slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير سورة الذاريات

(Adh-Dhariyat) • المصدر: BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ وَالذَّارِيَاتِ ذَرْوًا

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

قُتِلَ الْخَرَّاصُونَ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

الَّذِينَ هُمْ فِي غَمْرَةٍ سَاهُونَ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

يَسْأَلُونَ أَيَّانَ يَوْمُ الدِّينِ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

يَوْمَ هُمْ عَلَى النَّارِ يُفْتَنُونَ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

ذُوقُوا فِتْنَتَكُمْ هَٰذَا الَّذِي كُنْتُمْ بِهِ تَسْتَعْجِلُونَ

📘 ১-১৪ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত তুফায়েল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে জনগণকে বলেনঃ “তোমরা আমাকে যে কোন আয়াত বা যে কোন হাদীস সম্বন্ধে ইচ্ছা প্রশ্ন করতে পার।” তখন ইবনুস সাকওয়া দাঁড়িয়ে বললোঃ “হে আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহ তা'আলার (আরবী) -এই উক্তির অর্থ কি?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “বাতাস।” “ (আরবী)-এর অর্থ কি?” সে জিজ্ঞেস করলো। “এর অর্থ মেঘ।” উত্তর দিলেন তিনি। “ (আরবী)-এর ভাবার্থ কি?” প্রশ্ন করলো সে। তিনি জবাবে বললেনঃ “এর ভাবার্থ হলো নৌযানসমূহ।” সে জিজ্ঞেস করলোঃ “ (আরবী)-এর অর্থ কি?” “এর অর্থ হলো ফেরেশতামণ্ডলী।” উত্তর দিলেন তিনি। হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়া (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, সাবীগ তামীমী হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট এসে বলেঃ “হে আমীরুল মুমিনীন! (আরবী) সম্পর্কে আমাকে সংবাদ দিন!" উত্তরে তিনি বললেনঃ “ওটা হলো বাতাস। আমি যা বললাম তা যদি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে আমি বলতে না। শুনতাম তবে তোমাকে এটা বলতাম না।” সে প্রশ্ন করলোঃ (আরবী)-এর অর্থ কি?” তিনি জবাব দিলেনঃ “ (আরবী) হলেন ফেরেশতামণ্ডলী। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এই অর্থ বলতে না শুনলে আমি তোমার কাছে এ অর্থ বলতাম না।” সে আবার প্রশ্ন করলোঃ “ (আরবী) কি?” তিনি উত্তর দিলেনঃ “ (আরবী) হলো নৌযানসমূহ। এ অর্থ যদি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মুখে আমি না শুনতাম তবে তোমার কাছে আমি এ অর্থ বলতাম না।” অতঃপর তিনি তাকে একশ চাবুক মারার নির্দেশ দিলেন। সুতরাং তাকে একশ’ চাবুক মারা হলো এবং একটি ঘরে রাখা হলো। যখন তার দেহের ক্ষত ভাল হয়ে গেল তখন তাকে ডাকিয়ে নিয়ে পুনরায় একশটি বেত্রাঘাত করা হলো এবং তাকে সওয়ার করিয়ে দিয়ে হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ)-এর নিকট হযরত উমার (রাঃ) পত্র লিখলেনঃ “এ ব্যক্তি যেন কোন মজলিসে না বসে।" কিছুদিন পর সে হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ)-এর নিকট এসে কঠিনভাবে শপথ করে বললোঃ “এখন আমার মনের কু-ধারণা দূর হয়ে গেছে। আমার অন্তরে বদ-আকীদা আর নেই যা পূর্বে ছিল।” তখন হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) হযরত উমার (রাঃ)-কে এ খবর অবহিত করলেন এবং সাথে সাথে একথাও লিখলেনঃ “আমারও ধারণা যে, সে এখন বাস্তবিকই সংশোধিত হয়ে গেছে।” উত্তরে হযরত উমার (রাঃ) হযরত আবূ মূসা (রাঃ)-কে লিখেনঃ “তাকে এখন মজলিসে বসার অনুমতি দেয়া হোক ।” (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযযার (রঃ) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি দুর্বল। সঠিক কথা এটাই জানা যাচ্ছে যে, হাদীসটি মাওকুফ অর্থাৎ হযরত উমর (রাঃ)-এর নিজের ফরমান। এটা মারফু হাদীস নয়)আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার (রাঃ) সাবীগ তামীমীকে যে বেত্রাঘাত করিয়েছিলেন তার কারণ এই যে, তার বদ-আকীদা তার কাছে প্রকাশ পেয়েছিল এবং তার প্রশ্ন ছিল প্রত্যাখ্যান ও বিরুদ্ধাচরণ মূলক। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। তার এ ঘটনাটি প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে যা হাফিয ইবনে আসাকির (রঃ) পুরোপুরিভাবে বর্ণনা করেছেন। হযরত মুজাহিদ (রঃ), হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রঃ), হযরত হাসান (রঃ), হযরত কাতাদা (রঃ), হযরত সুদ্দী (রঃ) প্রমুখ গুরুজন হতে এই তাফসীরই বর্ণিত আছে। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এবং ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) তো এ আয়াতগুলোর তাফসীরে অন্য কোন উক্তি আনয়নই করেননি।(আরবী) -এর ভাবার্থ যে মেঘ তা নিম্নের কবিতাংশের পরিভাষাতেও রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি নিজেকে তাঁরই বশীভূত করছি যার বশীভূত হয়েছে ঐ মেঘ যা পরিষ্কার সুমিষ্ট পানি উঠিয়ে নিয়ে থাকে।”(আরবী) -এর অর্থ কেউ কেউ ঐ নক্ষত্ররাজি নিয়েছেন যেগুলো আকাশে চলাফেরা করে। এই অর্থ নিলে নীচ হতে উপরের দিকে উঠে যাওয়া হবে। প্রথমে বাতাস, তারপর মেঘ, তারপর নক্ষত্ররাজি এবং এরপর ফেরেশতামণ্ডলী, যারা কখনো কখনো আল্লাহ তা'আলার হুকুম নিয়ে অবতরণ করেন এবং কখনো পাহারার কাজ করার জন্যে তাশরীফ আনয়ন করেন। যেহেতু এসব কসম এই ব্যাপারে যে, কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে এবং লোকদেরকে পুনর্জীবিত করা হবে সেই হেতু এগুলোর পরেই বলেনঃ “তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য এবং কর্মফল দিবস অবশ্যম্ভাবী।' অতঃপর মহান আল্লাহ আকাশের কসম খেয়েছেন যা সুন্দর, উজ্জ্বল ও সৌন্দর্যমণ্ডিত। পূর্বযুগীয় গুরুজনদের অনেকেই (আরবী) শব্দের এ অর্থই করেছেন। হযরত যহহাক (রঃ) প্রমুখ মনীষী বলেন যে, পানির তরঙ্গ, বালুকার কণা, ক্ষেতের ফসলের পাতা জোরে প্রবাহিত বাতাসে যখন আন্দোলিত হয় তখন এগুলোতে যেন রাস্তা হয়ে যায়। ওটাকেই (আরবী) বলা হয়েছে।রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাহাবীদের (রাঃ) এক ব্যক্তি হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের পিছনে মিথ্যাবাদী বিভ্রান্তকারী। তার মাথার চুল পিছনের দিকে ‘হুবুক’ ‘হুবুক’ অর্থাৎ কুঞ্চিত। আবূ সালেহ (রঃ) বলেন যে, (আরবী) দ্বারা কাঠিন্য বুঝানো হয়েছে। খাসীফ (রঃ) বলেন। (আরবী) -এর অর্থ হলো সুদৃশ্য। হাসান ইবনে হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, আকাশের সৌন্দর্য হলো নক্ষত্ররাজি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) দ্বারা সপ্তম আকাশকে বুঝানো হয়েছে। সম্ভবতঃ তার উদ্দেশ্য এই যে, প্রতিষ্ঠিত থাকে এমন তারকারাজি আকাশে রয়েছে। অধিকাংশ জ্যোতির্বিদের বর্ণনা এই যে, এটা অষ্টম আকাশে রয়েছে, যা সপ্তম আকাশের উপরে রয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।এই সমুদয় উক্তির সারাংশ একই অর্থাৎ এর দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত আকাশকে বুঝানো হয়েছে। আরো বুঝানো হয়েছে আকাশের উচ্চতা, ওর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ওর পবিত্রতা, ওর নির্মাণ চাতুর্য, ওর দৃঢ়তা, ওর প্রশস্ততা, তারকারাজি দ্বারা ওর জাক-জমকপূর্ণ হওয়া, যেগুলোর মধ্যে কতকগুলো চলতে ফিরতে থাকে এবং কতকগুলো স্থির থাকে, ওর সূর্য ও চন্দ্রের ন্যায় নক্ষত্ররাজি দ্বারা সুষমামণ্ডিত হওয়া। এসব হচ্ছে আকাশের সৌন্দর্যের উপকরণ।এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ “হে মুশরিকের দল! তোমরা তো পরস্পর বিরোধী কথায় লিপ্ত রয়েছে। কোন কিছুর উপর তোমরা একমত হতে পারনি। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, তাদের কেউ কেউ তো সত্য বলে বিশ্বাস করতো এবং কেউ কেউ মিথ্যা মনে করতো। অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “যে ব্যক্তি সত্যভ্রষ্ট সেই ওটা পরিত্যাগ করে।' অর্থাৎ এই অবস্থা ওদেরই হয় যারা নিজেরা পথভ্রষ্ট। তারা নিজেদের বাতিল, মিথ্যা ও বাজে উক্তির কারণে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। সঠিক বোধ ও সত্য জ্ঞান তাদের মধ্য হতে লোপ পেয়ে যায়। যেমন অন্য আয়াতে আছেঃ (আরবী)অর্থাৎ “তোমরা ও তোমাদের বাতিল মা'বৃদরা জাহান্নামী লোকদেরকে ছাড়া আর কাউকেও পথভ্রষ্ট করতে পারবে না।” (৩৭:১৬১-১৬৩) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হযরত সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা পথভ্রষ্ট শুধু সেই হয় যে নিজেই পথভ্রষ্ট হয়ে রয়েছে। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, এর থেকে ঐ ব্যক্তিই দূর হয় যাকে সর্বপ্রকারের কল্যাণ হতে দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছে। হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, কুরআন কারীম হতে ঐ ব্যক্তিই সরে পড়ে যে ব্যক্তি পূর্ব হতেই এটাকে অবিশ্বাস করার উপর উঠে পড়ে লেগেছিল।এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ ‘বাজে ও অযৌক্তিক উক্তিকারীরা ধ্বংস হোক।' অর্থাৎ তারাই ধ্বংস হোক যারা বাজে ও মিথ্যা উক্তি করতো, যাদের মধ্যে ঈমান ছিল না, যারা বলতোঃ আমাদের পুনরুত্থান ঘটবে না। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ সন্দেহ পোষণকারীরা অভিশপ্ত। হযরত মুআয (রাঃ) স্বীয় ভাষণে এ কথাই বলতেন। এরা প্রতারক ও সন্দিহান।এরপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ধ্বংস হোক তারা যারা অজ্ঞ ও উদাসীন। যারা বেপরোয়াভাবে কুফরী করতে রয়েছে। তারা প্রত্যাখ্যান করার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেঃ কর্মফল দিবস কবে হবে? আল্লাহ তা'আলা উত্তরে বলেনঃ এটা হবে সেই দিন, যেই দিন তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে অগ্নিতে। যেমনভাবে সোনাকে আগুনে উত্তপ্ত করা হয় তেমনিভাবে তারা আগুনে জ্বলতে থাকবে। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর, তোমরা এই শাস্তিই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে। একথা তাদেরকে ধমকের সুরে বলা হবে।

إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

آخِذِينَ مَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَٰلِكَ مُحْسِنِينَ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

كَانُوا قَلِيلًا مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

فَالْحَامِلَاتِ وِقْرًا

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

وَفِي الْأَرْضِ آيَاتٌ لِلْمُوقِنِينَ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

وَفِي أَنْفُسِكُمْ ۚ أَفَلَا تُبْصِرُونَ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

وَفِي السَّمَاءِ رِزْقُكُمْ وَمَا تُوعَدُونَ

📘 Please check ayah 51:23 for complete tafsir.

فَوَرَبِّ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنَّهُ لَحَقٌّ مِثْلَ مَا أَنَّكُمْ تَنْطِقُونَ

📘 ১৫-২৩ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা আল্লাহভীরু লোকদের পরিণামের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, কিয়ামতের দিন তারা প্রস্রবণ বিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের অবস্থা হবে ঐ অসৎ লোকেদের অবস্থার বিপরীত যারা শাস্তি-সাজার মধ্যে, শংখল-জিঞ্জীরের মধ্যে এবং কঠিন মারপিটের মধ্যে থাকবে। এই মুমিনদের নিকট আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য এসেছিল তা তারা যথাযথভাবে পালন করতো। আর এর পূর্বেও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতো। কিন্তু দুই কারণে এই তাফসীরের ব্যাপারে কিছু চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। প্রথম কারণ এই যে, এ তাফসীর হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) করেছেন এ কথা বলা হয়। কিন্তু সহীহ সনদে এটা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) পর্যন্ত পৌঁছে না। ওর এ সনদটি সম্পূর্ণরূপে দুর্বল। দ্বিতীয় কারণ এই যে, (আরবী) পূর্বের বাক্য হতে (আরবী) হয়েছে। সুতরাং ভাবার্থ হবেঃ আল্লাহভীরু লোকেরা জান্নাতে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতরাশি লাভ করবে। ইতিপূর্বে অর্থাৎ দুনিয়ায় তারা ভাল কাজ করতো। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “ (তাদেরকে বলা হবেঃ) তোমরা পানাহার কর তৃপ্তির সাথে, তোমরা অতীত দিনে যা করেছিলে তার বিনিময়ে।” (৬৯:২৪)।অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদের আন্তরিকতাপূর্ণ কাজের বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছেন যে, তারা রাত্রির সামান্য অংশই অতিবাহিত করতে নিদ্রায়। কোন কোন মুফাসসির বলেন যে, এখানে শব্দটি বা নেতিবাচক। তখন হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ গুরুজনের উক্তি হিসেবে অর্থ হবেঃ তাদের উপর এমন কোন রাত্রি অতিবাহিত হতো না যার কিছু অংশ তারা আল্লাহর স্মরণে না কাটাতেন। হয় রাত্রির প্রথমাংশে কিছু নফল পড়তেন, না হয় রাত্রির মধ্যভাগে পড়তেন। অর্থাৎ প্রত্যেক রাত্রের কোন না কোন সময় কিছু না কিছু নামায অবশ্যই পড়তেন। সারা রাত তারা শুয়ে কাটিয়ে দিতেন না।হযরত আবুল আলিয়া (রঃ) প্রমুখ মনীষী বলেন যে, এ লোকগুলো মাগরিব ও ইশার নামাযের মাঝে কিছু নফল নামায পড়তেন। হযরত ইমাম আবু জাফর বাকির (রঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ তারা ইশার নামাযের পূর্বে ঘুমাতেন না।কোন কোন তাফসীরকার বলেন যে, এখানে (আরবী) শব্দটি (আরবী) হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের দ্রিা রাত্রে খুব কম হতো। কিছু সময় ঘুমাতেন এবং কিছু সময় জেগে থাকতেন। আর যখন ইবাদতে মনোযোগ দিতেন তখন সকাল হয়ে যেতো।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ রাত্রির শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতো। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রঃ) এই আয়াতের এই ভাবার্থ বর্ণনা করার পর বলতেনঃ “বড়ই দুঃখজনক ব্যাপার যে, আমার মধ্যে এটা নেই।” তার ছাত্র খাজা হাসান বসরী (রঃ)-এর উক্তি রয়েছে যে, তিনি প্রায়ই বলতেনঃ “আমি যখন আমার আমল জান্নাতীদের আমলের সামনে রাখি তখন আমার আমলকে তাদের আমলের তুলনায় অতি নগণ্য দেখি। পক্ষান্তরে, যখন আমি আমার আমল জাহান্নামীদের আমলের সামনে রাখি তখন দেখি যে, তারা তো কল্যাণ হতে সম্পূর্ণরূপে দূরে ছিল। তারা ছিল আল্লাহর কিতাবকে অস্বীকারকারী এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবনকে অবিশ্বাসকারী। সুতরাং আমার অবস্থা ঐ লোকেদের মত যাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তারা ভাল ও মন্দ আমল মিশ্রিত করেছে।” (৯:১০২)বানু তামীম গোত্রের একটি লোক হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম (রঃ)-কে বললোঃ “হে আবু সালমা (রঃ)! এই গুণ তো আমাদের মধ্যে নেই যে, আমরা রাত্রে খুব কম ঘুমাই? আমরা তো খুব কম সময় আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়ে থাকি।” তখন তিনি বললেনঃ “ঐ ব্যক্তিও বড় ভাগ্যবান যে ঘুম আসলে শুয়ে পড়ে এবং যখন জেগে ওঠে তখন আল্লাহকে ভয় করতে থাকে।”হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) বলেন, প্রথম যখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) মদীনায় আগমন করেন তখন জনগণ তাঁকে দেখার জন্যে ভীড় জমায়। তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। আল্লাহর কসম। তার চেহারা মুবারকে আমার দৃষ্টি পড়া মাত্রই আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে, এই জ্যোতির্ময় চেহারা কোন মিথ্যাবাদী লোকের হতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সর্বপ্রথম যে কথা আমার কানে পৌঁছেছিল তা ছিলঃ “হে জনমণ্ডলী! তোমরা (দরিদ্রদেরকে) খাদ্য খাওয়াতে থাকো, আত্মীয়তার সম্পর্ক যুক্ত রাখো, (মানুষকে) সালাম দিতে থাকো এবং রাত্রে নামায আদায় করো যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে। তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “জান্নাতে এমন কক্ষ রয়েছে যার ভিতরের অংশ বাহির হতে এবং বাহিরের অংশ ভিতর হতে দেখা যায়।” একথা শুনে হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! এটা কাদের জন্যে?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “তাদের জন্যে, যারা নরম কথা বলে, (দরিদ্রদেরকে) খানা খেতে দেয় এবং রাত্রে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন তারা আল্লাহর ইবাদতে দাঁড়িয়ে থাকে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত যুহরী (রঃ) এবং হাসান (রঃ) বলেনঃ “এই আয়াতের ভাবার্থ এই যে, তারা রাত্রির অধিকাংশ তাহাজ্জুদে কাটিয়ে দেয়।” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং হযরত ইবরাহীম নাখঈ (রঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ “তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে।” হযরত যহহাক (রঃ) (আরবী) কে এর পূর্ববর্তী বাক্যের সাথে মিলিয়ে দেন এবং (আরবী) হতে শুরু বলে থাকেন। কিন্তু এই উক্তিতে বড় কৃত্রিমতা রয়েছে। এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ রাত্রির শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতো।' মুজাহিদ (রঃ) প্রমুখ গুরুজন বলেন যে, এর ভাবার্থ হলোঃ ‘তারা নামায পড়ে। অন্যান্য তাফসীরকারগণ বলেন, এর অর্থ হচ্ছেঃ ‘তারা রাত্রে (ইবাদতে) দাঁড়িয়ে থাকে এবং সকাল হলে তারা নিজেদের পাপের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “সকালে তারা ক্ষমা প্রার্থনাকারী।” (৩:১৭) এই ক্ষমা প্রার্থনা যদি নামাযেই হয় তবে তো খুবই ভাল। সহীহ হাদীস গ্রন্থসমূহে সাহাবীদের একটি জামাআতের কয়েকটি রিওয়াইয়াত দ্বারা এটা প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যখন শেষ তৃতীয়াংশ রাত্রি অবশিষ্ট থাকে তখন প্রতি রাত্রে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেনঃ “কোন তাওবাকারী আছে কি? আমি তার তাওবা কবুল করবে। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে। ক্ষমা করে দিবো। কোন যাজ্ঞাকারী আছে কি? আমি তাকে প্রদান করবে।” ফজর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা এরূপই বলতে থাকেন।”আল্লাহ তাআলা যে হযরত ইয়াকূব (আঃ) সম্পর্কে খবর দিতে গিয়ে বলেছেন যে, তিনি তাঁর পুত্রদেরকে বলেছিলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।” এ ব্যাপারে অধিকাংশ তাফসীরকার বলেন যে, তাঁর এই ক্ষমা প্রার্থনা রাত্রির শেষ প্রহরেই ছিল।এরপর আল্লাহ তাআলা মুত্তাকীদের আর একটি গুণের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তাঁরা যেমন নামায পড়ে আল্লাহর হক আদায় করেন, অনুরূপভাবে মানুষের হকের কথাও তারা ভুলে যান না। তাঁরা যাকাত আদায় করে থাকেন। তারা জনগণের সঙ্গে সদাচরণ করেন, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক যুক্ত রাখেন। তাদের ধন-সম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে। যেমন হযরত হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “ভিক্ষুকের হক রয়েছে যদিও সে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করতে আসে। (এ হাদীস ইমাম আহমাদ (রঃ) ও ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হযরত মুজাহিদ (রঃ)-এর মতে মাহরূম বা বঞ্চিত হলো ঐ ব্যক্তি যার ইসলামে কোন অংশ নেই অর্থাৎ বায়তুল মালে কোন অংশ নেই, কোন কাজ-কামও হাতে নেই এবং কোন শিল্প ও কলা-কৌশলও তার জানা নেই যার দ্বারা সে জীবিকা উপার্জন করতে পারে। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বলেন যে, মাহরাম দ্বারা ঐ লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা কাজ-কাম কিছু জানে বটে, কিন্তু তা দ্বারা যা সে উপার্জন করে তা তাদের জীবন ধারণের জন্যে যথেষ্ট হয় না। যহহাক (রঃ) বলেন যে, মাহরূম হলো ঐ ব্যক্তি যে পূর্বে ধনী ছিল; কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার মাল-ধন ধ্বংস হয়ে গেছে। যেমন ইয়ামামায় যখন জলোচ্ছাস হলো এবং এক ব্যক্তির সমস্ত মাল-ধন ও আসবাব পত্র পানিতে ভেসে গেল তখন একজন সাহাবী (রাঃ) বললেনঃ “এ লোকটি মাহরূম বা বঞ্চিত। অন্যান্য বুযুর্গ মুফাসসিরগণ বলেন যে, মাহরূম হলো ঐ ব্যক্তি যে অভাবগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে না। একটি হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “ঐ ব্যক্তি মিসকীন নয় যে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় এবং যাকে তুমি দু' এক গ্রাস খাবার বা দু' একটি খেজুর প্রদান করে থাকো, বরং মিসকীন ঐ ব্যক্তি যে এই পরিমাণ উপার্জন করে যা তার জন্যে যথেষ্ট নয় বা যা তার প্রয়োজন মিটায় না এবং তার এমন অবস্থা প্রকাশ পায় না যে, মানুষ তার অভাবের কথা জানতে পেরে তাকে কিছু দান করে।” (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)বর্ণিত আছে যে, হযরত উমার ইবনে আবদিল আযীয (রঃ) মক্কা যাচ্ছিলেন। পথে একটি কুকুর এসে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তিনি যবেহকৃত একটি বকরীর কাঁধ কেটে কুকুরটির সামনে নিক্ষেপ করেন এবং বলেনঃ “লোকেরা বলে যে, এটাও মাহরূম বা বঞ্চিত।” হযরত শাবী (রঃ) বলেনঃ “আমি ‘মাহরূম এর অর্থ জানতে অপারগ হয়ে গেছি।”ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বলেনঃ “মাহরূম হলো ঐ ব্যক্তি যার মাল নেই, তা যে কারণেই হোক না কেন। অর্থাৎ সে হয়তো মাল উপার্জন করতেই সক্ষম নয়, কিংবা হয়তো তার মাল ধ্বংস হয়ে গেছে কোন দুর্যোগের কারণে।”হযরত হাসান ইবনে মুহাম্মাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) কাফিরদেরকে দমন করার উদ্দেশ্যে একটি ক্ষুদ্র সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দান করেন এবং তাঁরা গানীমাতও লাভ করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট এমন কতগুলো লোক আগমন করে যারা গানীমতের মাল বন্টনের সময় উপস্থিত ছিল না। তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। এই ঘটনা দ্বারা তো বুঝা যায় যে, এই আয়াতটি মাদানী। কিন্তু আসলে তা নয়, বরং এটি মক্কী আয়াত। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্যে ধরিত্রীতে নিদর্শন রয়েছে। অর্থাৎ ভূ-পৃষ্ঠে আল্লাহ তা'আলার ব্যাপক ক্ষমতার বহু নিদর্শন রয়েছে। এগুলো মহান সৃষ্টিকর্তার মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্ব ও বিরাটত্ব প্রমাণ করে। গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যাবে যে, কিভাবে তিনি দুনিয়ায় জীব-জন্তু ও গাছ-পালা ছড়িয়ে দিয়েছেন। কিভাবে তিনি পর্বতরাজিকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন, মাঠ-ময়দানকে করেছেন বিস্তৃত এবং সমুদ্র ও নদ-নদীকে করে রেখেছেন প্রবাহিত। মানুষের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, তিনি তাদের বর্ণ, আকৃতি, ভাষা, কামনা-বাসনা, বিবেক-বুদ্ধি, শক্তি-সামর্থ্য বিভিন্ন প্রকারের করেছেন। তাদের অঙ্গ-ভঙ্গী তাদের পাপ পুণ্য এবং দৈহিক গঠনের কথা চিন্তা করলেও বিস্মিত হতে হয়। প্রত্যেক অঙ্গ কেমন উপযুক্ত জায়গায় রয়েছে। এ জন্যেই এরপরেই বলেছেনঃ “তোমাদের নিজেদের মধ্যেও (নিদর্শন রয়েছে)। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করবে না? হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, যে ব্যক্তি নিজের সৃষ্টির কথা চিন্তা করবে, নিজের গ্রন্থীগুলোর বিন্যাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে সে অবশ্যই বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে, তাকে আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্যেই ।মহান আল্লাহ এরপর বলেনঃ “আকাশে রয়েছে তোমাদের জীবিকার উৎস অর্থাৎ বৃষ্টি এবং প্রতিশ্রুত সবকিছু অর্থাৎ জান্নাত।' হযরত ওয়াসিল আহদাব (রঃ) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করে বলেনঃ “আমার রিযক তো রয়েছে আসমানে, অথচ আমি তা অনুসন্ধান করছি যমীনে, এটা বড়ই দুঃখজনক ব্যাপারই বটে।” একথা বলে তিনি লোকালয় ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলে চলে যান। তিনি তিন দিন পর্যন্ত তো কিছুই পেলেন না। কিন্তু তৃতীয় দিনে দেখেন যে, টাটকা খেজুরের একটি গুচ্ছ তার পার্শ্বে আছে। তাঁর ভাই, যিনি তাঁর চেয়েও বেশী বিশুদ্ধ ও খাটি অন্তকরণ বিশিষ্ট লোক ছিলেন, তার সাথেই বেরিয়ে এসেছিলেন এবং তারা দুই ভাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত জঙ্গলেই জীবন কাটিয়ে দেন। অতঃপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বয়ং নিজেরই শপথ করে বলেনঃ আমি তোমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছি অর্থাৎ কিয়ামত, পুনরুত্থান, শাস্তি ও পুরস্কার ইত্যাদি সবই সত্য। যেমন তোমাদের মুখ হতে বের হওয়া কথায় তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে না, অনুরূপভাবে এসব বিষয়েও তোমাদের সন্দেহ করা মোটেই উচিত নয়। হযরত মুআয (রাঃ) যখন কোন কথা বলতেন তখন তিনি তাঁর সঙ্গীদেরকে বলতেনঃ “নিশ্চয়ই এটা সত্য যেমন তুমি এখানে রয়েছে।”হযরত হাসান বসরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা ঐ কওমগুলোকে ধ্বংস করুন যাদের জন্যে তাদের প্রতিপালক (আল্লাহ) শপথ করেছেন, অতঃপর তারা তা বিশ্বাস করেনি।” (এ হাদীসটি মুরসাল। কেননা, হযরত হাসান বসরী (রঃ) একজন তাবেয়ী। তিনি কোন সাহাবীর (রাঃ) নাম না নিয়ে সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সঃ) হতে বর্ণনা করেছেন)

هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ الْمُكْرَمِينَ

📘 Please check ayah 51:30 for complete tafsir.

إِذْ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا ۖ قَالَ سَلَامٌ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ

📘 Please check ayah 51:30 for complete tafsir.

فَرَاغَ إِلَىٰ أَهْلِهِ فَجَاءَ بِعِجْلٍ سَمِينٍ

📘 Please check ayah 51:30 for complete tafsir.

فَقَرَّبَهُ إِلَيْهِمْ قَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ

📘 Please check ayah 51:30 for complete tafsir.

فَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً ۖ قَالُوا لَا تَخَفْ ۖ وَبَشَّرُوهُ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ

📘 Please check ayah 51:30 for complete tafsir.

فَأَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ فِي صَرَّةٍ فَصَكَّتْ وَجْهَهَا وَقَالَتْ عَجُوزٌ عَقِيمٌ

📘 Please check ayah 51:30 for complete tafsir.

فَالْجَارِيَاتِ يُسْرًا

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

قَالُوا كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِ ۖ إِنَّهُ هُوَ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ

📘 ২৪-৩০ নং আয়াতের তাফসীর: এ ঘটনাটি সূরায়ে হূদ ও সূরায়ে হিজরে গত হয়েছে। মেহমান বা অতিথিরা ফেরেশতা ছিলেন, যারা মানুষের আকারে আগমন করেছিলেন। তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা সম্মান দান করেছিলেন। হযরত ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) এবং অন্যান্য আলেমদের একটি জামা'আত বলেন যে, অতিথিদেরকে আতিথ্য দান করা ওয়াজিব। হাদীসেও এটা এসেছে এবং কুরআন কারীমের বাহ্যিক শব্দও এটাই।মানবরূপী ফেরেশতাগণ হযরত ইবরাহীম (আঃ)-কে সালাম করেন এবং তিনি সালামের জবাব দেন। দ্বিতীয় (আরবী) শব্দের উপর দুই পেশ হওয়াটাই এর প্রমাণ। আল্লাহ তা'আলা এজন্যেই বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা ওর চেয়ে উত্তম (শব্দ) দ্বারা জবাব দিবে অথবা ওটাই ফিরিয়ে দিবে।" (৪:৮৬)হযরত খলীল (আঃ) উত্তম পন্থাটিই গ্রহণ করেন। তারা যে আসলে ফেরেশতা ছিলেন তা হযরত ইবরাহীম (আঃ) জানতেন না বলে তিনি বলেনঃ “এরা তো অপরিচিত লোক।” ফেরেশতারা ছিলেন হযরত জিবরাঈল (আঃ), হযরত মীকাঈল (আঃ) এবং হযরত ইসরাফীল (আঃ)। তাঁরা সুশ্রী যুবকের রূপ ধারণ করে এসেছিলেন। তাদের চেহারায় মর্যাদা ও ভীতির লক্ষণ প্রকাশমান ছিল। হযরত ইবরাহীম (আঃ) তাদের খাদ্য তৈরীর কাজে মগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি নিঃশব্দে অতি তাড়াতাড়ি স্বীয় স্ত্রীর নিকট গমন করেন। অল্পক্ষণের মধ্যেই গো-বৎসের ভাজা গোশত নিয়ে তাদের সামনে হাযির হয়ে যান। তিনি ঐ গোশত তাঁদের নিকটে রেখে দেন এবং বলেনঃ “আপনারা খাচ্ছেন না কেন?” এর দ্বারা জিয়াফতের আদব জানা যাচ্ছে যে, হযরত ইবরাহীম (আঃ) মেহমানকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই এবং তাদের জন্যে তিনি যে খাবার আনছেন এ অনুগ্রহের কথা তাদেরকে বলেই নিঃশব্দে তাঁদের নিকট হতে চলে গেলেন এবং তাড়াতাড়ি উৎকৃষ্ট হতে উৎকৃষ্টতম যে জিনিস তিনি পেলেন তা প্রস্তুত করে নিয়ে আসলেন। তা ছিল অল্প বয়স্ক একটি তাজা গো-বৎসের ভাজা গোশত। এ খাদ্য তাদের সামনে রেখে দিয়ে তিনি তাদেরকে খেয়ে নেন' একথা বললেন না। কেননা, এতে এক ধরনের হুকুম পাওয়া যাচ্ছে। বরং তিনি তার সম্মানিত মেহমানদেরকে অত্যন্ত বিনয় ও ভালবাসার সুরে বলেনঃ “আপনারা খেতে শুরু করছেন না কেন?” যেমন কোন ব্যক্তি কাউকেও বলে থাকেঃ “যদি আপনি দয়া, অনুগ্রহ ও সদাচরণ করতে চান তবে করতে পারেন।"এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ “এতে তাদের সম্পর্কে তার মনে ভীতির সঞ্চার হলো।' যেমন অন্য আয়াতে আছেঃ (আরবী) অর্থৎ “সে যখন দেখলো যে, তাদের হস্তগুলো ওর দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন সে তাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করলো এবং তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতির সঞ্চার হলো। তারা বললোঃ ভয় করো না, আমরা লুত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। তখন তার স্ত্রী দাঁড়িয়েছিল এবং সে হাসলো।" (১১:৭০-৭১) মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ “অতঃপর আমি তাকে ইসহাক (আঃ)-এর ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকূব (আঃ)-এর সুসংবাদ দিলাম। সে বললোঃ কি আশ্চর্য! সন্তানের জননী হবো আমি যখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ! এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার। তারা বললোঃ আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময়বোধ করছো? হে পরিবারবর্গ! তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ। তিনি প্রশংসার্হ ও সম্মানার্হ।”মহান আল্লাহ এখানে বলেনঃ “তারা তাকে এক জ্ঞানী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিলো। এ আয়াতে আছে যে, ফেরেশতারা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-কে পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিয়েছিলেন, আর পূর্ববর্তী আয়াতে রয়েছে, এ সংবাদ তাঁরা তার স্ত্রীকে দিয়েছিলেন। সুতরাং ভাবার্থ এই যে, স্বামী-স্ত্রী দু'জনকেই এ সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল। কেননা, সন্তানের জন্মগ্রহণ উভয়ের জন্যেই খুশীর বিষয়।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এ সুসংবাদ শুনে হযরত ইবরাহীম। (আঃ)-এর স্ত্রীর মুখ দিয়ে জোর শব্দ বেরিয়ে আসলো এবং কপালে হাত মেরে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বললেনঃ “যৌবনে আমি বন্ধ্যা ছিলাম। এখন আমিও বৃদ্ধা এবং আমার স্বামীও বৃদ্ধ, এমতাবস্থায় আমি গর্ভবতী হববা?” তার এই কথা শুনে ফেরেশতারা বললেনঃ “এই সুসংবাদ আমরা আমাদের নিজেদের পক্ষ হতে দিচ্ছি না। বরং মহামহিমান্বিত আল্লাহই আমাদেরকে এ সুসংবাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তো প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। আপনারা যে মহা সম্মান পাওয়ার যোগ্য এটা তিনি ভালরূপেই জানেন। তাঁর ঘোষণা এই যে, এ বৃদ্ধ বয়সেই তিনি আপনাদেরকে সন্তান দান করবেন। তাঁর কোন কাজই প্রজ্ঞাশূন্য নয় এবং তার কোন হুকুমও হিকমত শূন্য হতে পারে না।”

۞ قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ

📘 Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَىٰ قَوْمٍ مُجْرِمِينَ

📘 Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ طِينٍ

📘 Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ

📘 Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

فَأَخْرَجْنَا مَنْ كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ

📘 Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

📘 Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ

📘 ৩১-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর: ইতিপূর্বে গত হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম (আঃ) সম্পর্কে সংবাদ দিতে গিয়ে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “অতঃপর যখন ইবরাহীম (আঃ)-এর ভীতি দূরীভূত হলো এবং তার নিকট সুসংবাদ আসলো তখন সে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে আমার সাথে বাদানুবাদ করতে লাগলো। ইবরাহীম (আঃ) তো অবশ্যই সহনশীল, কোমল হৃদয়, সতত আল্লাহ অভিমুখী। হে ইবরাহীম (আঃ)! এটা হতে তুমি বিরত হও। তোমার প্রতিপালকের বিধান এসে পড়েছে; তাদের উপর তো শাস্তি আসবে যা অনিবার্য।" (১১:৭৪-৭৬) আর এখানে আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর উক্তি উদ্ধৃত করেন যে, তিনি ফেরেশতাদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ “হে প্রেরিত দূতগণ! আপনাদের বিশেষ কাজ কি?' অর্থাৎ আপনাদের শুভাগমনের উদ্দেশ্য কি? ফেরেশতাগণ জবাবে বলেনঃ আমাদেরকে এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে। এই সম্প্রদায় দ্বারা তারা হযরত লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন। তারা আরো বলেনঃ “আমরা আদিষ্ট হয়েছি যে, আমরা যেন তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি; যা সীমালংঘনকারীদের জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে চিহ্নিত।' অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে ঐ পাপীদের নাম ঢেলাগুলোর উপর পূর্ব হতেই লিখিত আছে। প্রত্যেকের জন্যে পৃথক পৃথক ঢেলা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সূরায়ে আনকাবুতে রয়েছেঃ (আরবী)অর্থাৎ “সে (ইবরাহীম আঃ) বললোঃ এই জনপদে তো লূত (আঃ) রয়েছে। তারা বললোঃ সেথায় কারা আছে তা আমরা ভাল জানি, আমরা তো দূত (আঃ)-কে ও তার পরিজনবর্গকে রক্ষা করবেই, তার স্ত্রী ব্যতীত; সে তো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।" (২৯:৩২) অনুরূপভাবে এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ‘সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম। এর দ্বারাও হযরত লূত (আঃ) এবং তাঁর পরিবার পরিজনকে বুঝানো হয়েছে। তার স্ত্রী ব্যতীত, যে ঈমান আনয়ন করেনি। মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সেখানে একটি পরিবার ব্যতীত কোন অত্মিসমর্পণকারী আমি পাইনি।' এ আয়াত দু’টি ঐ লোকদের দলীল যারা বলেন যে, ঈমানের নামই ইসলাম। কেননা, এখানে যাদেরকে মুমিন বলা হয়েছে তাদেরকেই মুসলিম বলা হয়েছে। মুতাজিলাদের মাযহাবও এটাই যে, ঈমান ও ইসলাম একই জিনিস। কিন্ত তাদের এ দলীল খুবই দুর্বল। কেননা, এ লোকগুলো মুমিন ছিলেন। আর আমরাও তো এটা স্বীকার করি যে, প্রত্যেক মুমিনই মুসলিম হয়। কিন্তু প্রত্যেক মুসলিম মুমিন হয় না। সুতরাং অবস্থার বিশেষত্বের কারণে তাঁদেরকে মুমিন ও মুসলিম বলা হয়েছে। এর দ্বারা সাধারণভাবে এটা প্রমাণিত হয় না যে, প্রত্যেক মুসলিম মুমিন হয়ে থাকে। হযরত ইমাম বুখারী (রঃ) এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসদের মাযহাব এই যে, যখন ইসলাম প্রকত ও সঠিক হয় তখন ঈমান ও ইসলাম একই হয়। তবে ইসলাম প্রকৃত ও বাস্তবরূপী না হলে ঈমান ও ইসলামের পার্থক্য অবশ্যই হবে।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এই কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার মধ্যে ঐ লোকদের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন, শিক্ষা ও উপদেশ রয়েছে যারা আল্লাহর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে। তারা ঐ সব লোকের কৃতকর্মের পরিণাম দেখে যথেষ্ট শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

وَفِي مُوسَىٰ إِذْ أَرْسَلْنَاهُ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ بِسُلْطَانٍ مُبِينٍ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

فَتَوَلَّىٰ بِرُكْنِهِ وَقَالَ سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

فَالْمُقَسِّمَاتِ أَمْرًا

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ وَهُوَ مُلِيمٌ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

وَفِي عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

وَفِي ثَمُودَ إِذْ قِيلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوا حَتَّىٰ حِينٍ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

فَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّاعِقَةُ وَهُمْ يَنْظُرُونَ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

فَمَا اسْتَطَاعُوا مِنْ قِيَامٍ وَمَا كَانُوا مُنْتَصِرِينَ

📘 Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

وَقَوْمَ نُوحٍ مِنْ قَبْلُ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ

📘 ৩৮-৪৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হযরত লুত (আঃ)-এর কওমের পরিণাম দেখে মানুষ যেমন উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, অনুরূপভাবে ফিরাউন ও তার লোকদের ঘটনার মধ্যেও তাদের জন্য শিক্ষা ও উপদেশ রয়েছে। আমি তাদের কাছে আমার পয়গাম্বর হযরত মূসা (আঃ)-কে পাঠিয়েছিলাম। তাকে আমি উজ্জ্বল ও সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণসহ প্রেরণ করেছিলাম। কিন্তু তাদের নেতা অহংকারী ফিরাউন সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে ও ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে এবং আমার ফরমান হতে বেপরোয়া হয়ে যায়। আল্লাহর এই শক্র স্বীয় শক্তির দাপট দেখিয়ে এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতার গর্বে গর্বিত হয়ে তার ফরমানের অসম্মান করে। সে তার অনুসারীদেরকে সাথে নিয়ে হযরত মূসা (আঃ)-এর ক্ষতি সাধনে ও বিরধিতায় উঠে পড়ে লেগে যায়। হযরত মূসা (আঃ) সম্পর্কে সে মন্তব্য করে যে, তিনি যাদুকর অথবা পাগল। সুতরাং এই অহংকারী, পাপী, কাফির এবং উদ্ধত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা তার লোক লশকরসহ সমুদ্রে ডুবিয়ে দেন। সে তো ছিল তিরস্কারযোগ্য।মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ নিদর্শন রয়েছে আ’দের ঘটনায়, যখন আমি প্রেরণ করেছিলাম তাদের বিরুদ্ধে অকল্যাণকর বায়ু। এটা যা কিছুর উপর দিয়ে। বয়ে গিয়েছিল তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছিল। ওটা সড়াপচা হাড়ের মত হয়ে গিয়েছিল।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “বায়ু দ্বিতীয় যমীনে প্রবাহিত হয়। আল্লাহ তা'আলা যখন আ’দ জাতিকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করেন তখন বায়র রক্ষক (ফেরেশতা)কে নির্দেশ দেন। যে, তিনি যেন তাদেরকে (আ’দ জাতিকে ধ্বংস করার জন্যে বায়ু প্রবাহিত করেন। ফেরেশতা তখন আরয করেনঃ “আমি বাতাসের ভাণ্ডারে কি ততটুকু ছিদ্র করে দিবো যতটুকু ছিদ্র গরুর নাকে রয়েছে?” উত্তরে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “বায়ুর ভাণ্ডারে যদি তুমি ততটুকু ছিদ্র কর তবে তো ওটা যমীনকে এবং ওর মধ্যস্থিত সবকিছুকেই ওলট-পালট করে দিবে। বরং তুমি ওতে অঙ্গুরীর। বৃত্তের সমান ছিদ্র কর।” এটা ছিল ঐ বায়ু যার কথা আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ “এটা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। এই ফরমান রাসূলুল্লাহ (সঃ) হতে হওয়া অস্বীকৃত। এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, এটা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)-এর উক্তি। ইয়ারমুকের যুদ্ধে তিনি আহলে কিতাবের কিতাবগুলোর দুটি থলে পেয়েছিলেন। সম্ভবতঃ ওগুলো হতেই তিনি এটা বর্ণনা করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই। সবচেয়ে ভাল জানেন) এটা ছিল দক্ষিণা বায়ু। সহীহ হাদীসে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমাকে পূবালী বায়ু দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, আর আ’দ সম্প্রদায়কে পশ্চিমা বায়ু দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।”প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ‘আরো নিদর্শন রয়েছে সামূদের বৃত্তান্তে, যখন তাদেরকে বলা হয়েছিলঃ ভোগ করে নাও স্বল্পকাল। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ ‘তোমাদের নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত তোমরা সুখসম্ভার ভোগ করে নাও।' এটা প্রকাশমান যে, এটা আল্লাহ তাআলার নিম্নের উক্তির মতঃ (আরবী)অর্থাৎ “সামূদ সম্প্রদায়কে আমি হিদায়াত দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা হিদায়াতের উপর অন্ধত্বকে পছন্দ করেছিল, সুতরাং লাঞ্ছনাকর শাস্তিরূপ বজাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করলো।” (৪১:১৭) অনুরূপভাবে এখানে আল্লাহ পাক বলেনঃ ‘আরো নিদর্শন রয়েছে সামূদের বৃত্তান্তে, যখন তাদেরকে বলা হয়েছিলঃ ভোগ করে নাও স্বল্পকাল। কিন্তু তারা তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করলো, ফলে তাদের প্রতি বজ্রাঘাত হলো এবং তারা তা দেখছিল। তিন দিন পর্যন্ত তারা শাস্তির লক্ষণ দেখতে থাকে। অবশেষে চতুর্থ দিন অকস্মাৎ তাদের উপর শাস্তি আপতিত হয়ে যায়। তারা অচেতন ও বোধশূন্য হয়ে পড়ে। এতোটুকু তাদেরকে অবকাশ দেয়া হয়নি যে, দাঁড়িয়ে পালাবার চেষ্টা করতে পারে অথবা অন্য কোন উপায়ে জীবন রক্ষার চিন্তা করতে পারে। তাই তো প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেনঃ তারা উঠে দাঁড়াতে পারলো না এবং তা প্রতিরোধ করতে পারলো না।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমি ধ্বংস করেছিলাম এদের পূর্বে নূহ। (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে, তারা ছিল সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।ফিরাউন, আ’দ, সামূদ এবং হযরত নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের বিস্তারিত ঘটনাবলী ইতিপূর্বে কয়েকটি সূরার তাফসীরে বর্ণিত হয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।

وَالسَّمَاءَ بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ

📘 Please check ayah 51:51 for complete tafsir.

وَالْأَرْضَ فَرَشْنَاهَا فَنِعْمَ الْمَاهِدُونَ

📘 Please check ayah 51:51 for complete tafsir.

وَمِنْ كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

📘 Please check ayah 51:51 for complete tafsir.

إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَصَادِقٌ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

فَفِرُّوا إِلَى اللَّهِ ۖ إِنِّي لَكُمْ مِنْهُ نَذِيرٌ مُبِينٌ

📘 Please check ayah 51:51 for complete tafsir.

وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ ۖ إِنِّي لَكُمْ مِنْهُ نَذِيرٌ مُبِينٌ

📘 ৪৭-৫১ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, তিনি আকাশকে স্বীয় ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন এবং ওটাকে তিনি সুরক্ষিত, সুউচ্চ ও সম্প্রসারিত করেছেন। অবশ্যই তিনি মহাসম্প্রসারণকারী। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ), হযরত কাতাদা (রঃ), হযরত সাওরী (রঃ) এবং আরো বহু তাফসীরকার একথাই বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ আমি আকাশকে স্বীয় শক্তি বলে সৃষ্টি করেছি। আমি মহাসম্প্রসারণকারী। আমি ওর প্রান্তকে প্রশস্ত করেছি, বিনা স্তম্ভে ওকে দাঁড় করে রেখেছি এবং প্রতিষ্ঠিত করেছি। মহান আল্লাহ বলেনঃ যমীনকে আমি আমার সৃষ্টজীবের জন্যে বিছানা বানিয়েছি। আর একে বানিয়েছি অতি উত্তম বিছানা। সমস্ত মাখলককে জোড়া জোড়া করে সষ্টি করেছি। যেমন আসমান ও যমীন, দিবস ও রজনী, সূর্য ও চন্দ্র, জল ও স্থল, আলো ও অন্ধকার, ঈমান ও কুফর, জীবন ও মৃত্যু, পাপ ও পুণ্য, জান্নাত ও জাহান্নাম, এমন কি জীব-জন্তু এবং উদ্ভিদের মধ্যেও জোড়া রয়েছে। এটা এ জন্যে যে, যেন তোমরা উপদেশ লাভ কর। তোমরা যেন জেনে নাও যে, এসবের সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ। তিনি শরীক বিহীন ও একক। সুতরাং তোমরা তার দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং তারই প্রতি মনোযোগী হও। আমার নবী (সঃ) তো তোমাদেরকে স্পষ্ট সতর্ককারী। সাবধান! তোমরা আল্লাহর সাথে কোন মাবুদ স্থির করো না। আমার রাসূল (সঃ) তো তোমাদেরকে আমার সম্পর্কে স্পষ্ট ভয় প্রদর্শনকারী।

كَذَٰلِكَ مَا أَتَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا قَالُوا سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

أَتَوَاصَوْا بِهِ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَا أَنْتَ بِمَلُومٍ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

مَا أُرِيدُ مِنْهُمْ مِنْ رِزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَنْ يُطْعِمُونِ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

فَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا ذَنُوبًا مِثْلَ ذَنُوبِ أَصْحَابِهِمْ فَلَا يَسْتَعْجِلُونِ

📘 Please check ayah 51:60 for complete tafsir.

وَإِنَّ الدِّينَ لَوَاقِعٌ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ يَوْمِهِمُ الَّذِي يُوعَدُونَ

📘 ৫২-৬০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেনঃ হে নবী (সঃ)! এই কাফিররা যা বলছে তা কোন নতুন কথা নয়। এদের পূর্ববর্তী কাফিররাও নিজ নিজ যুগের রাসূলদেরকে একথাই বলেছিল। কাফিরদের এই উক্তিই ক্রমান্বয়ে চলে আসছে। যেন তারা পরস্পর এই অসিয়তই করে গিয়েছে। সত্য কথা তো এটাই যে, ঔদ্ধত্য ও হঠকারিতায় এরা সবাই সমান। এ জন্যেই এদের পূর্ববর্তীদের মুখ দিয়ে যে কথা বের হয়েছিল ঐ কথাই এদের মুখ দিয়েও বের হচ্ছে। কেননা, শক্ত অন্তরের দিক দিয়ে এরা সবাই একই। সুতরাং তুমি এদের কথা চোখ বুজে সহ্য করে যাও। এরা তোমাকে পাগল বলছে, যাদুকর বলছে, তুমি তাদের এসব কথার উপর ধৈর্যধারণ করতে থাকো। হ্যাঁ, তবে উপদেশের তাবলীগ চালিয়ে যাও, এটা ছেড়ে দিয়ো না। আল্লাহ পাকের বাণী তাদের কাছে পৌঁছাতে থাকো। যাদের অন্তরে ঈমান কবূল করে নেয়ার মাদ্দা রয়েছে তারা একদিন না একদিন অবশ্যই সত্যের পথে আসবে।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি দানব ও মানবকে আমার নিজের কোন প্রয়োজনের জন্যে সৃষ্টি করিনি, বরং তাদেরকে সৃষ্টি করেছি শুধু এজন্যে যে, তাদের নিজেদেরই লাভ ও উপকারের জন্যে তাদেরকে আমার ইবাদত করার নির্দেশ দান করবে। আর করেছিও তাই। তারা যেন সন্তুষ্টচিত্তে অথবা বাধ্য হয়ে আমাকে প্রকৃত মা’বূদ মেনে নেয়। তারা যেন আমার পরিচয় লাভ করে।হযরত সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, কতক ইবাদত উপকার পৌঁছিয়ে থাকে, আবার কতক ইবাদতে মোটেই কোন উপকার হয় না। যেমন কুরআন কারীমে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করঃ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছে? তবে অবশ্যই তারা বলবেঃ ‘আল্লাহ’।” (৩৯:৩৮) তাহলে যদিও এটাও একটি ইবাদত, তথাপি মুশরিকদের এই উত্তর তাদের কোন উপকারে আসবে না। মোটকথা, ইবাদতকারী সবাই, ঐ ইবাদত তাদের জন্যে উপকারী হোক বা নাই হোক।হযরত যহহাক (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা ঈমানদার মানব ও দানবকে বুঝানো হয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাকে নিম্নরূপ পড়িয়েছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি রিযকদাতা ও প্রবল পরাক্রান্ত।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ), ইমাম আবু দাউদ (রঃ), ইমাম তিরমিযী (রঃ) এবং ইমাম নাসাঈ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন)মোটকথা, আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদেরকে একমাত্র তাঁরই ইবাদতের জন্যে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে এবং তার সাথে অন্য কাউকেও শরীক করবে না তাকে তিনি উত্তম ও পূর্ণ পুরস্কার প্রদান করবেন। আর যারা তার সাথে অন্য কাউকেও শরীক করবে তাকে তিনি জঘন্য শাস্তি প্রদান করবেন। আল্লাহ তা'আলা কারো মুখাপেক্ষী নন, বরং সমস্ত মাখলুক সর্বাবস্থায় এবং সর্বসময় তাঁর পূর্ণ মুখাপেক্ষী। তারা তাঁর কাছে সম্পূর্ণরূপে অসহায় ও দরিদ্র। তিনি একাই তাদের সৃষ্টিকর্তা ও আহার্যদাতা।হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতে লেগে পড়, আমি তোমার বক্ষকে ঐশ্বর্য ও অমুখাপেক্ষিতা দ্বারা পূর্ণ করে দিবো এবং তোমার দারিদ্রকে দূর করবে। আর যদি তুমি এরূপ না কর তবে আমি তোমার বক্ষকে ব্যস্ততা দ্বারা পূর্ণ করবে এবং তোমার দরিদ্রতাকে কখনো বন্ধ করবে না।” (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম ইবনে মাজাহও (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান গারীব বলেছেন)হযরত খালিদ (রাঃ)-এর হযরত হিব্বাহ (রাঃ) ও হযরত সাওয়াহ (রাঃ) নামক দুই পুত্র বর্ণনা করেনঃ “একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর খিদমতে হাযির হই। ঐ সময় তিনি কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন অথবা তিনি দেয়াল তৈরী করছিলেন কিংবা কোন জিনিস মেরামত করছিলেন। আমরাও তাঁকে ঐ কাজে সাহায্য করি। কাজ শেষ হলে তিনি আমাদের জন্যে দুআ করেন এবং বলেনঃ “তোমাদের মাথা নড়া পর্যন্ত তোমরা রিযক হতে নিরাশ হয়ো না। দেখো, মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার মা তাকে একটা লাল গোশত-খণ্ড রূপে প্রসব করে, দেহের উপর কোন আবরণ থাকে না, অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাকে সবকিছুই দান করেন এবং তাকে রিযক দিয়ে থাকেন।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)কোন কোন আসমানী কিতাবে রয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “হে আদম সন্তান! আমি তোমাকে আমার ইবাদতের জন্যে সৃষ্টি করেছি, সুতরাং তুমি তাতে অবহেলা করো না। তোমার রিকের যামিন আমিই। তুমি তাতে অযথা কষ্ট করো না। তুমি আমাকে তালাশ কর, পাবে। যদি তুমি আমাকে পেয়ে যাও তবে বিশ্বাস রেখো যে, তুমি সব কিছুই পেয়ে গেলে। আর যদি আমাকে না পাও তবে নিশ্চিতরূপে জানবে যে, তুমি সমস্ত কল্যাণ হারিয়ে ফেলেছো। জেনে রেখো যে, তোমার অন্তরে আমারই প্রেম সর্বাধিক থাকা চাই।” এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ এই কাফিররা কেন আমার শাস্তি তাড়াতাড়ি চাচ্ছে? এ শাস্তি তো নির্ধারিত সময়ে তাদের উপর অবশ্যই আপতিত হবে, যেমন তাদের পূর্ববর্তী কাফিরদের উপর আপতিত হয়েছিল। যে কিয়ামতের দিন সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে ঐ দিন তাদের জন্যে হবে বড়ই দুর্ভোগের দিন।

وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْحُبُكِ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

إِنَّكُمْ لَفِي قَوْلٍ مُخْتَلِفٍ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.

يُؤْفَكُ عَنْهُ مَنْ أُفِكَ

📘 Please check ayah 51:14 for complete tafsir.