slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 102 من سورة سُورَةُ المَائـِدَةِ

Al-Maaida • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌۭ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا۟ بِهَا كَٰفِرِينَ ﴾

“People before your time have indeed asked such questions-and in result thereof have come to deny the truth.”

📝 التفسير:

১০০-১০২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (সঃ)-কে বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি মানুষকে বলে দাও-হে মানবমণ্ডলী! অপবিত্র বস্তু বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভাল মনে হলেও পবিত্র ও অপবিত্র বস্তু সমান নয়। তোমরা জেনে রেখো যে, উপকারী পবিত্র জিনিস অল্প হলেও তা সেই অধিক হারাম বস্তু হতে উত্তম যা তোমাদের ক্ষতি সাধন করে থাকে। (ওয়াহেদী তাখরীজ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন মদ হারাম হওয়ার বর্ণনা দিলেন তখন একজন বেদুঈন বললোঃ “আমি মদের ব্যবসা করতাম। তা থেকে আমি কিছু পৃথক করে রেখেছি। সেটা যদি আমি আল্লাহর আনুগত্যের কাজে ব্যবহার করি তবে তাতে কোন উপকার হবে কি?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “আল্লাহ পবিত্র ছাড়া কিছু গ্রহণ করেন না।” তারই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ পাক (আরবী) -এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন, যেমন লুবাব’ গ্রন্থে রয়েছে) যেমন হাদীসে রয়েছেঃ “অল্প ও প্রয়োজনের পক্ষে যথেষ্ট জিনিস সেই অধিক জিনিস হতে উত্তম যা মানুষকে আল্লাহর স্মরণ হতে গাফেল ও উদাসীন রাখে।" হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, সা'লাবা ইবনে হাতিব আনসারী রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাকে প্রচুর মাল দান করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “যে অল্প মালের তুমি শুকরিয়া আদায় করে থাক তা ঐ প্রচুর মাল হতে উত্তম যার উপর তুমি শুকরিয়া আদায় কর না।” তাই আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে জ্ঞানী লোকেরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, হারাম থেকে দূরে থাক এবং হালালের উপরেই তুষ্ট থাক, তাহলে, তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম হতে পারবে।”মহান আল্লাহ এরপর বলেনঃ হে মুমিনগণ! তোমরা এমন সব বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না যে, যদি তা তোমাদের নিকট প্রকাশ করে দেয়া হয় তবে তোমাদের বিরক্তির কারণ হবে। এটা আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে তাঁর মুমিন বান্দাদেরকে দ্রতা শিক্ষা দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে অপকারী ও ক্ষতিকর প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কেননা, যদি ঐ বিষয়গুলো প্রকাশ করে দেয়া হয় তবে তারা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হবে। যেমন হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কেউ যেন আমার কাছে কারও কোন সংবাদ নিয়ে না আসে। আমি চাই যে, আমি তোমাদের সামনে বেরিয়ে আসি এবং তোমাদের সম্পর্কে আমার অন্তর সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার থাকে।” সহীহ বুখারীতে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদা এমন এক খুতবা দেন যা আমি ওর পূর্বে কখনও শুনিনি। ঐ খুতবায় তিনি বলেনঃ “আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে তবে তোমরা হাসতে খুব কম এবং কাঁদতে খুব বেশী ।" একথা শুনে সাহাবীগণ মুখ ঢেকে কাঁদতে শুরু করেন। একটি লোক জিজ্ঞেস করেঃ “আমার পিতা কে ছিলেন?” তিনি উত্তরে বলেনঃ অমুক। তখন (আরবী) -এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, (একদা) রাসূলুল্লাহ (সঃ) বাইরে বের হন। সে সময় ক্রোধে তার চেহারা মোবারক রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছিল। ঐ অবস্থায় তিনি মিম্বরে উপবেশন করেন। একটি লোক দাঁড়িয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন- আমার (মৃত) পিতা কোথায় আছে? তিনি উত্তরে বলেনঃ “জাহান্নামে।” আর একটি লোক দাড়িয়ে গিয়ে বলে- আমার পিতা কে? তিনি বলেনঃ “তোমার পিতা হচ্ছে আবূ হুযাফাহ্।” তখন হযরত উমার (রাঃ) দাঁড়িয়ে গিয়ে বলেনঃ “আমরা এতেই সন্তুষ্ট যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু, ইসলাম আমাদের ধর্ম, মুহাম্মাদ (সঃ) আমাদের নবী এবং কুরআন আমাদের ইমাম। হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সবেমাত্র আমরা অজ্ঞতা ও শিরকের যুগ অতিক্রম করেছি। আমাদের মৃত বাপ-দাদারা কোথায় আছে তা আল্লাহ পাকই ভাল। জানেন।” এরপর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ক্রোধ প্রশমিত হয় এবং সেই সময় (আরবী) -এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। সহীহ বুখারীতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, জনগণ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে (মাঝে মাঝে) কৌতুক করেও এসব কথা জিজ্ঞেস করতো। কেউ বলতোঃ “আমার পিতা কে?” আবার কেউ বলতোঃ “আমার হারানো উটনিটি কোথায় আছে?” তখন তাদেরকে এসব প্রশ্ন করা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন। ইমাম আহমাদ (রঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তা কতই না উত্তম! তা হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর সাহাবীদেরকে বলেনঃ “তোমাদের কেউ যেন কারও কোন কথা আমার নিকট না পৌছায়। কারণ আমি তোমাদের সামনে সরলমনা রূপে বের হওয়া পছন্দ করি (অর্থাৎ তোমাদের কোন দোষ আমার কাছে ধরা না পড়ুক এটাই আমি ভালবাসি)।”(আরবী) অর্থাৎ কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় যদি তোমরা এমন কিছু জিজ্ঞেস কর যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, তবে আল্লাহ ওটা তোমাদের জন্যে বর্ণনা করে দেবেন, তখন তোমরা কি করবে? আর ওটা আল্লাহর নিকট খুবই সহজ। অতঃপর আল্লাহ পাক বলেন (আরবী) অর্থাৎ পূর্বে তোমাদের দ্বারা যা কিছু সংঘটিত হয়েছে তা তিনি ক্ষমা করে দেবেন। কেননা, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু। কাজেই তোমরা নতুনভাবে কোন কিছু প্রশ্ন করো না। নতুবা ঐ প্রশ্নের উত্তরে তোমাদের উপর কাঠিন্য ও সংকীর্ণতা নেমে আসবে। আবার ওটা হবে নিজের হাতে বিপদ ডেকে আনা। হাদীসে এসেছে যে, মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যার প্রশ্ন করার ফলে একটা হালাল জিনিস হারাম হয়ে গেছে এবং জনগণের উপর সংকীর্ণতা নেমে এসেছে। হ্যাঁ, তবে যদি কুরআনের কোন কথা সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে তোমাদের বোধগম্য না হয় এবং তোমরা তা বুঝবার প্রয়োজনীতা অনুভব কর তাহলে জিজ্ঞেস কর, আমি বর্ণনা করে দেবো। কেননা, হুকুম পালনের জন্যে তোমাদের ওটা জানবার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু যদি তার কিতাবে কোনটার উল্লেখ না থাকে তবে সেটা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা ঐ সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ না করে নীরব থাক, যেমন তিনি (আল্লাহ) ওটা বর্ণনা না করে নীরব রয়েছেন। সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি যা বর্ণনা করিনি তা অবতীর্ণ অবস্থাতেই থাকতে দাও। কেননা, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতেরা অধিক প্রশ্ন করা ও তাদের নবীদের হুকুমের ব্যাপারে মতানৈক্য সৃষ্টি করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।” সহীহ হাদীসে আরও রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ যেগুলো নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেগুলো অতিক্রম করো না, কতগুলো জিনিস তিনি হারাম করেছেন, সেগুলো হালাল মনে করো না এবং তোমাদের উপর দয়াপরবশ হয়ে কতগুলো বিষয়ে ইচ্ছাপূর্বক তিনি নীরবতা অবলম্বন করেছেন, সুতরাং সেসব বিষয়ে তোমরা প্রশ্ন উত্থাপন করো না।”এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এ নিষেধকৃত মাসআলাগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, তখন তাদেরকে জবাব দেয়া হলে তারা ওগুলোর উপর ঈমান আনেনি, বরং প্রত্যাখ্যান করেছিল। কারণ, তারা হিদায়াত লাভের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেনি, বরং বিদ্রুপ ও হঠকারিতা করেই প্রশ্ন করেছিল। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) জনগণের মধ্যে ঘোষণা করেন- “হে আমার কওম! তোমাদের উপর হজ্ব ফরয করা হয়েছে। তখন বানী আসাদ গোত্রের একটি লোক দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো-হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! প্রত্যেক বছরেই কি (হজ্ব করা ফরয করা হয়েছে)। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) ভীষণ রাগান্বিত হন এবং বলেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তার শপথ! আমি যদি হ্যা বলি তবে অবশ্যই তা (প্রতি বছরেই) ফরয হয়ে যাবে। আর তা যদি (প্রত্যেক বছরের জন্যেই) ওয়াজিব হয়ে যায় তবে তোমরা তা পালন করতে সক্ষম হবে না এবং কুফরী করবে। সুতরাং আমি তোমাদের জন্যে যা বর্ণনা করতে ছেড়ে দেই তা তোমরা ছেড়ে দাও। যখন আমি তোমাদেরকে কোন কিছু করার আদেশ করি তোমরা তা পালন কর এবং যা করতে নিষেধ করি তা থেকে বিরত থাক।” তখন আল্লাহ তাআলা এ কথার সমর্থনে এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “খ্রীষ্টানরা যেমন সওয়াল করেছিল তোমরা ঐ রূপ সওয়াল করা থেকে বিরত থাক। তারা খাদ্য যা করেছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা কুফরী করেছিল, মায়িদাহ বা আকাশ থেকে অবতীর্ণ খাদ্যের মর্যাদা দেয়নি। তোমরা নিজেরা প্রশ্ন না করে স্বয়ং আমার বলে দেয়ার অপেক্ষা কর। তোমাদের প্রশ্ন ছাড়াই প্রশ্নের ব্যাখ্যায় কুরআনে আয়াত নাযিল হয়ে যাবে।” হযরত ইকরামা (রাঃ) বলেন যে, তারা মু'জিযার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতো যা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে বাগ-বাগিচা ও নদ-নদী যা করতো এবং বলতোঃ “সাফা মারওয়া পাহাড়দ্বয়কে আমাদের জন্যে সোনা বানিয়ে দিন।” যেমন ইয়াহুদীরা হযরত মূসা (আঃ)-কে বলেছিল- “হে মূসা (আঃ)! আমাদের উপর আকাশ হতে কিতাব অবতীর্ণ করুন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখনই আমি তাদের চাওয়া অনুযায়ী মু'জিযা পাঠিয়েছি তখন পূর্ববর্তী লোকেরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।" (১৭:৫৯) আল্লাহ পাক আরও বলেনঃ “তারা কসম খেয়ে খেয়ে বলে যে, যদি তাদের কাছে মুজিযা এসে যায় তবে অবশ্যই তারা ঈমান আনবে। (হে নবী সঃ) তুমি বলে দাও যে, মু'জিযাসমূহ আল্লাহর কাছেই রয়েছে, তোমরা বুঝছনা যে, মু'জিযা তাদের কাছে আসলেও তারা ঈমান আনবে না।”