে করে দেয় তারা আমার দৃষ্টির মধ্যেই রয়েছে। তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি প্রদান করবো। যারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে এবং যারা ভয়-ভীতি ও বিপদাপদ হতে নিরাপদে থাকবে তারা কি কখনো সমান হতে পারে? কখনো নয়। পাপী, দূরাচার এবং কাফিররা যা ইচ্ছা আমল করে যাক। তাদের কোন আমলই আল্লাহ তা'আলার নিকট গোপন নেই। ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম জিনিসও তার চক্ষু এড়ায় না। তারা যা কিছু করে তিনি তার দ্রষ্টা। যহহাক (রঃ), সুদ্দী (রঃ) এবং কাতাদা (রঃ)-এর উক্তি এই যে, এখানে যিকর দ্বারা কুরআন কারীমকে বুঝানো হয়েছে। এটা ইযযত ও মর্যাদাসম্পন্ন কিতাব। কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করবে না, অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়। কারো কালাম এর সমতুল্য হতে পারে না। এটা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতারিত। যিনি তাঁর কথায় ও কাজে বিজ্ঞানময় ও নিপুণ। তাঁর সমুদয় হুকুম উত্তম ফলদায়ক।মহান আল্লাহ স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ তোমার যুগের কাফিররা তোমাকে ঐ কথাই বলে যা তোমার পূর্ববর্তী যুগের কাফিররা তাদের রাসূলদেরকে বলেছিল। ঐ নবীরা যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল তেমনই তুমিও ধৈর্যধারণ কর। যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে ফিরে, আল্লাহ তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল। পক্ষান্তরে যে আল্লাহ হতে বিমুখ হয়, কুফরী ও হঠকারিতার উপর অটল থাকে, সত্যের বিরোধিতা এবং রাসূল (সঃ)-কে অবিশ্বাস করা হতে বিরত থাকে না তাকে তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যদি আল্লাহ তা'আলার মার্জনা ও ক্ষমা না থাকতো তবে একটি প্রাণীও বাঁচতো না। পক্ষান্তরে, যদি আল্লাহ তা'আলার পাকড়াও ও শাস্তি না হতো তবে প্রত্যেকেই প্রশান্তভাবে হেলান লাগিয়ে নির্ভয় হয়ে যেতো।" (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)