Al-Jaathiya • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ هَٰذَا هُدًۭى ۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌۭ مِّن رِّجْزٍ أَلِيمٌ ﴾
“[To pay heed to God’s signs and messages:] this is [the meaning of] guidance; on the other hand, for those who are bent on denying the truth of their Sustainer’s messages there is grievous suffering in store as an outcome of [their] vileness.”
৬-১১ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এই যে কুরআন, যা অত্যন্ত স্পষ্ট ও পরিষ্কারভাবে নবী (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে, ওর আয়াতগুলো যথাযথভাবে তার নিকট আবৃত্তি করা হয় তা কাফিররা শুনে, অথচ এর পরেও ঈমান আনে না এবং আমলও করে না, তাহলে আর কোন বাণীতে তারা বিশ্বাস করবে? তাদের জন্যে। দুর্ভোগ, তাদের জন্যে আফসোস! যারা কথায় মিথ্যাবাদী, আমলে পাপী এবং অন্তরে কাফির! আল্লাহর বাণী শুনেও স্বীয় কুফরী ও অবিশ্বাসের উপর অটল ও স্থির থাকছে! যেন ওটা তারা শুনেইনি। তাই তিনি স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ তুমি তাদেরকে সংবাদ দিয়ে দাও যে, তাদের জন্যে আল্লাহ তাআলার নিকট বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।যখন তারা আল্লাহর কোন আয়াত অবগত হয় তখন তা নিয়ে তারা পরিহাস করে। সুতরাং আজ যখন তারা আল্লাহর বাণীর অমর্যাদা করছে তখন কাল কিয়ামতের ময়দানে তাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি। হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কুরআন নিয়ে শত্রুদের শহরে সফর করতে নিষেধ করেছেন। এই আশংকায় যে, তারা হয়তো কুরআনের অবমাননা করবে। (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) স্বীয় সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাঁর বাণীর অবমাননাকারীদের শাস্তির বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তাদের পশ্চাতে রয়েছে জাহান্নাম। তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি এবং সারাজীবন ধরে যেসব বাতিল মা'বুদের তারা উপাসনা করে এসেছে তারাও তাদের কোনই কাজে আসবে না। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ কুরআন সৎপথের দিশারী। যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী প্রত্যাখ্যান করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন বেদনাদায়ক শাস্তি। এসব ব্যাপারে মহামহিমান্বিত আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।