slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 26 من سورة سُورَةُ الجَاثِيَةِ

Al-Jaathiya • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ قُلِ ٱللَّهُ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ لَا رَيْبَ فِيهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ﴾

“Say: “It is God who gives you life, and then causes you to die; and in the end He will gather you together on Resurrection Day, [the coming of] which is beyond all doubt - but most human beings under­stand it not.””

📝 التفسير:

২৪-২৬ নং আয়াতের তাফসীর: কাফিরদের দাহরিয়্যাহ সম্প্রদায় এবং তাদের সমবিশ্বাসী আরব-মুশরিকদের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে এবং বলেঃ কিয়ামত কোন জিনিসই নয়। দার্শনিক ও ইলমে কালামের উক্তিকারীরাও এ কথাই বলতো। তারা প্রথম ও শেষকে বিশ্বাস করতো না। দার্শনিকদের মধ্যে যারা দাহরিয়্যাহ ছিল তারা সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করতো। তাদের ধারণা ছিল যে, প্রতি ছত্রিশ হাজার বছর পর যুগের একটা পালা শেষ হয়ে যায় এবং প্রতিটি জিনিস নিজের আসল অবস্থায় চলে আসে। এই ধরনের তারা কয়েকটি দওর যা যুগের পালাতে বিশ্বাসী ছিল। প্রকৃতপক্ষে তারা যুক্তিসম্মত বিষয়েও ঝগড়া করতো এবং স্থানান্তরিত বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হতো। তারা বলতো যে, কালচক্রই ধ্বংস আনয়নকারী, আল্লাহ তা'আলা নয়। আল্লাহ তা'আলা তাদের এ দাবী খণ্ডন করতে গিয়ে বলেন যে, এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং কোন দলীল-প্রমাণও নেই। তারা শুধু মনগড়া কথা বলে।হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ‘আদম সন্তানরা আমাকে কষ্ট দেয়, তারা যুগকে গালি দেয়। অথচ যুগ তো আমি নিজেই। সমস্ত কাজ আমারই হাতে। দিবস ও রজনীর পরিবর্তন আমিই ঘটিয়ে থাকি।" (এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রঃ) ও ইমাম নাসাঈ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা যুগকে গালি দিয়ো না, কেননা, আল্লাহ তা'আলাই তো যুগ।”হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেন, অজ্ঞতার যুগের লোকেরা বলতোঃ “রাত-দিনই আমাদেরকে ধ্বংস করে থাকে। এগুলোই আমাদেরকে মেরে ফেলে ও জীবিত রাখে। তাই আল্লাহ তাআলা স্বীয় কিতাবে বলেনঃ “তারা বলে- একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন, আমরা মরি ও বাঁচি আর কালই আমাদেরকে ধ্বংস করে।” সুতরাং আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “বানী আদম আমাকে কষ্ট দেয়, তারা যামানাকে গালি দেয়, অথচ যামানা তো আমিই। সব কাজ আমারই হাতে। রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন আমিই ঘটাই।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা অত্যন্ত গারীব)হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “ইবনে আদম (আদম সন্তান) যুগ বা কালকে গালি দেয়, অথচ যুগ তো আমিই। আমারই হাতে রাত ও দিন।” (ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি আমার বান্দার কাছে কর্জ চেয়েছি কিন্তু সে আমাকে তা দেয়নি। আমার বান্দা আমাকে গালি দেয়। সে বলেঃ ‘হায় যুগ! অথচ যুগ তো আমিই।" (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ), ইমাম মুসলিম (রঃ) এবং ইমাম নাসাঈ (রঃ) তাখরীজ করেছেন)ইমাম শাফেয়ী (রঃ), ইমাম আবু উবাইদাহ (রঃ) প্রমুখ গুরুজন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ‘তোমরা যুগকে গালি দিয়ো না, কেননা আল্লাহই যুগ' এই উক্তির তাফসীরে বলেন যে, অজ্ঞতার যুগের আরবরা যখন কোন কষ্ট ও বিপদ-আপদে পড়তো তখন যুগকে সম্পর্কযুক্ত করে গালি দিতো। প্রকৃতপক্ষে যুগ কিছুই করে না। সবকিছুই করেন একমাত্র আল্লাহ। কাজেই তাদের যুগকে গালি দেয়া অর্থ আল্লাহকেই গালি দেয়া যার হাতে ও যার অধিকারে রয়েছে যুগ। সুখ ও দুঃখের মালিক তিনিই। অতএব, গালি পড়ে প্রকৃত কর্তা অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার উপরই। এ কারণেই আল্লাহর নবী (সঃ) এ হাদীসে একথা বলেন এবং জনগণকে তা হতে নিষেধ করে দেন। এটাই সঠিক ব্যাখ্যা। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) প্রমুখ গুরুজন এই হাদীস দ্বারা যে মনে করে নিয়েছেন যে, আল্লাহ তা'আলার উত্তম নামসমূহের মধ্যে দাহরও একটি নাম, এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “তাদের নিকট যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করা হয় তখন তাদের কোন যুক্তি থাকে না। অর্থাৎ কিয়ামত সংঘটিত হওয়া এবং পুনর্জীবন দান করার স্পষ্ট ও উজ্জ্বল দলীল-প্রমাণ তাদের সামনে পেশ করা হলে তারা একেবারে নিরুত্তর হয়ে যায়। তাদের দাবীর অনুকূলে তারা কোন যুক্তি পেশ করতে পারে না। তখন তারা বলে ওঠেঃ “তোমরা তোমাদের কথায় সত্যবাদী হলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে আমাদের সামনে উপস্থিত কর।' অর্থাৎ তাদেরকে জীবিত করে দেখাতে পারলে আমরা ঈমান আনবো।' আল্লাহ তা'আলা তাদের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ তুমি তাদেরকে বলে দাও- তোমরা তোমাদের জীবন ধারণ ও মৃত্যুবরণ স্বচক্ষে দেখছো। তোমরা তো কিছুই ছিলে না। আল্লাহই তোমাদেরকে অস্তিত্বে আনয়ন করেছেন। অতঃপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটিয়ে থাকেন। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমরা কিরূপে আল্লাহকে অস্বীকার কর? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনিই তোমাদেরকে জীবন্ত করেছেন, আবার তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও পুনর্জীবন দান করবেন।”(২:২৮) অর্থাৎ যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানে কেন সক্ষম হবেন না? এটা তো জ্ঞানের দ্বারাই উপলব্ধি করা যাচ্ছে যে, যিনি বিনা নমুনাতেই কোন জিনিস তৈরী করতে পারেন, ওটাকে দ্বিতীয়বার তৈরী করা তো তাঁর পক্ষে প্রথমবারের চেয়ে বেশী সহজ।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তিনি তোমাদেরকে কিয়ামত দিবসে একত্রিত করবেন যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তিনি তোমাদেরকে পুনরায় দুনিয়ায় আনয়ন করবেন না, যেমন তোমরা বলছো যে, তোমাদের বাপ-দাদা, পূর্বপুরুষদেরকে পুনর্জীবন দান করে আবার দুনিয়ায় উপস্থিত করা হোক। দুনিয়া তো আমলের জায়গা। প্রতিফল ও প্রতিদানের জায়গা হবে কিয়ামতের দিন। এই পার্থিব জীবনে কিছুটা অবকাশ দেয়া হয়, যাতে কেউ ইচ্ছা করলে ঐ পারলৌকিক জীবনের জন্যে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। সুতরাং তোমাদের এ বিষয়ে জ্ঞান নেই বলেই তোমরা কিয়ামতকে অস্বীকার করছে। কিন্তু এটা মোটেই উচিত নয়। তোমরা এটাকে খুবই দূরে মনে করছে, কিন্তু আসলে এটা খুবই নিকটে। তোমরা এটা সংঘটিত হওয়াকে অসম্ভব মনে করলেও এটা সংঘটিত হবেই। এতে কোনই সন্দেহ নেই। বাস্তবিকই মুমিনরা জ্ঞানী ও বিবেকবান, তাই তো তারা এর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে আমল করছে।