slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 81 من سورة سُورَةُ المَائـِدَةِ

Al-Maaida • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَلَوْ كَانُوا۟ يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلنَّبِىِّ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مَا ٱتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَآءَ وَلَٰكِنَّ كَثِيرًۭا مِّنْهُمْ فَٰسِقُونَ ﴾

“For, if they [truly] believed in God and their Prophet and all that was bestowed upon him from on high, they would not take those [deniers of the truth] for their allies: but most of them are iniquitous.”

📝 التفسير:

৭৮-৮১ নং আয়াতের তাফসীর: ইরশাদ হচ্ছে যে, বানী ইসরাঈলের কাফিররা প্রাচীন অভিশপ্ত। হযরত দাউদ (আঃ) ও ঈসা (আঃ)-এর যুগে তারা অভিশপ্তরূপে সাব্যস্ত হয়েছিল। কেননা, তারা ছিল আল্লাহর অবাধ্য এবং তারা আল্লাহর সৃষ্টজীবের প্রতি অত্যাচারী ছিল। তাওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর, কুরআন প্রভৃতি সমস্ত কিতাবই তাদের উপর লা'নত বর্ষণ করে আসছে। তারা নিজেদের যুগেও একে অপরকে খারাপ কাজ করতে দেখেছে, কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। হারাম কাজগুলো তাদের মধ্যে খোলাখুলিভাবে চলতো এবং কেউ কাউকেও নিষেধ করতো না। এ ছিল তাদের জঘন্য কাজ।মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- “বানী ইসরাঈলের মধ্যে প্রথম যখন পাপ কাজ শুরু হয় তখন তাদের আলেমরা তাদেরকে বাধা দেয়। কিন্তু যখন দেখে যে, তারা মানলো না তখন তারা তাদেরকে পৃথক না। করে তাদের সাথেই উঠাবসা করতে থাকে। আল্লাহ তখন একে অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দেন এবং হযরত দাউদ (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ)-এর বদ দু'আর মাধ্যমে তাদের উপর লা'নত বর্ষণ করেন। কেননা, তারা অবাধ্য ও অত্যাচারী ছিল।” এটা বর্ণনা করার সময় নবী (সঃ) বালিশে হেলান দিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু এ কথা বলার পর সোজা হয়ে বসে গিয়ে বলেনঃ “না, না। আল্লাহর কসম! তোমাদের অবশ্যই কর্তব্য হচ্ছে এই যে, তোমরা জনগণকে শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ থেকে বাধা প্রদান করবে এবং তাদেরকে শরীয়তের পাবন্দ বানিয়ে নেবে।”সুনানে আবি দাউদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “বানী ইসরাঈলের মধ্যে সর্বপ্রথম বদভ্যাস। এই ঢুকেছিল যে, কোন লোক অপর কোন লোককে শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ করতে দেখলে তাকে বাধা প্রদান করতো। তাকে সে বলতেঃ আল্লাহকে ভয় কর এবং এ খারাপ কাজ পরিত্যাগ কর, এটা হারাম। কিন্তু পরদিন যখন সে তা ছাড়তো না তখন সে তার থেকে পৃথক হয়ে যেতো না। বরং একই সাথে পানাহার করতো এবং একই সাথে উঠাবাস করতো। এ কারণে সবারই অন্তরে সংকীর্ণতা এসে যায়। তারপর তিনি পূর্ণ আয়াতটি পাঠ করেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ “আল্লাহর শপথ! তোমাদের উপর ফরয হচ্ছে এই যে, তোমরা একে অপরকে ভাল কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। অত্যাচারীকে তার অত্যাচার থেকে বিরত রাখবে এবং তাকে হকের উপর আসতে বাধ্য করবে।” জামেউত তিরমিযী এবং সুনানে ইবনে মাজার মধ্যে এ হাদীসটি রয়েছে। সুনানে আবি দাউদ ইত্যাদির মধ্যে এ হাদীসের শেষাংশে এ কথাও আছে-তোমরা যদি এটা না কর তবে আল্লাহ তোমাদের অন্তরও একে অপরের সাথে মেরে দেবেন এবং তোমাদের উপরও তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন, যেমন এদের উপর অবতীর্ণ করেছেন। এ সম্পর্কীয় আরও হাদীস রয়েছে। হযরত জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি তো (আরবী) (৫:৬৩)-এ আয়াতের তাফসীরে বর্ণনা করা হয়েছে। (আরবী) (৫:১০৫)-এ আয়াতের তাফসীরে হযরত আবূ বকর (রাঃ) ও হযরত আবু সা'লাবা (রাঃ)-এর হাদীসগুলো আসবে ইনশাআল্লাহ। মুসনাদে আহমাদ ও জামেউত তিরমিযীতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হয় তোমরা ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করতে থাকবে, না হয় আল্লাহ তোমাদের উপর স্বীয় পক্ষ থেকে শাস্তি পাঠিয়ে দেবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর নিকট প্রার্থনা করতে থাকবে, কিন্তু তোমাদের প্রার্থনা তিনি ককূল করবেন না।” সুনানে ইবনে মাজায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- “তোমরা ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করতে থাক এমন সময় আসার পূর্বে যে, তোমরা দুআ করবে, কিন্তু তা কবূল করা হবে না।" সহীহ হাদীসে হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- “তোমাদের কেউ কাউকে শরীয়ত গর্হিত কাজ করতে দেখলে তাকে হাত দ্বারা বাধা প্রদান করা তার উপর ফরয। যদি এটার ক্ষমতা তার না থাকে তবে তার উচিত যে, সে যেন তাকে কথা দ্বারা বাধা দেয়। যদি ওটারও ক্ষমতা তার না থাকে তবে তার উচিত তাকে অন্তরে ঘৃণা করা, এবং এটা হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়। (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- “বিশিষ্ট লোকদের পাপের কারণে আল্লাহ সাধারণ লোকদেরকে শান্তি দেন না, কিন্তু ঐ সময় দিয়ে থাকেন যখন তাদের মধ্যে কু-কাজ ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদেরকে বাধা প্রদান করে না। ঐ সময় আল্লাহ বিশিষ্ট ও সাধারণ সমস্ত লোককেই স্বীয় শাস্তি দ্বারা ঘিরে নেন।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)নবী (সঃ) বলেছেন- “যে জায়গায় পাপ ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে যারা উপস্থিত আছে তারা যদি ঐ শরীয়ত বিরোধী কাজে অসন্তষ্ট হয় (আর একটি বর্ণনায় আছে যে, যদি ঐ কাজে বাধা দেয়) তবে তারা যেন ঐ লোকদের মতই যারা সেখানে উপস্থিত নেই। পক্ষান্তরে যারা সেখানে উপস্থিত নেই, কিন্তু ঐ শরীয়ত বিরোধী কার্যে তারা সন্তুষ্ট হয়, তবে তারা যেন ঐ লোকদের মতই যারা সেখানে উপস্থিত আছে।” (এটা ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন) সুনানে আবি দাউদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- “লোকদের ওযর যে পর্যন্ত লুপ্ত না হবে সে পর্যন্ত তারা ধ্বংস হবে না।" হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) খুৎবা দিতে গিয়ে বলেনঃ “সাবধান! কাউকে যেন লোকদের ভয় সত্য কথা বলা থেকে বিরত না রাখে।” এ হাদীসটি বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আবূ সাঈদ (রাঃ) কেঁদে ফেলেন এবং বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা তো এরূপ স্থলে মানুষের ভয়কে স্বীকার করে থাকি। অন্য একটি হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- ‘অত্যাচারী বাদশাহর সামনে সত্য কথা বলা হচ্ছে উত্তম জিহাদ। (হাদীসগুলো ইমাম আবু দাউদ (রঃ), ইমাম তিরমিযী (রঃ) এবং ইমাম ইবনে মাজা (রঃ) বর্ণনা করেছেন) সুনানে ইবনে মাজায় রয়েছে যে, জামরায়ে সানিয়ার নিকট রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে একটি লোক এসে জিজ্ঞেস করলো- ‘হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! উত্তম জিহাদ কি? তিনি নীরব থাকলেন, তারপর তিনি জামরায়ে উকবাকে কংকর মারার পর যখন সওয়ারীর উপর আরোহণের উদ্দেশ্যে রেকাবে পা রাখলেন তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন- প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) আমি হাযির আছি। তিনি তখন বললেনঃ “অত্যাচারী বাদশাহর সামনে সত্য কথা বলে দেয়া (হচ্ছে উত্তম জিহাদ)।” সুনানে ইবনে মাজায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- “তোমাদের কারও নিজের অসম্মান কর উচিত নয়।' সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন- হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! এটা কিরূপে? তিনি উত্তরে বললেনঃ তা এরূপে যে, সে শরীয়ত বিরোধী কাজ দেখবে এবং কিছুই বলবে না। কিয়ামতের দিন তাকে জিজ্ঞেস করা হবেঃ ‘অমুক স্থলে তুমি নীরব ছিলে কেন? সে উত্তর বলবেঃ মানুষের ভয়ে। তখন আল্লাহর তা'আলা বলবেন- ‘আমি এর সবচেয়ে বড় হকদার ছিলাম যে, তুমি আমাকেই ভয় করতে। অন্য বর্ণনায় আছে যে, তালকীনে হুজ্জতের উপর সে বলবেঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার উপর আশা ভরসা রেখেছিলাম এবং মানুষকে ভয় করেছিলাম। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনমুসলমানদের নিজেকে লাঞ্ছিত করা উচিত নয়।' সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনহে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কিরূপে? তিনি উত্তরে বললেনঃ ‘ঐ বিপদ আপদকে মাথা পেতে নেয়া যা বরদাশত করার ক্ষমতা তার নেই।' সুনানে ইবনে মাজায় হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! ভাল কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা কখন ছেড়ে দেয়া হবে? তিনি উত্তরে বললেনঃ “ঐ সময় ছেড়ে দিতে হবে যখন তোমাদের মধ্যে ঐ জিনিসই প্রকাশ পেয়ে যাবে যা পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছিল। আবার জিজ্ঞেস করা হলোঃ “ওটা কি জিনিস? তিনি উত্তর দিলেনঃ রাজত্ব ইতর লোকদের মধ্যে চলে যাওয়া, বড় লোকদের মধ্যে ব্যভিচারী এসে পড়া, ছোট লোকদের মধ্যে ইলম এসে যাওয়া।' হযরত যায়েদ (রাঃ) বলেন যে, ইতর ও ছোট লোকদের মধ্যে এসে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে ফাসেক ও পাপাচারদের মধ্যে ইলমের আগমন ঘটা। এ হাদীসের সাক্ষী আবু সা'লাবা (রাঃ)-এর হাদীস দ্বারা (আরবী) (৫:১০৫)-এ আয়াতের তাফসীরে আসবে ইনশাআল্লাহ।ইরশাদ হচ্ছে-অধিকাংশ মুনাফিককে তুমি দেখবে যে, তারা কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে। তাদের এ কার্যের কারণে অর্থাৎ মুসলমানদের বন্ধুত্ব ছেড়ে দিয়ে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করার কারণে তারা তাদের জন্যে বড় যখীরা জমা করে রেখেছে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে তাদের অন্তরে নেফাক বা। কপটতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এরই উপর ভিত্তি করেই তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হয়েছে। আর কিয়ামতের দিন তাদের জন্যে চিরস্থায়ী শাস্তি অপেক্ষা করছে। ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন“হে মুসলমানগণ! তোমরা ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাক। কেননা, এতে ছয়টি অকল্যাণ রয়েছে। তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখিরাতে। দুনিয়ার তিনটি অকল্যাণ হচ্ছে- (১) এর ফলে ইযযত, সম্মান ও সৌন্দর্য লোপ পায়, (২) এর ফলে দারিদ্র এসে পড়ে এবং (৩) এর কারণে আয়ু কমে যায়। আর আখিরাতের তিনটি অকল্যাণ হচ্ছে- (১) আল্লাহর গযব, (২) হিসাবে কাঠিন্য এবং (৩) জাহান্নামে চিরস্থায়ী অবস্থান।” তারপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ আয়াতের শেষ বাক্যটি পাঠ করেন। এ হাদীসটি দুর্বল। আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ যদি এ লোকগুলো আল্লাহ ও তাঁর (সঃ)-এর উপর এবং কুরআনের উপর পূর্ণ ঈমান আনতো তবে কখনও কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতো না ও খাটি মুসলমানের সাথে শত্রুতা করতো না। প্রকৃত ব্যাপারে এই যে, তাদের অধিকাংশ লোকই ফাসেক'। অর্থাৎ তারা আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ)-এর আনুগত্য হতে সরে পড়েছে এবং তার অহী ও পাক কালামের আয়াতগুলোর বিরোধী হয়ে গেছে।