Ad-Dukhaan • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ إِلَّا مَن رَّحِمَ ٱللَّهُ ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ﴾
“save those upon whom God will have bestowed His grace and mercy: for, verily, He alone is almighty, a dispenser of grace.”
৩৮-৪২ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে আল্লাহ তা'আলা নিজের আদল ও ইনসাফ এবং তার বৃথা ও অযতা কোন কাজ না করার বর্ণনা দিচ্ছেন। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতোদুভয়ের মধ্যস্থিত জিনিস বৃথা সৃষ্টি করিনি। এটা কাফিরদের ধারণা। সুতরাং কাফিরদের জন্যে জাহান্নামের দুর্ভোগ রয়েছে।”(৩৮:২৭) অন্য এক জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না? মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই, সম্মানিত আরশের তিনি অধিপতি।”(২৩:১১৫-১১৬)ফায়সালার দিন অর্থাৎ কিয়ামতের দিন যেই দিন আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদের মধ্যে হক ফায়সালা করবেন। কাফিরদেরকে শাস্তি দিবেন এবং মুমিনদেরকে দিবেন পুরস্কার। ঐ দিন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবাই আল্লাহ তা'আলার সামনে একত্রিত হবে। ওটা হবে এমন এক সময় যে, একে অপর হতে পৃথক হয়ে যাবে। এক আত্মীয় অন্য আত্মীয়ের কোনই উপকার করতে পারবে না। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে সেই দিন তাদের মধ্যে কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকবে না এবং তারা একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।"(২৩:১০১) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সুহৃদ সুহৃদের তত্ত্ব নিবে না, তাদেরকে করা হবে একে অপরের দৃষ্টিগোচর।”(৭০:১০-১১) অর্থাৎ কোন বন্ধু তার বন্ধুকে তার অবস্থা সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করবে না, অথচ তারা একে অপরকে দেখতে পাবে। ঐদিন কেউ কাউকেও কোন সাহায্য করবে না এবং বাহির হতেও কোন সাহায্য আসবে। না। হ্যা, তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন তার কথা স্বতন্ত্র। তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।