Al-An'aam • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَذَرِ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ دِينَهُمْ لَعِبًۭا وَلَهْوًۭا وَغَرَّتْهُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا ۚ وَذَكِّرْ بِهِۦٓ أَن تُبْسَلَ نَفْسٌۢ بِمَا كَسَبَتْ لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلِىٌّۭ وَلَا شَفِيعٌۭ وَإِن تَعْدِلْ كُلَّ عَدْلٍۢ لَّا يُؤْخَذْ مِنْهَآ ۗ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ أُبْسِلُوا۟ بِمَا كَسَبُوا۟ ۖ لَهُمْ شَرَابٌۭ مِّنْ حَمِيمٍۢ وَعَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ ﴾
“And leave to themselves all those who, beguiled by the life of this world, have made play and passing delights their religion; but remind [them] herewith that [in the life to come] every human being shall be held in pledge for whatever wrong he has done, and shall have none to protect him from God, and none to intercede for him; and though he offer any conceivable ransom, it shall not be accepted from him. It is [people such as] these that shall be held in pledge for the wrong they have done; for them there is [in the life to come] a draught of burning despair and grievous suffering awaits them because of their persistent refusal to acknowledge the truth.”
আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ যারা দ্বীনকে খেল-তামাশার বস্তু বানিয়ে নিয়েছে তুমি তাদেরকে ছেড়ে দাও। কেননা, তারা ভয়াবহ শাস্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্যেই মহান আল্লাহ বলেনঃ তুমি কুরআন কারীমের মাধ্যমে তাদেরকে উপদেশ দিতে থাক, আল্লাহর আযাব থেকে ভয় প্রদর্শন কর, যাতে তাদেরকে তাদের দুষ্কার্যের কারণে ধ্বংস করে দেয়া না হয়। যহ্হাক (রঃ) (আরবী) শব্দকে (আরবী) অর্থে ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ যেন সঁপে দেয়া না হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে- যেন তাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত না করা হয়। কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে- যেন তাকে আটকিয়ে দেয়া না হয়। আর মুররা (রঃ) ও ইবনে যায়েদ (রঃ) এর অর্থ নিয়েছেন ‘পাকড়াও করা'। এই সমুদয় উক্তির ভাবার্থ প্রায় একই। মোটকথা এই যে, ধ্বংসের জন্যে ছেড়ে দেয়া, কল্যাণ থেকে বিমুখ করা, উদ্দেশ্য সফল না করা ইত্যাদির প্রায় একই অর্থ। যেমন মহান আল্লাহ এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় কৃতকর্মের জন্যে আটককৃত, শুধু যার ডান হাতে আমল নামা দেয়া হবে সে নয়।” (৭৪:৩৮) আল্লাহ পাকের উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া তার কোন বন্ধু ও সুপারিশকারী থাকবে না। যেমন মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “(মানুষের সাবধান হওয়া উচিত) এমন দিন আসার পূর্বে যেই দিন না ক্রয়-বিক্রয় চলবে, না বন্ধুত্ব থাকবে, না সুপারিশ চলবে, কাফিররা পূর্ণরূপে অত্যাচারী।” আল্লাহ তাআলার উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে যদি সে দুনিয়াভর বিনিময় বস্তুও দিতে চায় তথাপি তা গ্রহণ করা হবে না। যেমন তিনি অন্যত্র বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই যারা কাফির হয়ে থাকা অবস্থাতেই মারা গেল, যদি তারা (বিনিময় হিসাবে) দুনিয়াভর সোনাও প্রদান করে তথাপি তা কখনও গ্রহণ করা হবে না।” (৩:৯১)এরপর ঘোষিত হচ্ছে। তারা এমনই লোক যে, তারা নিজেদের কর্মদোষে আটকা পড়ে গেছে, তাদের জন্যে রয়েছে ফুটন্ত গরম পানীয় এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।