Muhammad • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱتَّبَعُوا۟ ٱلْبَٰطِلَ وَأَنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّبَعُوا۟ ٱلْحَقَّ مِن رَّبِّهِمْ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ أَمْثَٰلَهُمْ ﴾
“This, because they who are bent on denying the truth pursue falsehood, whereas they who have attained to faith pursue [but] the truth [that flows] from their Sustainer. In this way does God set forth unto man the parables of their true state.”
১-৩ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেন:যারা নিজেরাও আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং অন্যদেরকেও আল্লাহর পথ হতে নিবৃত্ত করেছে, আল্লাহ তা'আলা তাদের আমল নষ্ট করে দিয়েছেন এবং তাদের পুণ্যকর্ম বৃথা হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তাদের কৃতকর্মগুলো বিবেচনা করবো, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবো।” (২৫:২৩)মহান আল্লাহ বলেনঃ যারা ঈমান এনেছে আন্তরিকতার সাথে এবং দেহ দ্বারা শরীয়ত মুতাবেক আমল করেছে অর্থাৎ বাহির ও ভিতর উভয়কেই আল্লাহর দিকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছে এবং আল্লাহর ঐ অহীকেও মেনে নিয়েছে যা কর্তমানে বিদ্যমান শেষ নবী (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। যা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা'আলার নিকট হতেই আগত এবং যা নিঃসন্দেহে সত্য। আল্লাহ তাআলা তাদের মন্দ কর্মগুলো ক্ষমা করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন। এর দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, নবী (সঃ)-এর নবী হওয়ার পর তার উপর এবং কুরআন কারীমের উপরও ঈমান আনা অবশ্য কর্তব্য।হাদীসে এসেছে যে, যে হাঁচি দাতার ((আরবী) বলে) জবাব দেয়া হয়েছে। সে যেন জবাবদাতার জন্যে বলেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ তোমাদেরকে হিদায়াত দান করুন এবং তোমাদের অবস্থা ভাল করুন!” এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ কাফিরদের আমল নষ্ট করে দেয়া এবং মুমিনদের মন্দ কর্মগুলো ক্ষমা করা ও তাদের অবস্থা ভাল করার কারণ এই যে, যারা কুফরী করে তারা তো সত্যকে ছেড়ে মিথ্যার অনুসরণ করে, পক্ষান্তরে যারা ঈমান আনে তারা তাদের প্রতিপালক প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন অর্থাৎ তিনি তাদের পরিণাম বর্ণনা করেন। মহান আল্লাহই এসব ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল জানেন।