slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 14 من سورة سُورَةُ الصَّفِّ

As-Saff • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُونُوٓا۟ أَنصَارَ ٱللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّۦنَ مَنْ أَنصَارِىٓ إِلَى ٱللَّهِ ۖ قَالَ ٱلْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ ٱللَّهِ ۖ فَـَٔامَنَت طَّآئِفَةٌۭ مِّنۢ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ وَكَفَرَت طَّآئِفَةٌۭ ۖ فَأَيَّدْنَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ عَلَىٰ عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا۟ ظَٰهِرِينَ ﴾

“O YOU who have attained to faith! Be helpers [in the cause of God - even as Jesus, the son of Mary, said unto the white-garbed ones, "Who will be my helpers in God's cause?" - whereupon the white-garbed [disciples] replied, "We shall be [thy] helpers [in the cause] of God!" And so [it happened that] some of the children of Israel came to believe [in the apostleship of Jesus], whereas others denied the truth. But [now] We have given strength against their foes unto those who have [truly] attained to faith: and they have become the ones that shall prevail.”

📝 التفسير:

মহান আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন সদা-সর্বদা জান-মাল, ইজ্জত-আবরূ, কথা এবং কাজ দ্বারা আল্লাহকে সাহায্য করে, আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর ডাকে সাড়া দেয়, যেমন হাওয়ারীগণ হযরত ঈসা (আঃ)-এর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন যখন তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহর পথে কে আমাকে সাহায্যকারী হবে? অর্থাৎ আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়ার কাজে কে আমার সাহায্যকারী হবে? তখন হযরত ঈসা (আঃ)-এর অনুসারী হাওয়ারীরা বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর সাহায্যকারী। অর্থাৎ আল্লাহর এই দ্বীনের কাজে আমরাই আপনার সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে, আপনাকে সাহায্য করবে ও আপনার অনুসারী হিসেবে থাকবো। তখন হযরত ঈসা (আঃ) তাদেরকে প্রচারক হিসেবে সিরিয়ার শহরগুলোতে পাঠিয়ে দেন। হজ্বের মৌসুমে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-ও বলেছিলেনঃ “এমন কেউ আছে কি যে আমাকে জায়গা দিতে পারে যাতে আমি আল্লাহর রিসালাতকে জনগণের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে পারি? কুরায়েশরা তো আমাকে আমার প্রতিপালকের বাণী মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়ার কাজে বাধা প্রদান করেছে।” তখন মদীনার অধিবাসী আউস ও খাযরাজ গোত্রীয় লোকদেরকে মহান আল্লাহ এই সৌভাগ্যের অধিকারী করেন যে, তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেন। তারা তাঁর কথা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। তাঁরা এই প্রতিজ্ঞা করেন যে, যদি রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁদের বাসভূমিতে চলে যান তবে কোনক্রমেই তাঁরা তাঁর কোন ক্ষতি সাধন হতে দিবেন না। তারা তার পক্ষ হতে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এবং যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে তাকে রক্ষা করবেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন তাঁর সঙ্গীগণসহ হিজরত করে তাদের বাসভূমি মদীনা নগরীতে পৌঁছলেন তখন বাস্তবিকই তাঁরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন এবং তাদের কথাকে বাস্তবে রূপদান করলেন। এ কারণেই তারা ‘আনসার এই মহান উপাধিতে ভূষিত হন। আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাঁদেরকে সন্তুষ্ট রাখুন। মহান আল্লাহ বলেনঃ “অতঃপর বানী ইসরাঈলের একদল ঈমান আনলো এবং একদল কফরী করলো' অর্থাৎ যখন ঈসা (আঃ) তাঁর অনুসারী হাওয়ারীদেরকে নিয়ে দ্বীনের তাবলীগ করতে শুরু করলেন তখন বানী ইসরাঈলের কিছু লোক সঠিক পথে এসে গেল, আর কিছু লোক এপথে আসলো না। এমনকি তারা। তাকে এবং তাঁর সতী-সাধ্বী মাতার প্রতি জঘন্যতম অপবাদ রচনা করলো। এই ইয়াহুদীদের উপর চিরতরে আল্লাহর গযব পতিত হলো। আবার যারা তাঁকে মেনে নিলো তাদের মধ্যে একটি দল মানার ব্যাপারে সীমালংঘন করলো এবং তাকে তার মর্যাদার চেয়েও বাড়িয়ে দিলো। এদের মধ্যেও আবার কয়েকটি দল হয়ে গেল। একটি দল বলতে লাগলো যে, হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ)। অন্য একটি দল বললো যে, হযরত ঈসা (আঃ) তিনজনের একজন অর্থাৎ পিতা, পুত্র ও রূহুল কুদস। আর একটি দল তো তাকে আল্লাহ বলেই স্বীকার করে নিলো। এসবের আলোচনা সূরায়ে নিসায় বিস্তারিতভাবে রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ পরে আমি মুমিনদেরকে শক্তিশালী করলাম তাদের শত্রুদের মুকাবিলায়। অর্থাৎ আমি তাদেরকে তাদের শত্রু খৃষ্টানদের উপর বিজয়ী করলাম। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ যখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ হযরত ঈসা (আঃ)-কে আকাশে উঠিয়ে নেয়ার ইচ্ছা করলেন তখন হযরত ঈসা (আঃ) গোসল করে পাক সাফ হয়ে স্বীয় সহচরদের নিকট আসলেন। ঐ সময় তার মাথা হতে পানির ফোটা ঝরে পড়ছিল। তাঁর সহচরগণ ছিলেন বারোজন। তাঁরা একটি ঘরে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাদের মধ্যে এসেই বললেনঃ “তোমাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যে আমার উপর ঈমান এনেছে বটে কিন্তু পরে কুফরী করবে। একবার নয়, বরং বারো বার।” অতঃপর তিনি বললেনঃ “তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে এই ব্যাপারে প্রস্তুত হতে পারে যে, তাকে আমার চেহারার সাথে সাদৃশ্যযুক্ত করে দেয়া হবে এবং আমার পরিবর্তে তাকে হত্যা করে দেয়া হবে, অতঃপর সে জান্নাতে আমার সাথে আমার মর্যাদায় থাকবে?” তাঁর একথার জবাবে তাঁদের মধ্যে বয়সে যিনি সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন তিনি বললেনঃ “আমি এ জন্যে প্রস্তুত আছি।” হযরত ঈসা (আঃ) তাকে বললেনঃ “তুমি বসে পড়।” অতঃপর পুনরায় তিনি তার কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। এবারও ঐ যুবকটি দাড়িয়ে বললেনঃ “আমিই এজন্যে প্রস্তুত।” হযরত ঈসা (আঃ) এবারও তাঁকে বসে যেতে বললেন। তৃতীয়বার হযরত ঈসা (আঃ) ঐ কথাই বললেন এবং তৃতীয়বারও ঐ যুবকটিই দাঁড়িয়ে সম্মতি জানালেন। এবার তিনি বললেনঃ “আচ্ছা, বেশ!” তৎক্ষণাৎ তার আকৃতি সম্পূর্ণরূপে হযরত ঈসা (আঃ)-এর মত হয়ে গেল এবং হযরত ঈসা (আঃ)-কে ঐ ঘরের একটি ছিদ্র দিয়ে আকাশে উঠিয়ে নেয়া হলো। হযরত ঈসা (আঃ)-কে অনুসন্ধানকারী ইয়াহূদীরা দৌড়িয়ে আসলো এবং ঐ যুবকটিকে ঈসা (আঃ) মনে করে গ্রেফতার করলো ও হত্যা করে শূলে চড়িয়ে দিলো। হযরত ঈসা (আঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ঐ অবশিষ্ট এগারোজন লোকের মধ্য হতে কেউ কেউ বারো বার কুফরী করলো, অথচ ইতিপূর্বে তারা ঈমানদার ছিল।অতঃপর হযরত ঈসা (আঃ)-কে মান্যকারী বানী ইসরাঈলের দলটি তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে গেল। একটি দল বললোঃ “স্বয়ং আল্লাহ হযরত (হযরত ঈসা আঃ-এর আকৃতিতে) যতদিন ইচ্ছা করেছিলেন আমাদের মধ্যে ছিলেন। অতঃপর তিনি আকাশে উঠে গেলেন।" এই দলটিকে ইয়াকুবিয়্যাহ বলা হয়। দ্বিতীয় দলটি বললোঃ “আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ) আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী আমাদের মাঝে ছিলেন, অতঃপর তিনি তাকে নিজের কাছে উঠিয়ে নিলেন।” এই দলটিকে বলা হয় নাসতুরিয়্যাহ। তৃতীয় দলটি সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। তাদের আকীদাহ বা বিশ্বাস এই যে, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তাদের মধ্যে ছিলেন, অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে নিজের কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন। এই দলটি হলো মুসলিম দল।অতঃপর ঐ কাফির দল দুটির শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তারা ঐ মুসলিম দলটিকে মেরে পিটে হত্যা ও ধ্বংস করতে শুরু করে। অবশেষে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-কে প্রেরণ করেন। বানী ইসরাঈলের ঐ মুসলিম দলটি তাঁর উপরও ঈমান আনয়ন করে। সুতরাং এই ঈমানদার দলটিকে আল্লাহ তাআলা সাহায্য করেন এবং তাদেরকে তাদের শত্রুদের উপর জয়যুক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বিজয়ী হওয়া এবং দ্বীন ইসলামের অন্যান্য দ্বীনগুলোকে পরাজিত করাই হলো তাদের বিজয়ী হওয়া ও তাদের শত্রুদের উপর জয়লাভ করা।" (এটা তাফসীরে ইবনে জারীরে ও সুনানে নাসাঈতে বর্ণিত হয়েছে)সুতরাং এই উম্মত সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে সদাসর্বদা বিজয়ীই থাকবে, শেষ পর্যন্ত কিয়ামত এসে যাবে এবং এই উম্মতের শেষের লোকগুলো হযরত ঈসা (আঃ)-এর সঙ্গী হয়ে মাসীহ দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন, যেমন সহীহ হাদীসে বিদ্যমান রয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।