Al-An'aam • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَقَالُوا۟ مَا فِى بُطُونِ هَٰذِهِ ٱلْأَنْعَٰمِ خَالِصَةٌۭ لِّذُكُورِنَا وَمُحَرَّمٌ عَلَىٰٓ أَزْوَٰجِنَا ۖ وَإِن يَكُن مَّيْتَةًۭ فَهُمْ فِيهِ شُرَكَآءُ ۚ سَيَجْزِيهِمْ وَصْفَهُمْ ۚ إِنَّهُۥ حَكِيمٌ عَلِيمٌۭ ﴾
“And they say, "All that is in the wombs of such-and-such cattle is reserved for our males and forbidden to our women; but if it be stillborn, then both may have their share thereof." [God] will requite them for all that they [falsely] attribute [to Him]: behold, He is wise, all-knowing.”
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, কাফিররা যে বলতো, এই পশুগুলোর গর্ভে যা কিছু রয়েছে তা আমাদের পুরুষদের জন্যে নির্দিষ্ট।' এর দ্বারা পশুর দুধ উদ্দেশ্য। তারা কোন কোন পশুর দুধ স্ত্রী লোকদের উপর হারাম করে দিতো এবং পুরুষেরা পান করতো। যদি বকরীর নর বাচ্চা পয়দা হতো তবে তা যবাই করে শুধু পুরুষ লোকেরাই খেতো, নারীদেরকে দিতো না। তাদেরকে বলতোঃ “তোমাদের জন্যে এটা হারাম।” মাদী বাচ্চা হলে ওটাকে যবাই করতো না, বরং পালন করতো। আর যদি মৃত বাচ্চা পয়দা হতো তবে পুরুষ নারী সবাই মিলিতভাবে খেতো। আল্লাহ এরূপ করতে নিষেধ করলেন।শাবী (রঃ) বলেন যে, বাহীরা পশুর দুধ শুধুমাত্র পুরুষেরাই খেতো। কোন পশু মরে গেলে পুরুষদের সাথে নারীদেরকেও অংশ দেয়া হতো। তাই ইরশাদ হচ্ছে যে, তাদের কৃত এইসব বিশেষণের প্রতিদান অতিসত্বরই তাদেরকে প্রদান করা হবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- (আরবী) অর্থাৎ “তোমাদের রসনা যে মিথ্যা বলছে তা তোমরা বলো না যে, এটা হালাল এবং এটা হারাম, এই উদ্দেশ্যে যে, তোমরা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দেবে, নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দেবে তারা কখনও সফলকাম হবে না।” (১৬:১১৬)।আল্লাহ পাক স্বীয় কাজে ও কথায় বড় বিজ্ঞানময় এবং তিনি স্বীয় বান্দাদের ভাল ও মন্দ কাজ সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। সুতরাং তিনি তাদেরকে তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে প্রদান করবেন।